আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩শ’ রোগী হত্যায় জড়িত চিকিৎসক!

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় পারানা প্রদেশের সরকারি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ৫৬ বছর বয়সী বিধবা ডা. ভার্জিনিয়া সোয়ারেজ দ্য সুজা ও তার চিকিৎসক দল প্রাদেশিক প্রধান শহর কিউরিতিবার ইভাঞ্জেলিকাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ওই রোগীদের পেশী শিথিলকরণের জন্য এক ধরনের ওষুধ খেতে দেন। তারপর তাদের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে রাখেন। এতে শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হয় এবং রোগীরা মারা যান। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি মাসে সুজাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এখনো পর্যন্ত তদন্তে ৭ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সুজাসহ আরো তিন চিকিৎসক, তিনজন নার্স এবং একজন ফিজিওথেরাপিস্টের বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগও আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ৩ শতাধিক রোগী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। আইন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, হাসপাতালে আসা অন্য রোগীদের জন্য বিছানা খালি করার জন্যই তিনি এসব রোগীদের হত্যা করেছেন। তার টেলিফোন আলাপে এমন আভাসই পাওয়া গেছে।

দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সুজার টেলিফোন কথোপকথনের কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়। সেখানে সুজা বলেছেন, ‘আমাদের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র খালি রাখার দরকার। বিষয়টি আমাকে বেশ অসহিষ্ণু করে তুলেছে। তবে আমাদের এই কর্মকাণ্ডে হয়তো অন্য একটি জীবনের জন্য সুফল বয়ে আনছে। ’ আইন কর্মকর্তাদের সূত্র জানিয়েছে, এই হাসপাতালে ৭ বছরে অন্ততপক্ষে ১৭শ’ রোগী মারা গেছে।

আর এই সময়টিতে চিকিৎসক সুজা নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে কাজ করেছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্ব পাওয়া তদন্তকর্মকর্তা ডা. মারিও লাবাতো জানান, ‘হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা রেকর্ড বলছে, অনেক রোগীই মারা যাওয়ার আগে সচেতন ছিলেন। আর এ কারণে তাদের আকস্মিক মৃত্যুবরণ করাটা রহস্যময়। ’ তিনি আরো জানান, ‘৭টি মৃত্যুর ঘটনার পর আরও ২০ রোগীর মৃত্যুর সঙ্গে সুজার জড়িত থাকার সম্ভাবনা আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি আরো ৩শ’ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সুজা জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

’ ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তদন্তকারীরা যদি সুজার বিরুদ্ধে ৩শ’ রোগী হত্যার ঘটনা প্রমাণ করতে পারেন তবে বিশ্বের ভয়ঙ্করতম ‘ধারাবাহিক খুন’ হিসেবে ‘ভয়ঙ্কর রেকর্ড’ হবে এটি। এরআগে হ্যারল্ড শিপম্যান নামে এক ইংরেজ চিকিৎসক ২১৫ জন রোগীকে হত্যা করেছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।