শরীয়তপুর জেলা পরিষদ শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে। প্রবহমান একটি খালের ২ পাড়ে ভবনটি নির্মাণ করা হবে। খালের প্রবাহমুখ বন্ধ করে খালের ওপর চলছে ভবনের সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ। ফলে তুলাসার, হাজরাসার ও পালং মৌজার কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় পৌর এলাকার ৩টি মৌজার ২০০ একর জমিতে কৃষক বোরো আবাদ করতে পারছে না।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ তলাবিশিষ্ট ওই বাণিজ্যিক ভবনটির নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবন নির্মাণের জায়গার মাঝখানে প্রবহমান খাল থাকায় তার ওপরে সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ চলছে। গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে খালের দুই প্রান্ত বন্ধ করে দিয়ে সংযোগ সড়কের নিচের অংশের নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পৌর এলাকার তুলাসার, হাজরাসার ও পালং মৌজার কিছু ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
গত বর্ষা মৌসুমের পানি এসব জমি থেকে নামতে পারেনি। ফলে এ এলাকার কৃষকরা ২০০ একর জমিতে বোরো আবাদ করতে পারেননি। স্থানীয় কৃষক ফসলি জমি থেকে পানি কমানোর জন্য ১ সপ্তাহ ধরে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করছেন। এ খাল দিয়ে সদর উপজেলার কাগদী, আটং, বালুচড়া, ধানুকা, হুগলী, আমতলী, রুদ্রকর ও বিলাসখান গ্রামের কৃষি জমিতে সেচের পানি নেওয়া হয়। ওই এলাকার কৃষকদের চাপে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ খালের দুই ফুট জায়গা খুলে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু জলাবদ্ধ ওই কৃষি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তুলাসার মৌজার বোরো ব্লকের ব্যবস্থাপক সুলতান খান বলেন, খালটি বন্ধ করার সময় স্থানীয় কৃষকরা বাধা দিয়েছিলেন। বাধা উপেক্ষা করেই ঠিকাদার খাল বন্ধ করে নির্মাণকাজ করছেন। শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মান্নান বলেন, বিপণিবিতান নির্মাণের স্থানে একটি খাল থাকায় খালের ওপরে সংযোগ সড়কের মতো করে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। খালের পানিপ্রবাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুনছুর রহমান বলেন, খাল বন্ধ করে বিপণিবিতান নির্মাণের ফলে কৃষকের ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এমন খবর আমাদের কাছে নেই। বিষয়টি সরেজমিন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।