লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই
যদি হত এমন-
আমার বয়েসী সবাই বৃদ্ধ হয়ে গেল
আর আমি যেমন আছি তেমনই থাকবো।
টিকোলো নাকের অহমিকায়, উজ্জ্বল শ্যামের দম্ভে, গৌর বর্ণের গর্বে;
আমাকে কুরুপ ভেবে যারা করেছিল প্রত্যাখ্যান,
শুধু মাত্র যৌবনের ফুল্লধারা সৌন্দর্যকে পুঁজি করে
তাদের জানুর সামনে বসবো হাঁটু মুড়ে।
তোমাদের প্রেমিকরাতো সবাই বৃদ্ধ- জানি কেউ কেউ গিয়েছে মরে;
এবার তাহলে, আর কেন! আর দিওনা ফিরিয়ে-
একটুখানি প্রেম দাও মোরে আজলা ভরে।
তোমার তোবড়ানো গাল, কুঞ্চিত কপাল, বসে যাওয়া নাক,
আর আমি সেই আগের মতই শক্ত-সমর্থ যুবক;
পাকেনি একটিও চুল-কয়েকগোছা শুধু সামনের দিকে গিয়েছে উঠে ।
তাকিয়ে দেখো একটিবার-তোমার জুড়িয়ে যাওয়া জীবনে
আমি যৌবনের অমূল্য উষ্ণতা এনেছি।
নবাগতের উজ্জ্বল স্বপ্ন তোমার ক্ষয়িষ্ণু দৃষ্টির সামনে
নিভে যাবার আগেই এবার নাও লুফে।
তবুও কি তাদের পাবো যাদের বেসেছি ভালো
বাল্যে, কৈশরে, দীর্ঘতর যৌবন ভরে।
তোমার জন্যেই, শুধু তোমার জন্যেই হে মানবী;
পরম আদরে বুকে আগলে সময় রেখেছি পুষে,
সবকিছু শেষ হয়ে গেছে তবু যৌবন যায় নি ফুরিয়ে।
গায়ে লাল চেলী পড়াবো, খোপায় ফুটবে রক্ত রাঙ্গা জবা;
যদিও তোমার আশি, আমি সেই ত্রিশের কোঠায় আছি।
অনেক বছরের লম্বা যৌবন, রক্ত এখনো অনেকটাই গরম
আসো আমার দুই প্রসারিত বাহুর মাঝে,
আবেষ্টনী দিয়ে ধরো জড়িয়ে-এমন পাবেনা আর কাউকে,
তোমার এই পড়তি বয়সে!
আর ভনিতা করো না, এবার তাহলে-
দমকা বাতাসে বহু সাধনার যৌবন প্রদীপ বুঝি যায় নিভে!
একটুখানি প্রেম দাও তবে আজলা ভরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।