গত মৌসুমে তিন ট্রফি ঘরে তুলেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। কিন্তু এবারে তারা তেমন শক্তিশালী দল গড়তে পারেনি। মৌসুমে প্রথম ট্রফি ফেডারেশন কাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে তাদের বিদায় নিতে হয়। পেশাদার ফুটবল লিগে প্রথম দুই ম্যাচে পুরো ৬ পয়েন্ট তুলে নিয়ে ছিল বিপ্লবরা। তবু মনে হচ্ছিল যে কোনো সময়ে তারা পয়েন্ট হারাবে।
কিন্তু ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে শেখ রাসেল পুরো পয়েন্ট হারাবে তা ছিল অনেকের ধারণার বাইরে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ব্রাদার্সের কাছে ০-১ গোলে হেরে শেখ রাসেলকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। সত্যি বলতে কি শক্তি যতই কম হোক না কেন তুলনা করলে ব্রাদার্স তাদের কাছে ভয়ের কারণ ছিল না। যদিও প্রথম ম্যাচে আবাহনীর কাছে হারলেও ব্রাদার্সের পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়েছিল।
তৃতীয় ম্যাচেই অঘটন ঘটাবে তা কি ভাবা যায়। ভাবনা যাই হোক না কেন গোপীবাগের দলটি যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই বিজয় উৎসব করেছে।
লিগে একমাত্র শেখ জামাল ছাড়া সব দলই পয়েন্ট হারানোর খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই দল পরবর্তীতে কি করবে বলা মুশকিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত লিগে তাদেরকেই ফেবারিট বলা যায়।
অন্যদিকে শেখ রাসেলের খেলার যে মান তাতে তারা এবার ট্রফিহীন থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। শুরু থেকেই কাল বিপ্লবরা চাপের মুখে ছিল। রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ব্রাদার্স বার বার আক্রমণ করেছে। শেখ জামালের কাছে হারার পর ব্রাদার্সকে অপ্রতিরোধ্যই মনে হয়েছে। প্রথমার্ধে গোল না হলেও ব্রাদার্স এগিয়ে না থাকাটা ছিল দুর্ভাগ্য।
ইউনিস একাই দুটো সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৭৩ মিনিটে ভাগ্য খুলে যায় ব্রাদার্সের। বঙ্রে কাছ থেকে নাইজেরিয়ান কেস্টার বল দেন রুবেলকে। রুবেল আর দেরি না করে দুর্দান্ত শটে দেশসেরা গোলরক্ষক বিপ্লবকে পরাস্ত করেন। আর এ গোলেই বিজয় উল্লাসে মাঠ ছাড়ে ব্রাদার্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।