.............। যদি ভুল না করে থাকি খুব সম্ভবত ২৪ শে ডিসেম্বর রাতে প্রবীন সাংবাদিক এ বি এম মুসা চ্যানেল আইতে রাত ন’টায় প্রচারিত “আজকের সংবাদপত্র” অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং বরাবের মত সঞ্চালক সাংবাদিক মতিউর রহমানকে উনি ঠাট্টাচ্ছলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে, একটি আশংকার কথা জানালেন যার নাম দিতে চাইলেন “ক্ষুর বনাম চাপাতির” লড়াইয়ের সম্ভাবনা এবং নির্বাচনের চাইতে উনি এই সংঘাতের আশঙ্কাকে প্রাধান্য দেন। ওনার মত একজন প্রথিতযশা সাংবাদিকের এই শংকাগুলো কি আসলেও হেলায় ফেলায় উড়িয়ে দেয়ার মত (?)। চিন্তিত হতে হয় বৈকি। কারন এমনও তো নয় যে এধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের জাতি হিসেবে নেই।
স্মৃতিপটে অনায়াসে চলে আসে ১/১১,২০০৭ এর পুর্ববর্তী ঘটনাসমূহ চারদিকে মারামারি,ভাংচুর আর হানাহানি দেখে বিচলিত না হবার কোন উপায় ছিল না। আবার একথাও মনে জেগেছিল যে,দায় আমাদেরও আছে যা এড়ানোর কোনো উপায় নেই। কারন আমরাই ভোট বা রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাদের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখি, তারাই সময়ে সময়ে নিজেদের পরিস্থিতি ও অবস্থানের কারনে আমাদের মত সাধারন জনগনের অধিকার আদায়ের বুলি আওরিয়ে আমাদেরকে জিম্মি করে আবার আমাদেরই গাড়িতে,বাড়িতে আগুন দিচ্ছে,ব্যবসা বানিজ্য লাটে তুলছে,অফিসে যাওয়ার পথে হতে হছে লাঞ্চিত,শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদীক্ষা যাচ্ছে উচ্ছনে। অথচ ঠিক এই ব্যক্তিগনই আবার আমাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াবে রাত দিন একাকার করে অল্প কিছুদিন পরেই, যখন নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করবে । তখন তাদের মানব হিতৈষি কর্মপরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি শুনিয়া বিশ্বজিতের আত্মা হয়তো পরলোক হইতে আঁতকে উঠবে চাপাতির কোপ খাওয়ার কথা মনে করিয়া কিন্তু যথারীতি আবারো আমাদের মহামূল্যবান একটি ভোটের কল্যানে,চলমান রাজনীতির এসব গুণী নেতাদের অনেকে জয়ী হবেন, কাঁধে নিবেন আমাদের বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের গুরু দায়িত্ব।
প্রশ্ন তাহলে, এই ক্ষুর ও চাপাতিতে কি আমরা সাধারন মানুষই কি দিনের পর দিন ধাঁর দিয়ে যাচ্ছি না ??
অন্যদিকে মোহনা ও দিগন্ত টিভির মুন্সিয়ানায় নিজ নিজ মত ও দলীয় মনোভাবাপন্ন বুদ্ধিজীবিদের সংলাপ দেখে দ্বিধাগ্রস্থ হতে হয়, কাকে এগিয়ে রাখবো এইপ্রকারের দলবাজিতে... সত্যি কি দেশের সব সাধারন মানুষের কথা প্রতিফলিত হচ্ছে এই দুটি চ্যানেলে, নাকি কিছু রাজনৈতিক ভাষ্যকে ছড়িয়ে দেয়ার বিনীত প্রয়াস মাত্র। আমরা সাধারন মানুষকি এখনও সেই গন্ডমূর্খ রয়ে গেলাম ! কিছুই বুঝি না কিছুই জানি না, সাবেক বিটিভি মার্কা আলাপ খাওয়াবে কেউ আর আমরা গোগ্রাসে গিলবো, দিল্লীর লাড্ডু ভেবে (?)
অবশেষে দাঁড় কাক প্রসঙ্গে আসি। এই দাঁড় কাক আমাদের দেশী সংস্কারের এক প্রাচীন চরিত্র। যার আগমন বা ডাক কোন কালেই শুভ হিসেবে ধরা হয়নি।
এখন প্রবীন সাংবাদিক কি সেই দাঁড় কাকের ডাক শুনতে পেয়েছেন কিনা জানি না তবে আমাদের নষ্ট রাজনীতি বারবার এই অতিথিকেই (দাঁড়কাক) কেন আপ্যায়ন করতে চায় তা বুঝার ক্ষমতা আমার নেই।
তবে অবসান চাই এই ক্ষুর,চাপাতি আর বিষেদ্গারের রাজনীতির, ফিরে আসুক সত্য,সুস্থ ও সুন্দরের চর্চা।
এগিয়ে যেতে চাই বাধাহীনভাবে গর্বিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পথে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।