ইয়েকি বুদ ইয়েকি নাবুদ। গেইর আজ আমি ও সে হিচ কাসি নাবুদ। পিশ আজ সালহঅ একটা সুন্দরী মাইয়া দেখে টার্গেট করেছিলাম। কত পিছু পিছু ঘুরাঘুরি। পথপানে চেয়ে থাকা।
আকাশ বাতাস স্বপন দেখা। মনে মনে তারে নিয়া ব্যাংকক পাতায়া ঘুরাঘুরি।
অতপর শরীফ ভাইয়ের উতসাহ ও ব্যাকআপের আশ্বাসে সাহস পাইয়া মাইয়ার সাথে শহীদ মিনারে গিয়ে মনের কথা জানাইবার উদ্দেশ্যে সামনে খাড়াইলাম। কারণ একমাত্র ঐ যায়গাতেই তাহার পায়ে জুতা থাকিবে না।
অনেক ইনিয়েবিনিয়ে মাইয়ারে কইলাম তুমার চুক্ষু সুন্দার।
মাইয়া মুস্কান হাসি দিয়া পুতুপুতু তাকাইলো। কইলো আপনার নজর ভালা। মনের মইধ্যে রোমান্স ঢেও মারিয়া গেলো। দখিনা সমিরণ বহিতে লাগিলো। তারে কইলাম তুমার পরিধেয় সুন্দার।
সে কহিলো আপনার রুচি আছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে সানাইয়ের সুর শুনিতে লাগিলাম।
আসে পাসে হংসমিথুন ছিলোনা তবে কাক্ষ পক্ষি বিচরণ করিতেছিল। তাহাদের দেখাইয়া কহিলাম দেখ কি সুন্দার পক্ষি। সে কহিলো তাহারা নতুন জোড়া বাধিতে চায় ।
তাহাদের মানাইয়াছে খুব। দে আর সো চুইট....... আরো কত ঢঙ্গের কথা বলিতেই লাগিল। আমি তাহা তে কান দিলুম না। আমি ভাবিতে লাগিলাম আমরা মোক্ষম প্রসংগে উপস্থিত হইয়াছি। এটাই উত্কৃষ্ট সময়।
মনের কথা গুলো গুছাইয়া বলিবার লাগি সাজাইতে লাগিলাম। লেকিন মনোযোগ প্রয়োগ করিতে পারিতেছিলাম না। কারণ আমি তখন অনুভব করিতেছিলাম কোনো এক পদ্মপুকুরে রাত্রি কালে আমারা এক নৌকায় বসিয়া আছি। আকাশে পূর্ণ চন্দ্র কিরণ দিচ্ছে। পাশে বসা সাড়ি পরিহিতা আমাকে উদ্দেশ্য করিয়া অতি আনন্দে রবীন্দ্র সংগীত গাহিতেছে।
...
হঠাৎ আমার মুবাইল শব্দ দুষণ করিতে লাগিলো। মূহূর্তেই চন্দ্রালোকিত রাত্র, নৌকা, রবীন্দ্র সংগীত উবে গেলো। চিপা প্যান্টের পকেট থেকে মুবাইল বাইর করে দেখি স্টার কাবাব থেকে খাইতে খাইতে, কাবাব হাতে আমার তোলা মুমিত স্যারের হিরু মার্কা ছবি ভাসিয়া উঠিয়াছে। অ সময়ে তাহার ফুন করায় বিরক্ত হইলাম। রোমান্টিক মুডে থাকায় তা প্রকাশ করিলাম না।
প্রেম কটু নাশিনী প্রমান পাইলাম।
অতপর সে মুমিত স্যার বিষয়ক প্রশ্ন করিতে থাকিলো। আমি বিশেষ মনোযোগ দিলুম না। কেবল তাহার পেলব চক্ষুর পানে চাহিয়া রহিলাম। তাহা কখনো নিভে কখনো জ্বলে উঠে।
বড়ই সৌন্দর্য।
মুমিত স্যার সিংগেল ও প্রেম করেনা জানিয়া সে আনন্দিত হইলো কিনা বুঝিলাম না। আমার চিন্তা অন্যদিকে ছিলো। চোখ ছিলো তাহার চোখে। সে মুস্কান হাসি দিয়া আমারে কইলো আমারে দুই মিনিট ভাবতে দিন।
তাহার কন্ঠ আমার কানে বাঁশির মতো বাজিলো
ওয়াক্তি কে ওয়াক্তহঅ গুজাস্ত ..... সে আমার হস্ত দ্বয় চাপিয়া ধরিলো। তখন আমার তনু মধ্যে যেন বারো হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহিত হইলো। আমি যেন আনন্দে জ্ঞান হারাইলাম। পরে দেখিলাম সময় স্থির হইয়াছে,
আমি ও প্রকৃতি বরফ হইয়া গিয়াছি। অতপর তাহার উজ্জ্বল কালো চক্ষু ছলোছলো রূপ ধারন করিয়াছে দেখিলাম।
তাহার আকুতির স্বরে বলা গুফতেগু শুনিলাম। তবে পুরা বাক্য আমার কানে আসিতেছিল না অথবা আমার কান ঐ বাক্য শুনিতে চাহিতেছিল না।
যাইহোক.. আমি যাহা শুনিতে পারিলাম তা এইরুপ :
".......... মুমিত.............. স্মার্ট ........ পার্সোনালিটি ......... হ্যান্ডসাম ....... গুড জব ....... লাভ এট ফার্স্ট সাইট ......... তাহার লগে আমার লাইন মারিয়া দেও না রাশু.... আমি তারে ভালুপাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।