আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময় গেলে সাধন হবে না – বিগ-৩ প্রস্তাবের বিপক্ষে বিশ্বজনমত গঠন



শ্রীলঙ্কা টীম বাংলাদেশে আছে এখন। ২ দিন পরেই খেলা শুরু। গ্যালারী ভর্তি দর্শক খেলা দেখবে। চার-ছক্কা বা উইকেট পতনে দর্শকভর্তি গ্যালারী দেখালে ক্যামেরার সামনে ভেসে উঠবে এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্চকণ্ঠ প্রতিবাদের ধ্বনি। হাজার-হাজার প্ল্যাকার্ডের মধ্যে চার, ছয় বা প্রিয় খেলোয়াড়ের নামের পরিবর্তে থাকবে প্রতিবাদের ভাষা।

বিশ্বের সব দেশের তাবৎ ক্রিকেটপ্রেমীরা জানতে পারবে আমাদের প্রতিবাদের শ্লোগান। বিশ্বব্যাপী সমমনারাও প্রতিবাদে-প্রতিবাদে ফুসে উঠবে। এভাবেই ক্রিকেট ধবংসের পাঁয়তারা করা জমিদারের বিরুদ্ধে সবাই প্রতিবাদে নামবে। গড়ে উঠবে বিশ্ব জনমত।

শ্রীলঙ্কাও বিগ-৩ প্রস্তাবের বিপক্ষে।

এখানে এটা করলে তারা ওয়েল-একসেপ্ট করবে। শ্রীলঙ্কাতে একটা পাবলিক অপিনিয়ন তৈরি হবে। বিগ-৩ বাদে সরাসরি কেউই এই প্রস্তাবের পক্ষে নেই বলেই প্রতীয়মান। জিম্বাবুয়ে ভারতের কাছে বিক্রি হতে পারে। নিউজিল্যান্ডে ‘নো ম্যান ল্যান্ডে’ থাকতে চাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রতিবাদ জিম্বাবুয়ে বা নিউজিল্যান্ডের দর্শকদের নাড়া দিতে পারে। আমরা যারাই গ্যালারীতে যাব সবার উচিৎ একটি করে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আসা।

ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই এই মেসেজটা শেয়ার করে দ্রুত সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়া উচিৎ। যাতে খেলা দেখতে আসা প্রত্যেক দর্শক একটা করে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে যাতে মাঠে ঢুকে। সতর্ক পদক্ষেপ হিসেবে আর্ট পেপার আর মার্কার নিয়ে আসলে আরও ভালো।

কারন মেইন গেটে হয়তো এ ধরনের প্ল্যাকার্ড আটকে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে স্টেডিয়ামে ঢুকে গ্যালারিতে বসে শ্লোগান লিখতে হবে। গ্লোবাল জনমত তৈরি করার একটা সুযোগ আছে আমাদের সামনে। মোক্ষম সুযোগ।

ব্যাক্তিগত পর্যায়ে বা সমষ্টিগতভাবে স্টেডিয়ামের সামনে প্ল্যাকার্ডের ব্যবস্থা করে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের হাতে একটি করে প্ল্যাকার্ড ধরিয়ে দিতে পারলে ভালো হবে।

ভলান্টারিলি এইটা করতে পারলে ভালো। তবে কেউ বাণিজ্যিকভাবে করলেও আপত্তি নাই। বাণিজ্য ভালো হবে। এই প্রতিবাদে স্লোগানের প্ল্যাকার্ড কেনার জন্য ওখানে অনেক ক্রিকেট প্রেমী থাকবে। ।

আমাদের প্রয়োজন গ্লোবাল জনমত গঠনে কাজ করা। সেটা যেভাবেই হোক। আমার বিশ্বাস কেউ কেউ এই কাজে সামনে থাকবে। আমি নিজেও একদিন হয়তো অফিস কামাই করে এই কাজ করার ইচ্ছা রাখি। বাণিজ্যিক উদ্যেগটা যে কেউকে চাইলে নিতে পারেন।

যে যার পজিশনে থেকে এই পদক্ষেপে সহযোগীতা করতে পারেন ।

বিদেশের মাটিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশী নাগরিকরা সমমনা অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিয়ে অন্যান্য সময়ের মত এবারও তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বমিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডে যারা আছেন তারা এক্ষেত্রে একটা ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন বলে আমি মনে করি। দুইটি দেশেই বাংলাদেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী বসবাস করে। দেরি না করে সবাই সোচ্চার হোন।



সময় গেলে সাধন হবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।