ড্রামন্ডের মতে, ইন্টারনেটের প্রতি বিশ্বাস পুনরায় ফিরিয়ে আনতে ইন্টিলিজেন্স এজেন্সিগুলোর প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা বদলাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের-- এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
যখন জানতে পেরেছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) গুগলের ডেটা হ্যাক করেছে তখন বেশ বিস্মিত এবং ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তিনি, এভাবেই নিজের অনভূতি প্রকাশ করেন ড্রামন্ড। তিনি জানান, ফোন কল ডেটা সংগ্রহের উপর প্রেসিডেন্টের সীমাবদ্ধতা টানাটাই যথেষ্ট নয়। তবে তিনি মনে করেন এটি প্রশাসনের প্রথম পদক্ষেপ এবং এর শেষ পদক্ষেপটি কী হবে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, তারা এ বিতর্কের অংশ হতে ইচ্ছুক।
এনএসএ-এর সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেনের ক্রমাগত তথ্য ফাঁসের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট এবং গুগলের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো শংকিত হয়ে উঠেছিল, ব্যবহারকারীদের তাদের প্রতি যে বিশ্বাস রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কারণে হ্রাস পাবে।
সে শংকাটি যে এখনও তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তা পরিষ্কারভাবে বুঝা গেছে ড্রামন্ডের বক্তব্যে। তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ড্রামন্ড বলেছেন, “মানুষের ইন্টারনেটের উপর বিশ্বাস রাখা খুবই প্রয়োজন এবং বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন সেসব প্রতিষ্ঠানের উপর যারা এ মাধ্যমটিতে নতুন কিছু যোগ করার চেষ্টা করছে। আমরা গ্রাহকদের ইন্টারনেট বিশ্বাসের বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত কারণ এর সঙ্গে নতুন প্রবর্তনকে স্বীকার করে নেওয়ার একটি যোগসূত্র রয়েছে।
দেখা গেল আপনি হয়তো নতুন কোনো ভালো সেবা নিয়ে আসলেন কিন্ত গ্রাহক তা ভয়েই ব্যবহার করল না, তাহলে নতুন কিছু নিয়ে আসার লক্ষ্যটি সফল হবে না। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।