সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেছেন, দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছে ১০ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রতিবেশী দেশগুলোর পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানবোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ২০০৪ সালের এ ঘটনা ভারতের মতো নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের এই বিশ্বাস ও সম্মানবোধকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। পরিশেষে যা কারও জন্যই ভালো কিছু বয়ে আনেনি। বরং দুই প্রতিবেশী দেশের জন্যই বিব্রতকর। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হুমায়ূন কবির বলেন, এই বিচারের রায় থেকে আমাদের শিক্ষণীয় দুটি বিষয় আছে। এক. প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানজনক সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। কোনো পক্ষের জন্য নেতিবাচক হয় এমন অবস্থান থেকে বিরত থাকা কর্তব্যের পর্যায়ে পড়ে। দুই. নেতিবাচক এ ঘটনা যে কোনো অবস্থানের ব্যক্তির জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল বয়ে আনে না। সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের মতে, রায় একটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ।
কিন্তু এ থেকে আমরা কতটা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলাম সেটাই মুখ্য। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা হুমায়ূন কবির বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে নিকট প্রতিবেশী দেশ দুটোর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। কোনো দেশেরই এমন কিছু করা উচিত নয় যা অন্য পক্ষের জন্য বিব্রতকর। ২০০৪ সালের এ ঘটনায় দুই দেশের আস্থা ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রকে অবশ্যই কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেটি যে শুধু এ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ফিরে আসবে তা ভাবারও কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন হুমায়ূন কবির।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দুটি দেশের সম্পর্ক নির্ভর করে না। আস্থা ও বিশ্বাসে বিষয়টি আরও বিস্তৃত। এর সঙ্গে সামগ্রিক বিষয়াদি সংশ্লিষ্ট। সাবেক এই শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এ রায় থেকে বিশেষভাবে শিক্ষা গ্রহণ করার বিষয় আছে। তাদেরকে তাদের নিজস্ব অবস্থান ও নৈতিকতার বিষয়গুলোকে ধারণ করতে হবে।
কোন ধরনের কাজের সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়াবেন সে বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্তও নিজেকেই নিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে এর জন্য পস্তাতে হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।