আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চল, গিয়ে ইহুদি মারি!



"তুই পত্রিকায় স্টিভেন স্পিলবার্গের স্পিচটা পরেছিস? সিনেমাকে ঘিরে তার জীবনদর্শন নিয়ে খুব সুন্দর গুছিয়ে বলেছেন। "
"ঐ ব্যাটার ইন্টারভিউ পড়ার আমার কোনই ইচ্ছে নেই। "
"তোর না সিনেমার প্রতি আগ্রহ ছিল বলে জানতাম! এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্পিলবার্গের চেয়ে বেশি যোগ্য আর কয়জন ডিরেক্টর পাবি তুই?"
"ঐ ব্যাটার কিছুতেই আমার কিছু আসে যায় না। ঐ ব্যাটা ইসরায়েল সমর্থক!"
"সে একজন ইহুদি, সে ইসরায়েল সমর্থন না করে কাকে করবে? তুই কী ইরাক আমেরিকা যুদ্ধের সময়ে বুশকে সাপোর্ট করেছিলি?"
"ঐটা একটা অন্যায় যুদ্ধ ছিল। ইসরায়েলও অন্যায়ভাবে মিডল ইস্ট দখল করে আছে....."
"ওদের দৃষ্টিতে ওরা অন্যায় করছে না।

যার যার দৃষ্টিকোণের ব্যপার। "
"ইহুদিরা চিরদিনই মুসলমানদের শত্রু! ওদের রক্তেই বেইমানী মিশে আছে! ওদের ধ্বংশ করতে হুজুরের (সঃ) নির্দেশ আছে। "
"এইটা একটা ফালতু কথা বললি। "
"না জেনে শুনে কথা বলতে আসবি না। সেই মহা নবীর(সঃ) সময় থেকেই ওরা আমাদের পিছে লেগে আছে।

তাই যুগে যুগে তারা ধ্বংশ হয়ে আসছে। হিটলার যে ছ্যাচাটা তাদের দিচ্ছিল! ইশ! হিটলার যদি আরও কয়েকটা বছর বেঁচে থাকতো!"
"অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। "
"মানে?"
"মানে, জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান। "
"তুই কিন্তু ফালতু কথা বলতে শুরু করেছিস। "
"ফালতু কথা তুই বলছিস।

ইতিহাস না জেনেই, কিছু মূর্খ উলামার কথায় বিশ্বাস করে ফালাফালি শুরু করেছিস। "
"মূর্খ! তুই বলতে চাচ্ছিস পৃথিবীতে লাখ লাখ মুসলমান মূর্খ, আর তুই একলাই জ্ঞানী?"
"আমি তোর সাথে একমত, পৃথিবীতে আসলেই লাখ লাখ মুসলমান মূর্খ। এটাতো সর্বজন স্বীকৃত যে সমাজে জ্ঞানীর তুলনায় মুর্খের প্রপর্শন বেশি। তবে আমি একলাই জ্ঞানী, এই কথা বলবো না। আমি জ্ঞানীদের কাছ থেকেই বেশ কিছু তথ্য জেনেছি যা তোর ওস্তাদেরা জানার প্রয়োজনটাও বোধ করেনি।

"
"তুই কোন তথ্যের কথা বলছিস?"
"তুই যে বললি হুজুরের(সঃ) যুগ থেকেই ইহুদিরা মুসলমানদের শত্রু। ওদের ধ্বংশ করতে হুজুরের নির্দেশ আছে। "
"ভুল তথ্য দিলাম? মনে নাই খন্দকের যুদ্ধের পরে হুজুর নিজেই বনু করাইজা গোত্রের সব ইহুদিদের মৃত্যু দন্ড দিয়েছিলেন? "আচ্ছা, ঠিক আছে। তুই ইতিহাসের একটা সত্য দলীল পেশ করেছিস। তোকে অভিনন্দন! কিন্তু তুই কী মূল ঘটনা জানিস?"
"ওরা বেইমানী করেছিল বলেই ওদের শাস্তি দেয়া হয়েছে।

এর বেশি আর কী জানার আছে?"
"এইটাই তোদের সমস্যা। পরীক্ষায় পাশ করার মত যথেষ্ট পড়া হয়ে গেলেই খুশি! এর বেশি আর জানার কোন ইচ্ছেই নেই। চল তোকে ইতিহাস পড়াই। "
"তুই কী বলতে চাইছিস আমি ইতিহাস জানিনা?"
"অবশ্যই জানিস না। তুই যে ঘটনার কথা বললি, বলতো ঘটনাটি কবে ঘটেছে?"
"খন্দকের যুদ্ধের পরপরই।

হয়েছে?"
"গুড! হয়েছে!"
"তারপরও বলবি আমি জ্ঞানহীন?"
"না, তোকে জ্ঞানহীন বলা কথাটা আমি উইথড্র করলাম। তবে আমার প্রথম কথাটা এখনও ঠিক। অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। কম্পাউন্ডার যখন ডাক্তারী ফলাবার চেষ্টা করে, রোগীর জানের দফারফাতো হবেই!"
"তুই কিন্তু আমাকে অপমান করেই যাচ্ছিস। "
"কিছু মনে করিস না।

তোর উপর আমার রাগ নাই। তোর মত মানসিকতার তামাম জনগোষ্ঠির ওপর রাগটাই তোর উপর ঝাড়ছি। "
"ফালতু বকবক না করে যা বলতে চাচ্ছিস বলে শেষ কর। "
"রাইট! চল খন্দকের যুদ্ধের ঘটনায় যাওয়া যাক। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মক্কার কাফিরদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মদিনায় এসে আশ্রয় নিলেন।

তারপরেও মক্কাবাসীর স্বস্তি আসে না। তারা বদরের যুদ্ধ করলো, ওহুদের যুদ্ধ করলো, প্রচুর মুসলমান মারলো কিন্তু যেহেতু নবীজি (সঃ) নিজেই বেঁচে ছিলেন, তাই তারা কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিল না। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিল চূড়ান্তভাবে সব মুসলমানকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। তারা দশ হাজার সৈন্যের একটি সেনাবাহিনী নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো। নবীজি (সঃ) মাত্র তিনহাজার মুসলিম সেনা জড়ো করতে পারলেন।

তাই তিনি শুধু শুধু রক্তপাতের সংঘাতে যাবার চেষ্টা করলেন না। তিনি বরং এমন বুদ্ধি করলেন, যা আগে কখনই আরবে কেউ করার কথা চিন্তাও করেনি। মদিনার তিনদিকে ছিল উঁচু পাহাড়, কাজেই এর উত্তর দিক ছাড়া কোরাইশ সৈন্যদের ঢোকার আর কোন পথ ছিল না। নবীজি (সঃ) সেই প্রবেশ পথেই খন্দক বা বিশাল গর্ত খুড়ে দিলেন। কোরাইশ সৈন্যরা এসে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

তাদের ঘোড়াগুলো লাফিয়ে সেই খন্দক পেরোতে পারবে না। এ ছাড়া খন্দক অতিক্রম করার আর কোনই উপায় নেই তাদের কাছে। তারা এইপারে বোকার মত দাঁড়িয়ে রইলো। "
"এইসবতো জানিই। নতুন কী আছে এতে?"
"তারা তখন বুদ্ধি বের করলো মুসলমানদের ধ্বংশ করতে হলে তাদের মদিনার ভিতর থেকেই আক্রমণ করতে হবে।

মদিনার ভিতরে তখন তাদের বন্ধু ছিল ইহুদি গোত্র বনু করাইজা। "
"এই যে বলছিলাম না, তারা জাত বেইমান! মুসলমানদের সাথে তাদের শান্তি চুক্তি করা ছিল, তারপরেও তারা ঠিকই কোরাইশদের সাহায্য করেছিল! "
"বনু করাইজা কোরাইশদের ব্যবসায়িক সঙ্গী ছিল। তারা আসলেই মুসলমানদের সাথে বেইমানী করার চেষ্টা নিল। কোরাইশরা যদি মদিনায় ঢুকতে সফল হয়ে যেত, তাহলে তারা একটাও মুসলমানকে প্রাণে বাঁচতে দিত না। নবীজি (সঃ) তাদের এই আচরণে ভীষন হতাশ হলেন।

তিনি তাদের গ্রামকে ঘিরে ফেলেন এবং তারা পচিশ দিন পর আত্মসমর্পণ করে। তখন নবীজির(সঃ) হাতে দুইটা অপশন ছিল। হয় তাদের মাফ করে দেয়া, যেমনটা আগে দুইবার ইহুদিদের সাথে করেছিলেন, কিন্তু তারা বারবার একই কাজ বারবার করতে লাগলো। বেইমাণী। আর তাছাড়া তাদের ছেড়ে দিলে তারা গিয়ে কোরাইশদের সাথে যোগ দিয়ে কোরাইশদের শক্তি বৃদ্ধি করতো।

আর দ্বিতীয় অপশন, তাদের শাস্তি দেয়া। "
"আর সেটাই তিনি দিলেন এবং সেটাই উচিৎ হয়েছে। "
"না, ব্যপারটা এতোটা সহজভাবে দেননি, যেমনটা তুই চিন্তা করছিস। তিনি ইহুদীদের বললেন, 'তোমরা নিজেরাই একজন লোকাল নেতা সিলেক্ট করো যে তোমাদের বিচার করবে। ' তারাই তখন সা'আদ ইবন মু'আদকে নির্বাচন করলো।

হুযুর (সঃ) সা'আদকে বললেন 'তুমিই বল এদের কী শাস্তি হওয়া উচিৎ?'"
সা'আদ ইবন মু'আদই ঠিক করলেন তাদের মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিৎ। কারন, সেই যুগে, বিশ্বাস ঘাতকতার একমাত্র শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। "
"তাহলে আমাকে মূর্খ বলছিস কেন?"
"মূর্খ বলছি এই কারনে যে তোরা আসল ব্যপারটাই লক্ষ্য করছিস না। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাদের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন তাদের বেইমানীর জন্য। ইহুদি হওয়ার জন্য নয়।

আমাদের দেশের ক্ষেত্রে দেখলে বলতে হবে, আমরা যেমন রাজাকারদের ফাঁসী চাই, সেটাও একাত্তুরে তাদের বেইমানীর জন্য, মুসলমান হওয়ার জন্য কিন্তু নয়। বনু করাইজার জায়গায় অন্য কোন সম্প্রদায়, সেটা খ্রিষ্টান হোক অথবা মুসলিম - যেই থাকতো, তাদেরও একই শাস্তি হতো। আর তাছাড়া সেই মাসাকারে কেবল মাত্র ইহুদি পুরুষদের হত্যা করা হয়েছিল, নারী ও শিশুদের নয়। ইহুদি হওয়াই যদি তাদের একমাত্র অপরাধ হতো তাহলে নবীজি তাদেরও হত্যার নির্দেশ দিতেন। "
"কিন্তু ইহুদিরা জাত বেইমান! মুসলমানদের সাথে ওরা জন্মের পর থেকেই লেগে আছে।

"
"একই কথা কিন্তু তারাও বলতে পারে। তারাও বলতে পারে, মুসলমানেরাও তাদের জন্মের পর থেকেই তাদের পিছে লেগে আছে। বাস্তব হলো, আল্লাহ কিংবা নবীজি কখনই ধর্ম নিয়ে কারও উপর জোর খাটাতে বলেননি। হুজুরের সময়ে "উম্মাহ" বলতে তিনি পুরো জাতিকেই বুঝাতেন, কেবল মুসলমানদেরই নয়। নবীজি সকল ধর্মের, সকল মানুষদের জন্যই শান্তির বাণী নিয়ে এসেছিলেন।

কেউ যদি আল্লাহকে মান্য করে নবীজিকে(সঃ) স্বীকার করে সুখে শান্তিতে বাস করে, তাহলে উপকার তারই হবে। যদি না করে, তাহলে সেটা আল্লাহর সাথে তার ব্যক্তিগত বোঝাপড়া। আমরা মুসলমানেরা উল্টা নবীজিকে(সঃ) বিশ্বাস করে তাঁরই কথার উল্টো পথে চলি। তিনি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন, আমরা সুযোগ পেলেই হিন্দু মারি, ইহুদি মারি, খ্রিষ্টান দেশে গিয়ে বোমা ফাটাই! নবীজি(সঃ) স্পষ্ট করে বলেছেন, 'পিতার অপরাধের জন্য পুত্র দায়ী নয়, পুত্রের অপরাধে পিতাকে দায়ী করা যাবেনা। ' ইসলামে কোলাটেরল ডেমেজের কোন স্বীকৃতি নেই।

উল্টো ইনোসেন্ট মানুষ মারার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট জাহান্নাম!"
"আর ওরা যে ইনোসেন্ট মুসলমান মারছে বিশ্বজুড়ে? ইরাকে আক্রমন চালিয়ে মুসলমান মেরেছে!"
"ইরাকে আক্রমন করেছে তেলের জন্য। জর্জ বুশ কোন খ্রিষ্টান মাসিহা নন যে কেউ পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়লে তার পার্সোনাল সমস্যা তৈরী হয়। তার তেলের ব্যবসা, সে নিজের ফায়দার কথাই চিন্তা করেছে। অন্যায় যুদ্ধ ছিল, কোন সন্দেহ নেই কিন্তু তোরা যে কারণ দেখছিস, সেটাও ঠিক না। ইরাক যুদ্ধের জন্য বুশ সরকার দায়ী, পুরো পৃথিবীর খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নয়।

ফিলিস্তিনিদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে, সেখানেও দেখবি ইসরায়েলের সরকার প্রাথমিকভাবে দায়ী। নির্দোষ মানুষ মারতে শুরু করলে সবারই সিম্পেথি থাকে নির্যাতিতের দিকে। ইসরায়েলি অনেক পরিবার হয়তোবা তাদের সরকারের বিরুদ্ধে যাবার চিন্তা করছিল। কিন্তু যখন দেখলো, মুসলমানেরা পাল্টা জবাব হিসেবে তাদেরও সিভিলিয়ান মারা শুরু করেছে, তখনই তারা চলে গেল পুরোপুরি ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের কথাই ধর।

আমেরিকান সিভিলিয়ানরাই ক্ষেপে গিয়ে নিজের সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলেছিল। সেভেনটি ওয়ানে, নিক্সন সরকার পাকিস্তানীদের মদদ দিলেও, সাধারণ আমেরিকানরাই এগিয়ে এসেছিল সাধারণ বাঙ্গালী মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে নেয়ার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু তাতেও শান্তির পথের সন্ধান করতে হবে আগে। খন্দকের যুদ্ধ তারই প্রমাণ।

রক্তের পরিবর্তে রক্ত - এসব জাহিলী যুগের প্রথা ছিল। নবীজি বিদায় হজ্জের ভাষণে সে প্রথাই রহিত করেছিলেন। আর সবচেয়ে বড় প্রমাণতো মক্কা বিজয়ের সময়েই তিনি দিয়েছেন। এত জ্বালাতন করা কোরাইশ কাফিরদের নিজের হাতের মুঠোয় পেয়েও তিনি ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তিনি ইচ্ছে করলেই সবার প্রাণ নিতে পারতেন, সেটা তিনি করেননি।

অথচ আজকে আলকায়েদার মতো সংগঠনেরা বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারপরে তাদের কাজকে লিগ্যাল স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য বলে তারা মুহাম্মদের(সঃ) রাস্তায় চলছে। জ্বী না। নবীজি বা আল্লাহ কোথাও বলেননি বিনা কারনে রক্তপাত ঘটাতে। বরং উনাদের নামকে বদনাম করার শাস্তি স্পষ্ট, জাহান্নাম!"
"হুমম।

"
"একজন লোক ইহুদি হলেই বদমাইশ হয়ে যায়না। একজন মানুষ মুসলমান হলেই ফেরেশতা হয়ে যায় না। নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মহাত্মা গান্ধীরা কেউই মুসলমান নন। অথচ তাঁদের জীবনাদর্শ দেখ, একেবারে ঠিক সেটাই যা মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর উম্মতদের জন্য নির্দেশ দিয়ে গেছেন। এরশাদ শিকদার, কসাই কাদের, ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খান - এরা প্রত্যেকেই ছিল মুসলমান।

তাদের ব্যপারে কী বলার আছে তোর?"
"হুমম। "
"আমরা সাধারণ মানুষ। আমরা মানুষদের বিচার করবো কেউ মানুষ হিসেবে কেমন। আমার মুখ এবং হাত থেকে অন্য কেউ যেন কষ্ট না পায়, সেটা লক্ষ্য রাখাই আমার দায়িত্ব। কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিনা, রোজা রাখে কিনা সেসব হিসাব আল্লাহ রাখছেন।

তাঁকে অমান্য করার শাস্তি যদি দিতেই হয়, সেটা তিনিই দিবেন। আমি কেন শুধু শুধু অশান্তি সৃষ্টি করতে যাব? তুই জানিস, আমি যখন একটা রিটেইলে কাজ করতাম, আমার একটা টেক্সান ম্যানেজারের খুব নেগেটিভ ধারনা ছিল মুসলমানদের নিয়ে। একদিন সে আমার কাছে এসে স্পষ্ট করেই বলেছিল, 'তুমি একজন মুসলিম। কিন্তু তোমার আচরণ মুসলমানদের মতন নয়। তোমাকে বেশ শান্ত এবং ভদ্র বলে মনে হয়।

আচ্ছা, তোমাদের ধর্মে কি আসলেই বলে খ্রিষ্টান এবং জিউইশদের ধরে ধরে মারার কথা?' পরে আমি তাকে বোঝালাম যে তোর মত মানুষদের মিস কনসেপশনগুলো কোথায় কোথায় আছে। আরে যে ধর্মে বিনা কারনে একটা পিপড়া মারার নিয়ম নেই, তোরা মানুষ খুন করে সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করিস!"
"তারপরে তোর ম্যানেজারের কী হলো? মুসলিম হয়ে গেল?"
"সে মুসলিম হয়ে যাবার অনেক কাছাকাছি এসে গিয়েছিল। কেবল মাত্র একটি কারনে তার মুসলমান হওয়া হলো না। "
"কী কারন?"
"সে ছিল লেসবিয়ান। "



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।