আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘বই-লটারি’ এর মত ভিন্নধর্মী আয়োজনের শুরু হল কলকাতা বই মেলা

আমি বাংলার গান গাই , আমি বাংলার গান গাই , আমি আমার আমি কে চিরদিন এই বাংলায় খুজেঁ পাই।

বাংলাদেশের বই পড়ুয়া পাঠকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে একুশে বইমেলার জন্য। ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে এই বই মেলা। বাংলাদেশের একুশে বইমেলার মত কলকাতায় বই পড়ুয়ারা অপেক্ষা করে কলকাতার বই মেলার জন্য। মঙ্গলবার শুরু হয়েছে কলকাতা বই মেলা।

এটি কলকাতা বই মেলার ৩৮ তম আয়োজন। এবারের বই মেলার থিম হল ‘পেরু’।

উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ছিল সাহিত্যিক শঙ্কর মুখোপাধ্যায়। বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়,বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনার আবিদা ইসলাম,শিল্পী যোগেন চৌধুরী,পেরুর লেখক ইনস্ট্রেজা ক্লসেন এবং শ্রীমতী ফান্সেস্কো ডেনেগ্রি।

কালকাতার মিলন মেলা প্রাঙ্গণে এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।



লেখক শঙ্করক মুখোপাধ্যায়কে সারাজীবনের কাজের জন্য এবং তরুন কবি শ্রীজাতকে তার প্রতিভার জন্য বই মেলা পক্ষ থেকে বিশেস সম্মান জানানো হবে।

কলকাতা বইমেলায় এ বছর নতুন সংযোজন ‘বই-লটারি’।
থাকছে রূপম ইসলামের গিটার, ইতালিয় নৃত্যশিল্পীর অনুষ্ঠান। চিলির বিখ্যাত পরিচালক মিগুয়েল লিটিনের সঙ্গে অর্পনা সেনের মগ্ন আড্ডা।

ভারতের অন্য ভাষার বিভিন্ন বই নিয়ে থাকবে গোটা একটি স্টলও। ভাষাবন্ধন নামে ওই স্টলটির যৌথ ভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং লেখক তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শশি তারুরের। তৈরি হচ্ছে বই মিউজিয়ামও। গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে বলেন, “গুহাচিত্র-প্যাপিরাস-ভূর্জপত্র হয়ে আজকের ই-বুকের জমানা এই যে রূপান্তরের কাহিনি বা যাত্রাপথ, তাকে তুলে ধরা হবে সেখানে। ” এ বারের থিম কান্ট্রি হল পেরু।

তবে আয়োজকদের মতে এ বারের বইমেলার সব থেকে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে বই-লটারি। মেলায় দর্শকেরা পাঁচশো টাকা দামের অধিক বই কিনলে পাবেন একটি করে কুপন। সেই কুপনের নম্বরের উপর ভিত্তি করে হবে লটারি। দিনে দু’বার। তাতে যার নম্বর উঠবে, পাঁচ হাজার টাকার গিফট কুপনের শিকে ছিঁড়বে তার ভাগ্যে।

সেই কুপনের মাধ্যমে দর্শক নিজের পছন্দসই বই কিনে নিতে পারবেন। এই উদ্যোগের পিছনের কারণ ব্যাখ্যায় গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ইচ্ছুক ব্যক্তি এখন বই কিনতে চাইলে ওয়েবসাইট থেকেই তা কিনতে পারেন। তার জন্য বইয়ের দোকান বা বইমেলায় যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে গোটা পৃথিবীতেই এখন বই বিক্রি কমছে। গত তিন-চার বছর ধরে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলাতেও একই চিত্র ধরা পড়েছে।

ক্রমশ ভিড় কমে আসছে। আর কয়েক বছর পরে ওই মেলা সেখানে হবে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি রয়েছে। ” সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এখন থেকেই নড়েচড়ে বসেছে গিল্ড। চিরাচরিত প্রথায় বই বেচার পাশাপাশি তাই নতুন চমক আনারও চেষ্টা হচ্ছে। ভিড়ের হিসেবে পৃথিবীর সব থেকে বড় বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আজ দৃশ্যতই উৎসাহিত ভারতে নিযুক্ত পেরুর রাষ্ট্রদূত জেভিয়ার পলনিচ।

তাঁর কথায়, “এই সম্মান পেতে গত তিন বছর ধরে চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে এ বছর থিম কান্ট্রির সম্মান পেল পেরু। ভারত ও পেরুর দু’দেশের সভ্যতাই প্রাচীন। কলকাতা হল এ দেশের সাংস্কৃতিক নগরী। ফলে বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার তাগিদ আমাদের পক্ষ থেকেও ছিল।

”গোটা বইমেলায় তাই ইনকা সভ্যতার ছোঁয়া তো থাকছেই, বাড়তি আকর্ষণ সে দেশের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

যারা বই পড়তে ভালবাসের এই পেইজ লাইক করতে পারে।
"আমরা যারা বই পড়ি"

ঘুরে আসতে পারেন এখানে
"আমরা যারা বই পড়ি"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।