আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি: রামপুরা থেকে গোপালগঞ্জ এবং অতঃপর...



১৯৭১ সালের ১০ ই অগাস্ট ভারতীয় সীমান্ত থেকে দেড় দুই কিলোমিটার ভেতরে হরিতকিডাঙা হাটের কাছে আমরা কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলাম। এরপর চারদিন চাররাত ধরে কুখ্যাত পাগলা দেওয়ান ক্যাম্প ও জয়পুরহাট চিনিকলের আর্মিক্যাম্পে অবর্ণীয় এবং অসহনীয় নির্যাতন চালিয়েও কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করতে না পেরে আমাদের তিনজনকে যে দিন রেলগাড়িতে করে বগুড়ায় পাঠানো হয় সেই দিনটা ছিল ১৪ ই অগাস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। জয়পুরহাট থেকে ট্রেনে করে এসে যখন গাড়ি বদলের জন্য চাঁদ তারা পতাকায় সাজানো সান্তাহার জংশন স্টেশনে আমাদের নামানো হলো তখন বিস্ময়ের সাথে দেখলাম ইংরেজি ও ঊর্দুতে লেখা স্টেশনের নামের পাশে বাংলায় দন্ত্য ‘স’দিয়ে লেখা আছে সহিদাবাদ জংশন। পরিবেশ পরিস্থিতি ভুলে আমি বলে ফেলেছিলাম, ‘এটা সান্তাহার জংশন না?’ প্রশ্নটি আমি উপস্থিত সেনা কর্মকর্তাকে ইংরেজিতে করলেও করলেও তার অনুমতি নিয়ে ঊর্দুতে উত্তর দিয়েছিল একজন সেপাই। সে যা বলেছিল তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিশ্বাসঘাতক বাঙালিরা এখানে নির্বিচার গণহত্যা চালিয়ে অসংখ্য অবাঙালি বিহারি এমনকি পাকিস্তান সমর্থক পূর্ব পাকিস্তানিকে শহীদ করেছে।

সেইসব শহীদের স্মরণে এই রেলওয়ে জংশনের নাম পরিবর্তন করে শহীদাবাদ রাখা হয়েছে। ’
প্রথমে চুপচাপ থাকলেও সম্ভবত ক্যাপ্টেন র‌্যাংকের সেনা কর্মকর্তাটি পরে আলোচনায় যোগ দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি নারায়ণগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার এবং গোপালগঞ্জের নাম শুনেছ?’
আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমি পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দি, আমার হাত এবং পা বাঁধা, মাঝে মাঝে ওরা চোখও বেঁধে রাখে। ওদের ইচ্ছে হলে অথবা উপরের কোনো নির্দেশ থাকলে যে কোনো মুহূর্তে আমার জন্যে একটি গুলি খরচ করতে ওরা কার্পণ্য করবে না। তারপরেও ক্যাপ্টেনের প্রশ্নের উত্তরে বললাম, ‘আমার এইদেশে জন্ম এখানেই আমার বেড়ে ওঠা। কাজেই সবগুলো জায়গার নামই আমার জানা।

’ বেশ গর্বের সাথে ক্যাপ্টেন উত্তর দিলেন, ‘এই শহরগুলো নাম আমরা বদলে দিয়েছি। ’ তিনি কোন জায়গার কি নাম বলেছিলেন এখন আর ঠিক মনে পড়ে না। তবে এই নামগুলোর সবটাতেই ছিল মোহাম্মদাবাদ, নবীগঞ্জ বা রসূলবাড়িয়া জাতীয় ইসলামিকরণের প্রচেষ্টা। বলা নি®েপ্রায়জন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে এই সব ইসলামী নামের কোনো শহরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র প্রথম দিনে পুলিশ কর্মকর্তার উপর বিক্ষুব্ধ হয়ে আরও একবার গোপালগঞ্জের নাম পাল্টে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

অনেকেই মনে করতে পারেন দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে না দেয়ার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের আচরণে উত্তেজিত নেত্রীর ক্রোধের তাৎক্ষণিক বহিঃপ্রকাশ এই পরিবর্তনের ঘোষণা। কিন্তু আমার মনে হয়, নাম বদলের এই আকাক্সক্ষার শেকড় আরও অনেক গভীরে প্রোথিত। এ প্রসঙ্গে আমি প্রায় তেত্রিশ বছর আগের একটি ঘটনার উল্লেখ করতে চাই। ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে কোনো একদিন বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের কয়েকদিন পর বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্পর্কিত সাপ্তাহিক সভা শেষে তৎকালীন মহাপরিচালক এমএ সাঈদ (পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার) অনুষ্ঠান পরিচালক মিস খালেদা ফাহমীকে একটু অপেক্ষা করতে বললেন। আমি তখন প্রযোজক হিসাবে অনুষ্ঠান প্রযোজনার পাশাপাশি খালেদা আপার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসাবে সকল গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত থেকে সভার কার্য বিবরণী লেখা থেকে শুরু করে দেশে এবং বিশেষ করে বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে পাঠানো চিঠিপত্রের খসড়া লেখা এবং বিদেশি চলচ্চিত্র নির্বাচনের কাজে অনুষ্ঠান পরিচালক এবং তাঁর টিমকে সহযোগিতা করি।

সেই কারণে সবচেয়ে কম বয়সে বিটিভি’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন আলোচনায় খুব কাছাকাছি থাকবার সুযোগ হয়েছে।

সভাকক্ষ থেকে সকলে বেরিয়ে যাবার পর মহাপরিচালক বললেন, ‘মিস ফাহমিÑ রামপুরার নামের ব্যাপারটা নিয়ে কি করা যায় কিছু ভেবেছেন?’
খালেদা আপা একটু দ্বিধান্বিতভাবে বললেন, ‘স্যার একটা প্রচলিত নাম বদলে ফেলার ব্যাপারটা সাধারণ মানুষ খুব ভালভাবে নেবে বলে মনে হয় না। ’
কোনো ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি না করে ফেলে রাখলে অথবা কোনো নির্দেশনা নিয়ে গড়িমসি করলে এমএ সাঈদ সাহেব খুবই অসহিষ্ণু হয়ে উঠতেন, এমন কি বকাবকিও করতেন। কিন্তু সেদিন তিনি নিজেও অসহায়ের মতো বললেন, ‘আমরা কী করবো বলেনÑ ইফ প্রেসিডেন্ট হিমসেলফ ডিজায়ার্স! স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জিয়া নাকি মিনিস্টার সাহেবকে বলেছেনÑ আপনারা বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালি সংস্কৃতি প্রচারেই বেশি আগ্রহী, তা না হলে রামপুরার পরিবর্তে একটা ভাল নাম খুঁজে বের করতে এতোদিন সময় লাগার কথা নয়। ’
সে সময় তথ্য ও বেতার মন্ত্রী শামসুল হুদা চৌধুরি ছিলেন অত্যন্ত সংস্কৃতিবান এবং সুরসিক একজন মানুষ।

বেতার এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনাতেও তিনি এক সময় কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। বিটিভির পরিচালক হবার দীর্ঘকাল আগে থেকেই খালেদা ফাহমীর সাথে তাঁর নিবিড় পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে জেনেছি তিনি নাকি খালেদা আপাকে বলেছিলেন, ‘তোমরা দেশের ন্যাশনাল টেলিভিশনে সারা দিন রাত রামপুরা, রামপুরা বলে রাম নাম জপ করবে তা প্রেসিডেন্ট সাহেব পছন্দ করবেন কেন!’

পছন্দ না করলেও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য মন্ত্রী শামসুল হুদা চৌধুরির কেউই মুখ ফসকে কোনো ঘোষণা দেননি বা কোনো নাম প্রস্তাবও করেননি। তথ্য মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে লিখিত কোনো নির্দেশনা পাঠায়নি। তাঁরা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকেই এই পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

অর্থাৎ নাম পরিবর্তন সম্পর্কিত একটি নতুন ফাইল খুলে টেলিভিশনের কর্মকর্তা কর্মচারিদের পক্ষ থেকেই একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং মন্ত্রীসভার অনুমোদন সাপেক্ষে এক শুভদিনে বিটিভি থেকে ঘোষণা দিয়ে চালু করা হবে সেই নাম। যথারীতি এই প্রস্তাবের একটি খসড়া তৈরির দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছিল। আমার যতোদূর মনে পড়ে, কোনো বিশেষ নাম উল্লেখ না করে শুধু ‘রামপুরা’ নামটি পরিবর্তনের একটি প্রস্তাব মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। আমাদেরÑ বিশেষ করে রামপুরাবাসীর দুর্ভাগ্য, ৩১শে মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হবার ফলে আমরা রামপুরাকে একটি ইসলামী নামে অভিহিত করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালে দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে বিজয়ী জাতি-গোষ্ঠি বিজিতদের শহর নগর জনপদের নাম পাল্টে দিয়েছে।

আবার কখনো কৃতজ্ঞ জাতি তাদের জাতীয় বীরের নামে, নেতার নামে অথবা কোনো কৃতিপুরুষের নাম কোনো নগরের অথবা স্থাপনার সাথে জুড়ে দিয়ে ধন্য হয়েছে। সেই কারণে আহমেদাবাদ যখন গান্ধী নগরে কিংবা সায়গন যখন হোচিমিন সিটিতে রূপান্তরিত হয় তখন দেশবাসী তা সানন্দে সর্বসম্মতভাবেই গ্রহণ করে। আমাদের দেশেও আসাদ গেটের নাম যে কখনো আইয়ুব গেট ছিল তা এখন অনেকেই ভুলে গেছেন, বৈদ্যনাথতলার নাম মুজিব নগর রাখা হলে মেহেরপুরসহ সারা দেশের মানুষ সেই পরিবর্তনে আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু এর বিপরীতে কখনো কখনো ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা তাঁদের নিজেদের নামে কোনো স্থাপনা বা এলাকার নাম করণ করতে চাইলেও অনেক সময়েই জনগণ তা গ্রহণ করেনি এবং ক্ষমতার পট পরিবর্তেনের সাথে সাথে নাম ফলক বা সাইন বোর্ড থেকেও মুছে গেছে সেই নাম। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ।

এখন আর কোথাও কোনো ভবন, খেলার মাঠ এমন কি গলিঘুঁচিতেও তাঁর নাম খুঁজে পাওয়া যাবে না।

ক্ষমতাসীনরা যে প্রয়োজনে সাধু সন্তদের নাম মুছে ফেলতেও দ্বিধা করে না তার উদাহরণও দেশে বিদেশে কম নেই। ১৯২৪ সালে লেনিনের মৃত্যুর পাঁচদিন পরে সে সময় পেট্রোগ্রাদ নামে পরিচিত সেন্ট পিটার্সবার্গ নগরীর নাম বদলে রাখা হয় লেনিনগ্রাদ। রাশিয়ায় কম্যুনিস্টদের একচ্ছত্র আধিপত্যের দিন শেষ হলে ‘মহামতি লেনিন’-এর মতো একজন বিপ্লবী জননেতার নাম মুছে ফেলতেও দেরি করেনি রাশিয়ার জনগণ। ১৯৯১ সালের মে মাসে লেনিনগ্রাদের নাম আর একবার বদলে রাখা হয়েছে পুরানো নাম সেন্টপিটার্সবার্গ।

তবে এই পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল এবং সেখানে ষাট শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছিল পরিবর্তনের পক্ষে।

দেশ ও দশের প্রয়োজনে আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসাবে স্থান বা স্থাপনার নাম বদলের ক্ষেত্রে কারো কোনো আপত্তি থাকে না বরং গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি তা সাধারণের প্রশংসাও লাভ করে। কলকাতার ডালহৌসি স্কোয়ারের নাম পরিবর্তন করে স্বাধীনতা সংগ্রামের তিন বিপ্লবী বিনয় বাদল ও দিনেশের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে বি-বা-দি বাগ করা হলে তা সকলেই সানন্দে গ্রহণ করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে গোপালপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপক শহীদ আনোয়ারুল আজিমের আত্মদতান স্নরণীয় করে রাখতে গোপালপুরের পরিবির্তত নাম আজিম নগরÑ নাম ফলকের পাশাপাশি মানুষের হৃদয়ে স্থায়ীত্ব পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের নামে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের নাম করণের উদ্যোগ নিয়ে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।

আমরা যে শুধু মৃত এবং শহীদদের নয়, জীবিতদেরও প্রাপ্য সম্মান দিতে জানিÑ এই নাম করণের মধ্য দিয়ে তার একটি উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে।

সাম্প্রতিককালে আমাদের দেশে নাম পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিটি করা হয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। উল্লেখ করা যেতে পারে, আওয়ামী লীগ তার তার প্রথম দফা শাসনকালেও এই পরিবর্তনের প্রয়োজন বোধ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের জনএফ কেনেডি বিমানবন্দর, শ্রীলঙ্কার শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে ইন্টার ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কিংবা ভারতের নয়াদিল্লি ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের নাম নিয়ে কখনো বিতর্ক হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের দেশের জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন কেন অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল এবং হজরত শাহজালালের নামে নতুন নাম করণ করা হয়েছিল তা এখনও আমার বোধের বাইরে।

নবী রসুল কিংবা পীর দরবেশ আউলিয়ার নাম সংযোজন করে কোনো স্থান বা স্থাপনার নাম বদল করা হলে সেইসব পূণ্যবানদের প্রতিও খুব একটা সম্মান জানানো হয় বলে কেউ মনে করেন না। ধর্মের নামে রাজনীতি করা জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বিএনপি’র চেয়ে এ কথা ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী তুলনামূলকভাবে প্রগতিশীল দল আওয়ামী লীগেরই বেশি করে বোঝার কথা। তারপরেও জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের এই অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তনটি করে তাঁরা অযথাই অনেককে ক্ষুব্ধ করেছেন।

কাউকে অপমানিত করা বা হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে নয়, ঐতিহাসিক প্রয়োজনে বা কাউকে সম্মানিত করার জন্যে নাম পরিবর্তনে কারও কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল বা দলীয় প্রধান অথবা দলের শক্তিশালী সহযোগীদের মনের গোপন কোণে যদি নাম পরিবর্তনের সুপ্ত বাসনা লুকিয়ে থাকে তবে তা কখন কোন দুর্বল মুহূর্তে প্রকাশিত হয়ে পড়বে কেউ বলতে পারে না।

দীর্ঘ দিনের সেই লালিত বাসনা কি রামপুরা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি সেই আকাক্সক্ষা ডালপালা বিস্তার করে আরও হিংস্র এবং আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ‘বাংলাদেশ’ নামটাকেই পাল্টে দেবার দুঃসাহস নিয়ে অগ্রসর হবে সেটিই এখন লক্ষ করার বিষয়।

লেখক: মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপমহাপরিচালক: বাংলাদেশ টেলিভিশন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।