শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস যে কোনো মূল্যে বন্ধ করা এবং এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
“এই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য যা যা করার তাই করা হবে, সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
”
বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা হবে না বলে হুঁশিয়ারি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের যতো বড় মুরুব্বিই থাকুক, যতোই তাদের পক্ষে কথা বলুক, তাদের রক্ষা করতে পারবে না। একেবারে পরিষ্কার কথা। ”
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিতে ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে। বিএনপি-জামায়াতকে এসব সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। রাজনীতি করতে হলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করতে হবে।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই নির্বাচনের পর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন প্রতিহতে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা এবং আগুনে পুড়ে মানুষ ও পশুর মৃত্যুর ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “কী করে একে আন্দোলন বলব? এটা আন্দোলন না। এটা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা।
এটা জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। ”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করতে পারেনি বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
তিনি বলেন, “নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতার পরেও প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জনগণ তাদের (বিএনপি-জামায়াত) প্রত্যাখ্যান করেছে। জঙ্গিবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
”
বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হলে হিন্দুদের ওপর ২০০১ সালের চেয়ে ‘শতগুণ বেশি’ নির্যাতন করত বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।
সাম্প্রদায়িক হামলাকে দুঃখজনক অভিহিত করে তিনি বলেন, “নির্বাচনে ভোট দেয়াই এই নিরীহ মানুষের অপরাধ। ”
সরকার গঠনের পর জনগণের মনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অবশ্য শান্তি দেখলে বিএনপি চেয়াপার্সনের মনে শান্তি থাকে না। ”
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় এই সভা শুরু হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।