আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই মহা খুশীর মূহুর্ত প্রায় সমাগত।আসুন সবাই অত্যান্ত আনন্দের সাথে বরণ করি।

আমার মরণ চান্নি পসর রাইতে যেন হয়

মহান আল্লাহ্‌পাক তিনি বলেন , "আমি গুপ্ত ভান্ডার ছিলাম,আমার মুহব্বত হলো,নিজেকে প্রকাশ ইচ্ছে করলাম,তখন আমি আমার হাবিব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলাম। "
অর্থ্যাৎ মহান আল্লাহ্‌পাকের রহস্য ও গুপ্তভেদ প্রকাশের মূল এবং একমাত্র মাধ্যম আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আর তাই ইরশাদ হয়েছে হযরত যাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্নিত তিনি বলেন,
"আমি জানতে চাইলাম,ইয়া রাসুলু্ল্লাহ,হাবিবুল্লাহ,ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহপাক সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেন"?
তিনি বললেন,"আপনার নবীর নুর মুবারক অর্থ্যাৎ নুরে হাবিবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তৈরী করেন। অতঃপর সেই নুর মুবারককে লক্ষ্য করে বললেন আপনি আমার হাবিব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হয়ে যান।

"সুবহানাল্লাহ্‌।
অতঃপর আসমান-যমীন, লৌহ-কলম, আরশ-কুরসী, জিন-ইনসান, হযরত ফিরেশতা আলাইহিমুস সালাম, বেহেশত-দোযখ ইত্যাদি পর্যায় ক্রমে সবকিছু সৃষ্টি করলেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকলে আমি আমার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করতাম না। ” (দায়লামী,কানযুল উম্মাল)
আর তখন হতেই মহান আল্লাহ্‌পাক স্বয়ং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সৃষ্টির মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে উনার প্রতি ছলাত পাঠ করে থাকেন তথা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে থাকেন।
এই প্রসংগে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের সুরা আযহাবের ৫৬ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
إِنَّ اللَّـهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿٥٦
অর্থঃ "নিশ্চয় মহান আল্লাহ্‌পাক স্বয়ং এবং উনার ফিরিশতা আলাইহিমুস সালামগন সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি (উনার জন্য ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে ) ছলাত পাঠ করে থাকেন।

হে মুমিনগন ! আপনারাও সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি (উনাকে যে লাভ করলেন এই জন্য ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে ) ছলাত পাঠ করুন এবং সালাম পেশ করুন অত্যান্ত আদবের সাথে। "
এই প্রসংগে পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা ইউনসু-এ ৫৮ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ

অর্থাৎঃ(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত (স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। ”
অর্থাৎ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।
অর্থাৎ যেদিন মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান, সুমহান, অশেষ বরকতময় ও বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ,সেদিন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ' আর সেদিনই হচ্ছেন প্রত্যেক ইমানদারদের সবচেয়ে সেরা খুশীর দিন ।


যা আর মাত্র ১ দিন বাকি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।