আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রংপুর-৬ এ প্রার্থী হচ্ছেন শিরীন শারমিন

সোমবার রংপুর থেকে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন শিরীন শারমিন।

রোববার রংপুর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

ওই আসনে উপনির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে স্পিকারের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছায়াদৎ হোসেন বকুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলু।

এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

গত ৫ জানুয়ারির ভোটে গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা। এরপর তিনি গোপালগঞ্জের আসনটি রেখে নিজের শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের আসনটি ছেড়ে দিলে ৮ জানুয়ারি আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।

এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমও কিনেছেন স্পিকার।

তবে রোববার গণভবনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসন থেকে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম তুললেও দলের মনোনয়ন পাননি দেশের প্রথম নারী স্পিকার শিরীন শারমিন।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য হিসেবে নবম জাতীয় সংসদে প্রথম আইনসভায় আসেন পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিন। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর নবম সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সরকারের মেয়াদের আট মাস বাকি থাকতে স্পিকার হন শিরীন শারমিন। গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি স্পিকার হিসাবে শপথ নেন।

শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়।

বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব। মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।

১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম স্থান নিয়ে এসএসসি পাস করেন শিরীন। দুই বছর পর একই বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাস করেন।

১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে অবস্থান অটুট রেখেই এলএলএম ডিগ্রি নেন শিরীন শারমিন।

এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান তিনি।

শিরীন বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৯২ সালে। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।