বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমারের সমন্বয়ে অর্থনৈতিক জোট গঠনের প্রস্তুতি চলছে। সদস্য দেশগুলোর আদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত এ জোটের সম্ভাব্য নাম হতে পারে বিআইসিএম কো-অপারেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ফোরাম। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই অর্থনৈতিক শক্তি চীন ও ভারতের সঙ্গে বিকাশমান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অর্থনৈতিক জোট এ এলাকার উন্নয়নে যেমন অবদান রাখবে তেমনি বিশ্ব অর্থনীতিতেও তা এক বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ মুহূর্তে এশিয়ার দুই শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি চীন ও ভারত। বহু ক্ষেত্রে এ দুটি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বী এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৈরী অবস্থা বিরাজ করলেও সময়ের চাহিদা পূরণে তারা অর্থনৈতিক জোট গঠনের পথে এগিয়ে চলছে। দেশ দুটির স্টাডি গ্রুপ যৌথভাবে অর্থনৈতিক জোট গ্রহণের একটি প্রস্তাবপত্র তৈরিও করেছে। জোট গঠিত হলে দেশগুলোর মধ্যে করিডোর স্থাপিত হবে। বাণিজ্যিকভাবে দেশগুলো একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হবে। জোট গঠনের এই উদ্যোগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার তাদের সম্মতির কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আবারও দায়িত্ব গ্রহণ করায় বাণিজ্যিক জোট গঠনের কাজ আরও বেগবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জোটের প্রস্তাবক দুই দেশ চীন ও ভারত এ মুহূর্তে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে এখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে ভাবা হয়। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে ভারত ও চীনের পর বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে। এশিয়ার এ অঞ্চলে এ ধরনের অর্থনৈতিক জোট গঠনের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর উৎসাহ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এ ধরনের অর্থনৈতিক জোট এ অঞ্চলের দুই প্রধান দেশ চীন, ভারতের মধ্যে সামরিক দিক থেকে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাবে। বিকাশমান দুই অর্থনীতি চীন ও ভারতের পারস্পরিক সহযোগিতা বিশ্ব অর্থনীতির চালচিত্রে ইতিবাচক আবাহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। দুই শক্তিধর অর্থনীতি চীন ও ভারতের সংস্পর্শে থাকায় লাভবান হবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিকাশমান অর্থনীতি। স্মর্তব্য, ১৯৯৯ সালে চীনের কুনমিংয়ে এক বেসরকারি সম্মেলনে এ ধরনের একটি জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়। এই কুনমিং উদ্যোগই জোট গঠনের পাদপীঠে নিয়ে এসেছে এশিয়ার এ অঞ্চলের চারটি দেশকে। আগামী দিনের বিশ্বব্যবস্থায় এ জোট শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।