বৃহস্পতিবার বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনির নেতৃত্বে চার নেতা কার্যালয়ে ঢোকেন। এর আগে নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে টানা ৪৭ দিন ওই এলাকায় পুলিশি কড়াকড়িতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কার্যত বন্ধ থাকে।
বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে জনির সঙ্গে শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, যুব দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদ কার্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা খুলে ভিতরে ঢোকেন। এ সময় কয়েকজন কর্মীকেও তাদের সঙ্গে দেখা যায়।
এরপর দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, টাঙ্গাইলের সাধারণ সম্পাদক শামসুর আলম তোফা, যুব দলের পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক হাজী ইউসুফ, ছাত্র দলের সহ অর্থ সম্পাদক নূরুল হুদা নূরুসহ কয়েকজন নেতাও কার্যালয়ে যান।
এ সময় কার্যালয়ের আশপাশে পুলিশ থাকলেও কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
পরে ভবনের তৃতীয় তলায় সাংবাদিকদের আবদুল লতিফ জনি বলেন, “আমরা দীর্ঘ ৪৭ দিন পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি। এতোদিন এই কার্যালয়টি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আজকে প্রবেশের পথে আমরা কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়িনি। ”
নেতা-কর্মীদের যাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে বাধা দেয়া না হয় সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক কার্যালয় অবরুদ্ধ রাখা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। আমরা আশা করব, সরকার রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের প্রবেশে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেবে। ”
অবিলম্বে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাবৃন্দসহ রুহুল কবির রিজভীর মুক্তি দাবি করেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক জনি।
গত ২৮ নভেম্বর গভীর রাতে কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কয়েকবার কার্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আবদুল লতিফ জনি জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৭৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং পরদিন বেলা ১১টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে ফুল দেবেন।
তিনি জানান, ২০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশ হবে বিকালে।
ইতিমধ্যে মহানগর পুলিশের কাছে মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৯ জানুয়ারিও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে প্রতিবাদী সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল হবে।
নেতারা কার্যালয় যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ভিতরে ‘অবরুদ্ধ’ থাকা অফিস কর্মীদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস দেখা দেয়। অফিস তত্ত্বাবধায়ক দলিল উদ্দিন, কেয়ার টেকার হাজী মোহাম্মদ রুস্তম, কর্মী শামীম, রফিকসহ কয়েকজন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।