আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবাধে সোনা পাচার

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে সোনা পাচার। বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়াতেই চোরাকারবারিরা সীমান্তকে পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে বেঁছে নিয়েছে বলে মনে করছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এজন্য তারা বাংলাদেশ ঘেষা জেলাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে।

মাস দেড়েকের মধ্যে সীমান্তে অন্তত তিনটি বড় মাপের সোনার চালান ধরেছে বিএসএফ। ধরা পড়া সোনার পরিমাণ এতটাই বড় মাপের যে পাচার চক্রের জাল কতটা বিস্তৃত তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বিঘ্ন ভারতীয় প্রশাসন।

বাড়ানো হয়েছে বনগাঁ, মুর্শিদাবাদ, মালদহের সীমান্তে সোনা উদ্ধারে বাড়তি চাপ।

বিএসএফ'র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এডিজি বংশীধর শর্মা বলেন, গত দুই সামে সীমান্তে সোনা পাচার এতটাই বেড়েছে যা জাল নোটের পাচারকেও ছাড়িয়ে যাবে।

গত কয়েক মাসে বিপুল পরিমান সোনা ধরা পড়েছে দমদম বিমানবন্দরে। এরপরই সীমান্তে সোনা পাচার বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে বনগাঁর হরিদাসপুর সীমান্তে সাইকেল সমেত এক যুবককে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ।

বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সাইকেল হাঁটিয়ে নিয়ে ওই যুবক ভারতে ঢুকেছিল। বিএসএফ'র সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশিতে প্রথমে কিছু মেলেনি। পরে সাইকেলের টায়ারে হাত পড়তেই বেরিয়ে আসে সোনার বার। প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা মূল্যের ২ কেজি ৮০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয় সাইকেলের টায়ারের ভেতর থেকে। ধৃতকে জেরা করে পুলিশের ধারণা, ক্যারিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন পাচারের সঙ্গে জড়িত ওই ব্যক্তিকে সম্প্রতি সোনা পাচারের কাজে লাগানো হয়।

গত মাসে প্রায় একই জায়গা থেকে ৩২ কেজি রুপা ও বেশ কিছু সোনা উদ্ধার করে বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, রোজই কোনও না কোনও সীমান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে সোনা।

নভেম্বরে বহরমপুরে একটি গাড়ি থেকে ৫৮ কেজি ৮৭৭ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংসাদেশ থেকে ঢোকা ওই সোনা সমেত দক্ষিণ দিনাজপুরের ও রাজস্থানের দু'জনকে জাতীয় সড়কেই সেই গাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএসএফ'র এক কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্তে চোরাই সোনা চালান বেড়ে যাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, শুধু এ রাজ্যের সীমান্ত নয়, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে, সেখান দিয়েই সোনা ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে।

এদিকে গত মাসখানেকের মধ্যে মালদহের কালিয়াচকে চড়িঅনন্তপুর থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৪৪ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। মুর্শিদাবাদের সুতি নিমতিতা সীমান্ত চৌকি এলাকা থেকে মিলেছে ২০ কেজি বিস্ফোরক। দু'দিন আগেই বনগাঁর সীমান্ত থেকে ধরা হয়েছে ১০ কেজি বিস্ফোরক। সব ক্ষেত্রেই ধৃতদের জেরা করে পুলিশের অনুমান, এরা নিতান্তই ক্যারিয়ার।

টাকার বিনিময়ে নানারকম সামগ্রী সীমান্ত দিয়ে পাচার করাই এদের কাজ। ইদানীং এরা প্রায় সকলেই সোনা পাচারে যুক্ত হয়েছে। সূত্র: এই সময়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।