২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদী তীরে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে চীনে তৈরি আধুনিক সব অস্ত্র আর গোলাবারুদ খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ আটক করে।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল কয়েক হাজার আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ লাখ রাউণ্ডের বেশি গুলি ও ২৪ হাজার নয়শ গ্রেনেড।
অস্ত্রের সঙ্গে ছিল চাল, লবণ আর তুষের বস্তাও। আটক করা হয় সাতটি ট্রাক, দুটি ট্রলার, একটি প্রাইভেটকার আর একটি মোটর সাইকেল।
পরদিন জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নেয়া হয় নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে।
অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন দেয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রে ৪৭ নম্বর আসামি হন সেই লুৎফুজ্জামান বাবর।
কি কি ছিল ১০ ট্রাকের অস্ত্রের বহরে
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ছিল- ৫৬-১ এসএমজি ৬৯০টি ও এর ম্যাগজিন ২৭৯২টি, ৫৬-২ এসএমজি ৬০০টি ও এর ম্যাগজিন ৪০০টি, ৪০ এমএম রকেট লাঞ্চার ১৫০টি, ৯ এমএম সেমি অটোমেটিক স্পোটিং রাইফেল ৪০০টি ও এর ম্যাগজিন ৮০০টি, টমি গান ১০০টি ও এর ম্যাগজিন ৪০০টি, লাঞ্চিং গ্রেনেড টিউব ২০০০টি, সাইড ফর রকেট লঞ্চার ১৫০টি।
উদ্ধার করা হয় এসএমজির গুলি ভর্তি ৫১২টি বাক্স।
এর মধ্যে ছিল সাত লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ রাউণ্ড গুলি। ১৭৬টি বাক্স ভর্তি চার লাখ রাউণ্ড গুলি। টি-৮২-২ মডেলের হ্যাণ্ড গ্রেনেড ছিল ২৪ হাজার ৯৯৬টি এবং ৪০ এমএম রকেট ৮৪০টি।
৯১ ফুট দৈর্ঘ্যের ট্রলার এমভি খাজার দান ও ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এফভি শাহ আমানত নামের ট্রলার দুটি করে আনা হয় এসব অস্ত্র।
অধিকতর তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান অভিযোগপত্রে লেখেন, সামরিক বাহিনীর অর্ডন্যান্স শাখার চার সদস্য বিশিষ্ট পরিষদ ‘জেনস পাবলিকেশেন্স’সহ সমরাস্ত্রের বিভিন্ন জার্নাল পর্যালোচনা করে মত দেন যে- চোরাচালানের মাধ্যমে আসা সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ চীনে তৈরি।
পিপি কামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতীয় বিচিছন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য আনা এসব অস্ত্র চীনের নরিনহো কোম্পানির তৈরি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।