আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমিতাভ-রেখার ‘পুনর্মিলন’!

এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, ১৪ জানুয়ারি স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠানে তিন দশকেরও বেশি সময় পর জনসমক্ষে রেখার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অমিতাভ।

রেখাকে উদ্দেশ্য করে হাসিমুখে ‘নামাস্তে’ বলেন অমিতাভ।

১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া তাদের সিনেমা ‘সিলসিলা’র পর জনসমক্ষে এই প্রথম কথা বলেছেন সাবেক ওই জুটি।

এরপর রেখার হাত ধরে স্বাগত জানিয়ে এতদিনের নীরবতা ভঙ্গ করেন অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চন।

১৯৭৩ সালে রেখার সঙ্গে প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন অমিতাভ, সিনেমাটির নাম ছিল ‘নিমক হারাম’।

১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ সিনেমায় কাজ করার সময়  প্রথমবারের মতো দুজনের মধ্যে তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু এর তিন বছর আগেই জয়ার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন অমিতাভ।

জানা যায়, রেখার সিনেমা ‘আলাপ’-এর শুটিং করতে গিয়ে প্রায়ই গোপনে দেখা করতেন এই জুটি। এরপরের কয়েক বছরে মুক্তি পায় অমিতাভ-রেখা অভিনীত বেশ কয়েকটি সিনেমা, যার মধ্যে রয়েছে ‘ইমান ধারাম’ (১৯৭৭), ‘খুন পাসিনা’ (১৯৭৮), ‘গঙ্গা কি সৌগন্ধ’ (১৯৭৮), মুকাদ্দার কি সিকান্দার’, ‘আলাপ’, ‘সুহাগ’ ইত্যাদি। আর কাজের পাশাপাশি গভীর হতে থাকে তাদের প্রেম।

১৯৭৯ সালে যখন মুক্তি পায় ‘রাম বলরাম’, ততদিনে জানা যায় শুটিংয়ের ফাঁকে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন অমিতাভ-রেখা।

ওই সময় রেখাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন জয়া, কোনোভাবেই স্বামীকে ছেড়ে যাচ্ছেন না তিনি।

অবশেষে ১৯৮১ সালে এই ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনিকে সেলুলয়েডের পর্দায় তুলে ধরেন নির্মাতা ইয়াশ চোপড়া। তার সিনেমা ‘সিলসিলা’তে অমিতাভ-রেখার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জয়াও। এই সিনেমায় অমিতাভের প্রেমিকার ভূমিকায় ছিলেন রেখা আর স্ত্রীর ভূমিকায় জয়া।

আর ‘সিলসিলা’ ছিল এই প্রেমিক জুটির একসঙ্গে অভিনীত শেষ সিনেমা। ব্যক্তিগত জীবনেও এরপর পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদ ঘটে অমিতাভ রেখার।

এদিকে ১৯৮২ সালে ‘কুলি’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন অমিতাভ। স্ত্রী জয়া এবং পরিবারের সহায়তায় প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। এ ঘটনার পর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরালো হয় অমিতাভের, যা অটুট রয়েছে আজও।

এরপর থেকে জনসম্মুখে রেখাকে সবসময় এড়িয়ে চলেছেন বচ্চন পরিবার। অবশেষে প্রায় ৩৩ বছর পর পারস্পারিক দূরত্ব মিটিয়েছেন রেখা-অমিতাভ।        


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১২ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।