বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার ও সংগঠকসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করেছিল আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন আকসু। অভিযুক্তদের মধ্যে দোষ স্বীকার করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তাই তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অভিযুক্তদের অপরাধ বিচারের জন্য বিসিবি গঠন করে দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ আবারও বসছে ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর প্রথমবার ট্রাইব্যুনাল বসেছিল। আজ ট্রাইব্যুনাল বসলেও কোনো রায় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজ সকালে গুলশানস্থ অফিসে শুরু হবে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। দুই পক্ষই হাজির করবে সাক্ষী। অভিযুক্তরা যেমন সাক্ষী আনবেন, তেমনি অভিযোগ দাখিল করা আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন আকসুও হাজির করবে সাক্ষী।
ট্রাইব্যুনাল প্রধান খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি পরিচালনা করবেন শুনানি কার্যক্রম। বাকি দুই সদস্য সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাশেম ও আজমালুল হোসেন কিউসি। ট্রাইব্যুনালের সুবিধার্থে একজন দোভাষী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম শুনানিতে আশরাফুল ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার কৌশল্য লুকারেচ্চি অভিযোগ স্বীকার করেছিলেন ট্রাইব্যুনালের কাছে। মো. রফিকের পক্ষে কোনো প্রতিনিধি ছিল না।
স্কাইপের মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছিলেন আশরাফুল ও ড্যারেন স্মিভেন্সের আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেল। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইসিসির লিগ্যাল বিভাগের প্রধান ইয়ান হিগিন্স, আইসিসির লিগ্যাল অফিসার শিলি ক্লার্ক ও আইসিসির প্রসিকিউটর জনাথন টেলর। অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন রুবেল, মাহবুবুল আলম রবিন, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের তিন কর্মকর্তা সেলিম চৌধুরী, শিহাব চৌধুরী ও সিইও গৌরব রাওয়াতের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা আপিল করেছিলেন। আশরাফুলের শাস্তি যাতে লঘু হয়, সে জন্য তার ভক্তরা নানামুখী কার্যক্রম করছেন। তারা পোস্টার লাগিয়েছেন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।