আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৮- জোক্স, বাচ্চারা কাছে আসো। জোক্স কালেকশনঃ পর্ব-০৩

মনডা কয়, কুপায়া সব কিছু ভাজ ভাজ কইরা হালাই

১ম পর্ব
২য় পর্ব

০১.
একদিন বল্টু এক বারে গিয়ে দেখলো এক লোক হাঁসের নাচের খেলা দেখাচ্ছে। হাঁসটা তার নির্দেশমতো একটা পটের উপর ট্যাপ ড্যান্স করছে। দেখে তো সে দারুণ মুগ্ধ। হাঁসটা কেনার প্রস্তাব দিলো তার মালিককে।

অনেক আলোচনা শেষে হাঁসটার মূল্য ১০০০০ টাকা ধার্য হলো।



দু'দিন পরেই আরাম হাস টা নিয়ে আবার সেই বারে ফিরে এলো। হাঁসের পুরোনো মালিককে বললো, তোমার ভূয়া হাঁস ফেরত নাও। আমার সামনে ওকে পটে বসিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু একটা পা-ও নাচেনি।

মালিক উত্তর দিলো, তুমি কি ওর পটের নিচে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছিলে?

০২.
এক মহিলা এক গাড়িতে ৫-৬টি বাচ্চা নিয়ে নার্ভাস হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলো।

একটা 'থামুন' সাইন না দেখে সে পার হয়ে গেলে পুলিশ তাকে থামালো।

- আপনি কি জানেন না এটা কি করে থামাতে হয়? জানতে চাইলো পুলিশ।

- এগুলো তো আমার বাচ্চা নয়। মহিলার উত্তর।

০৩.
নাসা মঙ্গল গ্রহে যাবার জন্য লোক নিচ্ছিলো যারা শুধু মঙ্গল গ্রহে থাকার জন্য যাবে কিন্তু তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।



এক ইঞ্জিনিয়ার ইন্টারভিউর জন্য এলো। 'আমাকে এক মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। ' দাবি করলো সে। 'এই টাকা আমি আমার পরিবারকে দিয়ে যেতে চাই।

এরপর এক ডাক্তার এলো।

'আমাকে দুই মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। আমি এক মিলিয়ন দিবো আমার পরিবারকে আর এক মিলিয়ন দিবো মেডিকেল খাতে উন্নয়নের জন্য।

এরপর এলো এক উকিল। 'আমাকে তিন মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। '

অন্যদের তুলনায় এতো বেশি কেন জানতে চাইলে তার উত্তর, 'এর মধ্যে এক মিলিয়ন আপনাকে দিবো, এক মিলিয়ন আমি রাখবো আর বাকি এক মিলিয়ন দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়ে দেবো।

'

০৪.
এক পিপড়া ভালবাসে এক হাতিকে তাই তারা গেল একদিন ডেটিংয়ে অনেক কথা হল, রোমান্স হল অনেক গল্পের পর পিপড়া সুধালো ওর মনে আছে এক সাধ । আহ্লাদি হাতি জানিতে চাহিল পিপডার মনের বাসনা পিপড়া সুধালো সে হতে চায় হাতির বাচ্চার মা কথা শুনে হাতি heart attack করে মারা গেল!! তখন পিপড়া কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল, এক রাত ডেটিং করলাম!! এখন সারা জীবন যাবে কবর খুড়তে ।

০৫.
বৃদ্ধ রহিম মিয়া অন্ধ মানুষ । একদিন সকাল বেলায় তিনি মার্কেটে যাচ্ছিলেন কিছু রুটি কিনতে। রুটি কিনা শেষ , তিনি বাসায় ফিরবেন , হুট করে কোথা থেকে এক কুকুর এসে রহিম মিয়ার পায়ে মুত্র বিসর্জন করলো।

রহিম মিয়া ছিটকে দুরে সরে গেলেন .....তারপর আহ আহ আহ করে রুটি তা ঝুলিয়ে কুকুরটার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে লাগলেন........ সবাই তো তাজ্জব !!!! যে লোকের গায়ে কুকুর পেশাব করে দিল ,আর সে কিনা কুকুরটাকে তার রুটি খাবাতে চাচ্ছে !!!!
একজন গিয়ে তাকে বলল , 'রহিম মিয়া , আপনি কি মহান ....ওই খারাপ কুকুরটা কে রুটি খাওয়াতে চাচ্ছেন !!! ''
রহিম মিয়া উত্তর দিলেন , ''আরে ভাই , আমি তো ওকে রুটি দিয়ে ওর পাছার অবস্থান বুঝার চেষ্টা করছি , যাতে যুতসই একটা লাথি বসাতে পারি '

০৬.
জজ কোর্ট। জজ আসামীর দিকে তাকিয়ে রায়ের আদেশ পড়ছেন। “ তুমি বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত। “
দর্শকদের ভিতর থেকে বল্টু চিৎকার করে বলল” হারামজাদা!”
জজ রায় পড়ে যাচ্ছেন। “ তুমি তোমার শাশুড়িকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরেছো”
দর্শকদের ভিতর থেকে বল্টু আবার বলে উঠল” হারামজাদা!!”
এইবার জজ বল্টু কে বললেন, “আমি আপনার রাগের কারন বুঝতে পারছি।

কিন্তু এটা কোর্টরুম। আর একবার আপনি এই রকম চিৎকার করলে আপনাকে বিচারে বাধা দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হবে। বুঝছেন?

এইবার বল্টু দাঁড়িয়ে বলল,” আমি গত পনের বছর ধরে ওই বদমাশ হারামজাদার প্রতিবেশি। যতবারই আমি তার কাছে একটা হাতুড়ির ধারের জন্য গেছি, সে বলছে তার কাছে হাতুড়ি নাই।

০৭.
রিয়াদ সাহেবের কান দুটি কাটা পড়েছে বহু আগে।

তিনি একটা টিভি চ্যানেল চালান। টিভিতে খবরের জন্যে একজন রিপোর্টার খুঁজছেন তিনি।

ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রথম প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি, ‘দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?’

প্রার্থী একগাল হেসে বললো, ‘নিশ্চয়ই স্যার। আপনার তো দুটা কানই কাটা!’

রিয়াদ সাহেব গর্জে উঠলেন, ‘বেরো এখান থেকে, ব্যাটা নচ্ছাড়!’

দ্বিতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন তিনি।

‘দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। তা, আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?’

দ্বিতীয় প্রার্থী খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে বললো, ‘জ্বি স্যার। আপনার তো দুটা কানই কাটা!’

রিয়াদ সাহেব গর্জে উঠলেন, ‘বেরো এখান থেকে, ব্যাটা ফাজিল!’

তৃতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন তিনি। ‘দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?’

এবার প্রার্থী বললো, ‘জ্বি স্যার।

আপনি কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে আছেন। ’

রিয়াদ সাহেব খুশি হয়ে বললেন, ‘বাহ, আপনি তো বেশ --- তা কিভাবে বুঝলেন?’

‘সোজা। আপনি চশমা পরবেন কিভাবে, আপনার তো দুটা কানই কাটা!’

০৮.
বল্টু এর শাশুড়ি একবার ঠিক করলো, তার দুই জামাই এর কে তাকে বেশি ভালোবাসে সেটা পরীক্ষা করবে।
১ম দিন সে ১ম জামাই এর সামনে নদীতে লাফ দিলো, আর ডুবে যেতে লাগলো,দেখতে জামাই তাকে বাঁচায় কিনা।
১ম জামাই নদীতে লাফ দিয়ে তাকে বাঁচালো
শাশুড়ি তাকে খুশি হয়ে ১ম জামাই কে Karizma বাইক গিফট করলো।


পরের দিন সে ২য় জামাই(বল্টু) এর সামনে নদীতে লাফ দিলো, একি পরীক্ষা করার জন্য।
কিন্তু এই জামাই শাশুড়ি কে দেখতে পারতো না, তাই সে বাঁচালো না। শাশুড়ি মারা গেলো।
কিন্তু পরের দিন দেখা গেলো ২য় জামাই BMW গাড়ি নিয়ে ঘুরছে।
১ম জামাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, এটা কোথায় পেলে?
বল্টু হেসে জবাব দিলো, “আমার শ্বশুর খুশি হয়ে এটা গিফট করেছে”



০৯.
একটা কথা বলা টিয়া পাখি প্রতিদিন টিনা'কে দেখলেই ডাকাডাকি শুরু করে দিত, "আপা, আপা, আপা"।

টিনাতো খুশিতে গদগদ হয়ে যেই পাখিটার কাছে যেত, অমনি পাখিটা সুর পাল্টিয়ে বলতে শুরু করতো, "বিস্রী, বিস্রী"। টিনাতো রাগে ফেটে পড়লো। দোকানদারকে বেশ হুমকি দিয়ে আসলো। বেচারা নতজানু হয়ে মাফ চাইলো। পরদিন, একি ঘটনা।

এবার টিনা আরো রেগে গেলো। বল্লো, এই টিয়া পাখিটার কোন ব্যাবস্থা না করতে পারলে পাড়া থেকে দোকানদারকে বিদায় করবে। তো তার পরদিন, টিনা আবারো হেটে যাচ্ছে। যথারীতি পাখিটা ডাক দিলো, "আপা, আপা"। কি জানি কি মনে করে আরেকবার টিনা কাছে এলো।

পাখিটা আর কিছু বলেনা। টিনা জিজ্ঞেস করলো, "কি?"। তখন পাখিটা বল্লো, "বুঝতেই তো পারছেন!"

১০.
চার কাউবয় একসাথে আগুনের পাশে গোল হয়ে বসে আলোচনা করছে, সবচে’ দ্রুত কোন জিনিস।
প্রথমজন বলছে, ‘চিন্তা, বুঝলে? হাতে কাঁটার খোঁচা খেলে, কিংবা তামাকের ছ্যাঁকা খেলে কী হয়? সেটা চিন্তা হয়ে সাথে সাথে মাথায় ঘা দ্যায়!’
দ্বিতীয়জন বলছে, ‘আরে না। চোখের পাতা ফেলা হচ্ছে সবচে দ্রুত।

চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই আবার সব আগের মতো দেখা যায়। ’
তৃতীয়জন বলছে, ‘উঁহু, আলো। দ্যাখো না, সুইচ টিপতেই ঘর থেকে কিভাবে অন্ধকার সরে যায়?’
চতুর্থজন বলছে, ‘ঘেঁচু। সবচে দ্রুত হচ্ছে ডায়রিয়া। ’
বাকিরা ঘাবড়ে গেলো, ‘কিভাবে, কিভাবে?’
‘গেলোবার মেক্সিকোতে গরু বিক্রির সময় ওদের তরকারি খেয়েছিলাম, বুঝলে? ব্যাটারা এতো ঝাল খায়! রাতের বেলা হোটেলের বিছানায় শুয়ে আছি, হঠাৎ পেটটা কেমন যেন করে উঠলো।

তারপর আমি কোন চিন্তাও করতে পারলাম না, চোখের পাতিও ফেলতে পারলাম না, এমনকি ঘরের সুইচও টিপতে পারলাম না, তার আগেই …। ’



(সংগৃহীত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।