আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নদী হারাচ্ছে নাব্যতা, হচ্ছে ফসলের আবাদ

দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট-বড় অনেক নদীর অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। নদীর বুকে চলছে চাষাবাদ ও বালি উত্তোলনের মহোৎসব।

বর্ষা মৌসুমে নদীর চেহারা চেনা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে চেনা বড় কঠিন। নদীর নাব্যতা ধরে রাখতে নদী খনন করা প্রয়োজন বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা জানান।

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কালের বির্বতনে ও নদী সংস্কারের অভাবে পুনর্ভবা, করতোয়া, আত্রাই, ঢেপা, গর্ভেশ্বরী, তুলাই, কাঁকড়া, ইছামতি, ছোট যমুনা, তুলসী গংগা, টাঙ্গন, নদীগুলো এখন পরিণত হয়েছে ধু ধু বালুচরে।

দিনাজপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৯টি নদীর দৈর্ঘ্য ৭২৪ কিলোমিটার। নদীগুলোর উৎসস্থল হিমালয় পর্বত।

নব্যতা হারানোর ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, উজানে ভারত সরকার বিভিন্ন উপায়ে নদী শাসন করায় বাংলাদেশের অংশে নদীগুলোয় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও নদীগুলোর খনন কাজ না করায় দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহের গতিপ্রকৃতি বদলিয়ে যাচ্ছে। নদীগুলোর নাব্যতা হারানোর কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে নদী ভরাট হয়ে দু'কূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

এতে করে প্রতি বছরই প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর জমিরও আবাদ নষ্ট হওয়ার সম্মুখীন হয়।

মৎস্য চাষী সুরুজ জানায়, নদীকে ঘিরে প্রায় ২৫ হাজার মৎস্যজীবী পরিবার মৎস্য শিকার করে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। নদীর নাব্যতা কমে গেলে এ অঞ্চলে মাছ ধরা কমে যাবে এবং এই পেশার মানুষগুলি বেকার হয়ে পড়বে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর সদর, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, কাহারোল, বীরগঞ্জ, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্ব-পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত পুনর্ভবা, আত্রাই, গর্ভেশ্বরী ও ইছামতি নদী চেনা গেলেও বাকী নদীগুলো এখন খালে পরিণত হয়েছে।  



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।