৫ জানুয়ারি ২০১৪-এর নির্বাচনকে বিশেষ বিশেষ মহল থেকে বলা হয় প্রহসনের নির্বাচন। কিন্তু যে নিরীহ-জীবন্ত প্রাণগুলো দগ্ধ হলো পেট্রলবোমায় পুড়ে মরতে হলো, তা তো কোনো প্রহসন ছিল না। শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড, সেই শিক্ষাব্যবস্থাকে হরতাল-অবরোধে স্তব্ধ করে দেওয়া হলো। তা তো কোনো তামাশা ছিল না। হাজার হাজার কোটি টাকার জাতীয় সম্পদ নাগরিক সম্পদ, ধ্বংস করা হলো।
তা তো গণতন্ত্রের 'হোলিখেলা' ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্য অচল করে দেওয়া হলো, তা তো কোনো গণতন্ত্রের সংস্কার ছিল না। বেশুমার বৃক্ষ কেটে ফেলা হলো, তাদেরও প্রাণ আছে বলা হয়, তারা তো গণতন্ত্রের বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। জিজ্ঞাসা হলো, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জিম্মায় হয়নি বলে প্রহসন হবে? সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীরা জানাবেন কি, বাংলাদেশে সংবিধান বহাল আছে কি? আইন ও আদালত কার্যকর আছে কি? যদি থেকে থাকে, তবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বৈধ না অবৈধ, সে রায় নেওয়া হলো না কেন? বাংলাদেশের জনগণকে রাজনৈতিক আবর্তে ছুড়ে ফেলা হলো কেন? রাজনীতির অগি্নগর্ভে ছুড়ে ফেলা হলো কেন? জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় বলতে হয়- 'দিনে দিনে শুধু বাড়িয়াছে দেনা। শুধিতে হইবে ঋণ!' রক্তস্নাত বাংলাদেশের জনগণের পাওনা রাজনৈতিক দলগুলোই পাই পাই করে বুঝিয়ে দিতে হবে।
সময় হয়ে এসেছে, না হয় আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু নিস্তার পাওয়া যাবে না। অতএব, সময় থাকতে, সাধু সাবধান!
মো. নাছিরউল্লাহ খান, ১৯৩/ এবং ফকিরাপুল, ঢাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।