আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪৯ সদস্যের মন্ত্রিসভায় আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য কয়জন পেলেন?????



(পাবনার গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে জন্ম নেয়া রমা দাস গুপ্ত ওরফে সুচিত্রা সেনের বিদেহী আত্বার শান্তি কামনা করছি। মহানায়িকার মহাপ্রয়াণে আমরা শোকাভিভূত)।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সদ্যই হয়ে গেল। টানা দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অনেকটা তড়িঘড়ি করে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ৯ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন।

গঠিত হয় ৪৯ সদস্যের মন্ত্রিসভাও। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবভনে তারা শপথ গ্রহণ করেন।

এবারের মন্ত্রীসভার অবস্থা অবশ্য একেবারে লেজেগোবরে। জাতীয় সংসদের অপরিহার্য অঙ্গ বিরোধী দলই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই ঘি, মাখনের স্বাদ পেতে মরিয়া।

শেষ পর্যন্ত এমন এক মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছে যে, রাস্ট্রবিজ্ঞানীদের নতুন করে বই-টই ঘাঁটাঘাঁটি করতে হচ্ছে কবে, কোথায় এমন এক অদ্ভুতুরে মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছিল। কেননা এখানে আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতন্ত্রের সেই সুবিখ্যাত সজ্ঞা “জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য” একেবারে অচল। এজন্য বাদ বাকী আইন-কানুন মানার অত গরজ নেই! আর আওয়ামী লীগ কিইবা করবে! জাতীয় পার্টিকে সরকারে না রাখলে যদি আবার ভেগে যায়! এদের চরিত্র তো আবার ফুলের মত পবিত্র!! আচ্ছা জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা বসবে কোথায়?

যাইহোক, সরকার রাজী থাকলে “গোটা দেশের মানুষ” ‘বিরোধী দল’-এর ভূমিকা নিতে পারে। ব্লগার ভাই-বোনেরা, আমার প্রস্তাবে রাজী আছেন নাকি?

৬৪ জেলার দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু ৪৯ জনের এই মন্ত্রিসভায় ৬৪ জেলার মধ্যে ঠাঁই পেয়েছেন ৩৭টি জেলার নির্বাচিত সাংসদরা, বাদ পড়েছেন ২৭টি জেলার প্রতিনিধি।

এই ২৭টি জেলা থেকে কোনো প্রতিনিধির ঠাঁই হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভার বহরে। আবার একই জেলা থেকে একাধিক মন্ত্রীত্ব পাবার নজিরও আছে। স্বরাস্ট্র ও পররাস্ট্র মন্ত্রী পদ এখনো খালি আছে। নতুন দু’জন হবেন আশা করা যায়।

আমি ঢাকার ভোটার।

আমার নেতা (?) uncontested ছিলেন। শুধু তাই নয়। তিনি মন্ত্রীও হয়েছেন; স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী। একটা কাকতালীয় ব্যাপার ঘটে গেছে। এবারও স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লোক হিসেবেই আছি ।

কিভাবে? আমার গ্রামের বাড়ি পাবনা। এখানে মোট ৫টি আসন। আমাদের এলাকা পাবনা-১ এর মধ্যে পড়েছে। গতবার এখানে এমপি ছিলেন সদ্য সাবেক হওয়া স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। তিনি জালিয়াতি করে এবারও এমপি হয়েছেন।

হারিয়েছেন গত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ সাহেবকে। তবে এবার টুকু সাহেবের কপালে কোন মন্ত্রিত্ব জোটেনি। মেজাজটাই বিলা হয়ে গেছে । তবে পাবনা জেলায় একজন মন্ত্রী আছে অবশ্য। যাইহোক, আমার জানামতে স্বাধীনতার পর এই প্রথম আমরা (পাবনা-১) মন্ত্রী পেলাম না।



বিএনপি-র সময়ে এখানে মন্ত্রী ছিলেন নিজামী। ...থামুন ভাই, আরো আছে। আমাদের এলাকা যেমন বড় রাজাকার জন্ম দিয়েছে তেমনি সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধাদের একজনের বাড়িও এখানে। তিনি হলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার, যিনি এ. কে. খন্দকার নামেই সমধিক পরিচিত। নতুন করে উনার পরিচয় দেবার দরকার আছে? একটা কথা, তিনি পাবনা-২ আসনের এমপি।

তবে ২ নং আসন আমাদের এলাকার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। তার মানে আমাদের এলাকার কিছু অংশ পাবনা-১ এবং বেশীভাগ অংশ পাবনা-২ নং আসনের মধ্যে পড়েছে।

যাইহোক, আপনাদের খবর কি? আপনারা কে কে মন্ত্রিত্ব পেলেন?

আপনারা কোন দলে পরেছেন? ৩৭ নাকি ২৭???????

লিখে জানান।

সবাইকে ধন্যবাদ।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।