২৩২ রান সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শেষ হলো টাইগারদের ইনিংস। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আর কেউ বড় অবদান রাখতে পারেনি। তৃতীয় সেশনের খানিকটা সময় পরই ২৩২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্নবিরতির আগে চার উইকেট হারালে বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন সাকিব ও মুশফিক। মধ্যাহ্নবিরতির পর ফিফটি মেরে বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আশা জাগিয়েছিলেন।
ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর বেশিক্ষণ স্থির থাকতে পারলেন না এই ব্যাটসম্যান। তাকে অনুসরণ করে কিছুক্ষণ পরই সাজঘরে ফেরেন আরেক ভরসা নাসির হোসেন। অবশ্য মুশফিকের ১৩তম ফিফটিতে পথে ফিরেছিল স্বাগতিকরা।
দলকে দুশর ঘরে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬১ রানে সুরাঙ্গা লাকমলের শিকার হন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এর আগে এদিন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্যাপ পরেন শামসুর রহমান।
বাংলাদেশি এই ওপেনার মারকুটে ব্যাটিং করেছেন। ৩৪ বলে সাতটি চারে সাজানো তার ৩৩ রানের ইনিংস। মধ্যাহ্নবিরতির আগে লঙ্কান বোলার শামিন্দা এরাঙ্গার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
দলীয় ৩৫ রানে তামিম ইকবাল (৬) এই ডানহাতি পেসারের কাছে উইকেট বিলিয়ে দেন। আরও ২৪ রান যোগ করতে গিয়ে প্রথম সেশনে বাকি তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
মার্শাল আইয়ুব ১ ও মুমিনুল হক ৮ রানে আউট হন।
মুশফিকের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়ার পথে ৮৪ বলে ফিফটি করেন সাকিব। দলীয় ৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলে রঙ্গনা হেরাথকে বাউন্ডারি মেরে ৫০ এর ঘরে পৌঁছান সাকিব। ৯১ বলে নয় চারে ৫৫ রানে আউট হন তিনি।
নাসির একটি বাউন্ডারি মেরে ব্যক্তিগত ৪ রানে এরাঙ্গার বলটি পেছনে থাকা দিনেশ চান্দিমালের হাতে তুলে দেন।
মুশফিক ৯৪ বলে নয় চারে ফিফটি মারেন। সোহাগ গাজীর সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মুশফিক আউট হলে বাকি তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন দলে ২৯ রান যোগ করতে গিয়ে। ৫৬ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে ৪২ রানে আউট হন গাজী।
এরাঙ্গা সবচেয়ে বেশি চার উইকেট নেন।
লাকমল তিনটি ও হেরাথ দুটি উইকেট দখল করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।