ম্যাকডি- তে বইসা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মুখে পুরে এক ছোটভাই বেশ দুঃখিত স্বরে বলে, জানেন বস এই দেশে আলু সবচে দামি প্রোডাক্ট। তবুও ওরা কত্তোগুলা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেয় আর আমাগো দেশে আলু পঁচে কিন্তু ফ্রাই দেয় হাতে গুইনা...কথা সত্য...আমি ছোট ভাইয়ের দিকে তাকাই..আলু নিয়া ওর ব্যাথাটা বাংলাদেশের কৃষকদের চেয়ে কম না...বাংলাদেশ থেইক্যা রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করতে গিয়া পার্টনারের বেইমানিতে বহুত টাকা লস খাইছিলো এই ছেলেটা...এই লোকসান সামাল দিতে গিয়ে তাকে দেশ ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে এই বিদেশ বিঁভূইয়ে..
এবারো উত্তরবঙ্গে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে...যথারীতি ফসলের বাম্পার মানে কৃষকের দফারফা...দর একবারে পড়ে যাওয়া...মাঠের ফসল মাঠেই পঁচে মরা নয়তো গবাদি পশুর খাদ্যে পরিনত হওয়া...কৃষকের গরু আরামে কষ্টের ফসল চিবায় আর কৃষকের সন্তান ভাতের খিদায় ফ্যা ফ্যা করে কাঁদে... খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম দাম পড়ে যাওয়ায় এবারে উত্তরবঙ্গের আলুচাষীদের বিঘাপ্রতি লোকসান গুনতে হবে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা! বিঘায় ১০-১২ হাজার লোকসান মানে বুঝেন? তাও যদি হয় চড়া সুদে ধার করে আনা টাকা...
আমরা সারা বছরই দেশি কোম্পানিরগুলোর যে রিয়েল পটেটো চিপস খাই তাতে আলুর চেয়ে যে আটা-ময়দার পরিমান বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বিদেশি প্রিংগেলস বা লেইস নামক আলুর পরিবর্তে বাতাস ভরা যে চিপসের প্যাকেট আমরা কিনি তা দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ২ মন বা ৮০ কেজি আলু কেনা সম্ভব। বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিয়ে দেখেন...
আচ্ছা এই টাইপের চিপস ফ্যাক্টরি আমাদের দেশে হতে পারে না? এটা স্থাপন কি এতোই ব্যয়বহুল! শুধু তাই না বিশ্বের অনেক দেশের অধিবাসীদেরই প্রধান খাদ্য আলু। অথচ তাদের দেশে আলু প্রায় হয়ই না। সেখানেও তো আলু রপ্তানি হতে পারে। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে তা নিশ্চয়ই করা যায়... সরকার বাহাদুর নেন না একটা উদ্যোগ এই গরীব চাষাভুষাদের জন্য...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।