আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩১২, ভাল ছাত্র - খারাপ ছাত্র, একটি সাধাসিধে কথা, দুই বিভাগের ড্রোন লড়াই এবং অন্যান্য।

জাফর ইকবাল স্যার আমার খুব প্রিয় মানুষের একজন। ছোটবেলায় স্কুলে টিফিন না খেয়ে, স্কুলে হেটে হেটে গিয়ে রিক্সার ভাড়া বাচিয়ে জমানো টাকা দিয়ে যতগুলা বই কিনেছিলাম, বোধকরি তার ৬০ ভাগ বই জাফর ইকবাল স্যারের লিখা। ওনাকে আমার যত না তার লেখার জন্য ভাল লাগে তার চেয়ে বেশি ভাল লাগে তার সাধাসিধে কথাগুলার জন্য। খুব অবলীলায় এবং খুব সহজ ভাবে অনেক অনেক কঠিন কঠিন কথা খুব সহজেই উনি বলে ফেলেন। স্যারের একটি সাধাসিধে কথা আমার সবসময়ই ভাল লাগে, "তোমার নিজের দেশের সমস্যা অন্য কেউ এসে সমাধান করে দিবে না, নিজেদের সমস্যা নিজেকেই সমাধান করতে হবে।

"
একটা ছোট সমস্যার কথা বলি, প্রতিবছর শীত আসলে আমাদের দেশে শীতপ্রধান অঞ্চলগুলোতে একটা বিশাল জনগোষ্ঠী থাকে যাদের শীতবস্ত্রের প্রয়োজন হয়, এবং এই চাহিদা পূরণ করার সামর্থ্য তাদের নিজেদের নেই। যথারীতি বিভিন্ন সংগঠন এবং ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে প্রায় প্রতিবছর এদের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়। আমার নিজের বন্ধুদের দেখেছি, ফেইসবুকে তারা বিভিন্ন ইভেন্ট ওপেন করে এবং আশ্চর্যজনক ভাবে অনেক মানুষ তাদের এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। কেউ পুরানো শীতবস্ত্র দেয়, আবার কেউ বা সরাসরি টাকা দেয়। এইরকম চলছে, এবং কতদিন চলবে জানি না।

কিন্তু বিষয়টা যদি এইরকম হয়, আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা আর আগামী বছর থেকে আর কারও জন্য শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করব না। এই কাজে আমাদের যেই পরিমাণ অর্থ, শ্রম আর সময় ব্যায় হয় তা দিয়ে আমরা এমন কিছু করব যাতে সেইসব অসহায় মানুষগুলো নিজেরাই নিজেদের শীতবস্ত্র কিনতে পারে তাহলে পুরো বিষয়টাই কিন্তু অন্যরকম হবে।
এই সমস্যাটা সমাধান করার জন্য, কিন্তু সবার বিল গেটস হতে হবে এমন নেই। সমাধানটা আমাদের হাতের কাছেই আছে। ধরে নেয়া যাক, কারও বন্ধুদের গ্রুপে মোট দশজন আছে যারা একে অপরকে জান-পরান দিয়ে ভালোবাসে।

খুজলে দেখা যাবে , এই গ্রুপের দশজনের অন্তত দুইজন থাকবে এমন যাদের বাবা ভয়াবহ রকম বড়লোক, আর বাকী তিন থেকে চারজনের মামা-চাচা-খালু । যদি ধরে নেই এই বড়লোক সম্প্রদায়ের সবাই মুসলিম তাহলে কাজটা আরও সহজ। প্রতিবছর ঈদ-উল-ফিতর এর সময় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ যাকাত দেয়া এই টাইপ ভয়াবহ রকম বড়লোকের জন্য ফরয হয়ে যায়। এখন যদি এই বন্ধুদের কেউ উদ্যোগ নেয় যে তারা তাদের বাবা-চাচা-খালু কে উদ্বুদ্ধ করবে যাকাতের শাড়ী কিংবা লুঙ্গী না বিলিয়ে সেই টাকা একসাথে করে যদি অন্তত দশজন লোককে দশটা রিক্সা কিনে দেয়া যায় তাহলে এরপর থেকে অন্তত দশজন লোকের জীবন ধারণের একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
আমাদের দেশের মানুষ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, হাজারো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এদেশের মানুষরা একে অপরের প্রতি অদ্ভূতরকমভাবে সহানুভূতিশীল।

নিতান্তই শনি কিংবা রাহুর দশা যদি কারও ঘাড়ে চেপে না বসে তাহলে তার সামনে যদি উসকো-খুসকো চুল, একটি ছেড়া গেঞ্জী, আর খোলা পোস্টঅফিস সমেত হাফ প্যান্ট পড়ে কোন বাচ্চা ছেলে-মেয়ে কাদো কাদো ভাবে বলে দুইদিন ধরে কিছু খায় নি, তাহলে আমি বাজী ধরে বলতে পারি নিজের পকেটে শুধু রিক্সা ভাড়া রেখে বাকী টাকা দিয়ে ওই না খাওয়া ছেলে-মেয়েটিকে পেটপুরে খাওয়াবে যে কেউ। এইজন্যই আমরা এত সৌভাগ্যবান, কেননা আজও আমাদের মাঝে ভালবাসা আছে, তা ফুরিয়ে যায়নি; শুধু তাকে খুজে নিতে হয় আর বন্টন করে যেতে হয়। পৃথিবী সব জিনিস বন্টন করলে তা একসময় শেষ হয়ে যাবে কিন্তু ভালবাসা আর জ্ঞান কখনও ফুরাবে না, উপরন্তু তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলে।
আমাদের গবেষণা গ্রুপের বাকী দুইজনই সাদা আমেরিকান। দুইজনই অস্বাভাবিক রকম ভাল ছেলে।

একদম খাটি ভদ্রলোক, আমার যে কোন প্রয়োজনে যথাসাধ্য সাহায্য করে, কনফারেন্সে একসাথে গেলে আমরা একসাথে ঘুরে বেড়াই, আমি কেন এলকোহল খাই না কিংবা একটু খাইলে কী হয় এইটাইপ উটকো যন্ত্রণা তারা আমাকে কখনই দেয় নি। আমার মনে আছে গতবার সামারে প্রথম রোযার সময়টাতে আমরা ইলিনয় তে একটা কনফারেন্স এটেন্ড করতে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা সেহেরী খাব বলে, আমাকে নিয়ে রাত তিনটা বাজে বের হয়েছিল রেস্টুরেন্ট খুজতে যাতে আমি সেহেরীর সময় কিছু খেতে পারি। যথেষ্ট ভাল মানুষ হওয়া সত্ত্বেও এদের মাঝে আমি যেই জিনিসটার অভাব দেখেছি সেইটা হল ভালোবাসার অভাব। আমরা খুব সহজেই একজন আরেকজনকে যেইভাবে ভালোবাসাতে পারি, এরা তা পারে না।

আমাদের মাঝে ভালোবাসা আছে বলেই হাজারো যন্ত্রণার মাঝেও আমাদের জীবনটা এত সুন্দর, নিজেরা প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে থেকেও আমরা আর একজনের দুঃখের কথা শুনলে হু হু করে কেদে উঠি, যেইটা তারা পারে না।
এইবার আসি ৩১২ এর কথায়। আমি কোন রাশিচক্র বিশারদ না যে আমি এই ৩১২ দিয়ে কারও ভাগ্যের সংখ্যা তাত্ত্বিক বিশ্লেষন করব। এই ৩১২ হল সদ্য জি আর ই পরীক্ষা দেয়া আমার ভার্সিটি জীবনের হলের রুমমেট এর স্কোর। নিজের কোন ছাত্র এস এস সি পরীক্ষায় A+ পেলে যেমন ভাল লাগে, ঠিক তেমনি ওর স্কোরটি শুনে আমার সেইদিন খুবই ভাল লেগেছিল, আর আরও ভাল লেগেছিল যখন ও লিখেছিল "Tui na thakle hyto amr gre deya ht na.... U r my hero Dosto"।

আসলে আমি কিছুই করিনি আমি শুধু ওকে কিছু সাধারণ গাইডলাইন আর উৎসাহ দিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা টিটিএফ (টাইনা টুইনা ফাস্ট ক্লাশ) এর দলে ছিলাম। আমাদের কোন আশা নেই, ভরসা নেই ভয়াবহ রকম অবস্থা। আমি যখন উচ্চ শিক্ষা র জন্য মনস্থির করি তখন অনেকেই যে মনে মনে হেসেছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারন আমি একরকম খারাপ ছাত্র, আমার রেজাল্ট 3.02. অবশ্য খারাপ ছাত্রের তকমা আমার গায়ে তখনই লেগে যায়, যখন আমি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাইনি।

অথচ সেই আমি খুব ভাল ছাত্র ছিলাম যখন আমি আইডিয়াল স্কুলে অবলীলায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম বিশ জনের মধ্যে থাকতাম। ভাল ছাত্র খেতাব পাওয়ার ব্যাপারটা খুব উপভোগ্য ছিল, কিন্তু আমি খুব সৌভাগ্যবান যে, জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খারাপ ছাত্রের উপাধি কপালে জুটেছিল। কোন এক অদ্ভূত কারণে, আমাদের দেশের খারাপ ছাত্রদের প্রতি কোনরকম যত্নই নেয়া হয় না, বরং উল্টো চলে নানা রকম মানসিক অত্যাচার। আরে তুমি ত এইটা পারবা না করতে; তোমার রেজাল্ট খারাপ আর তুমি আসছ এই বিষয়ে থিসিস করতে, যাও সহজ কিছু দেখ। এইরকম হাজারো রকম মানসিক অত্যাচার চলে আমাদের উপর।

অথচ শুধুমাত্র উৎসাহ এর সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে যে কেউ অনেক ভালো কিছু করে দেখাতে পারে যদি তার অধ্যবসায় থাকে।
এই যে জি আর ই পরীক্ষা একে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে খুব সস্তা ধরণের কোটি টাকার ব্যবসা হয় প্রতিবছর। যেই ছেলেটা চার বছর এর ডিগ্রী অর্জন করে কোন এক অদ্ভূত কারণে তাকে কোন না কোন কোচিং সেন্টারের দ্বারস্থ হতে হয় প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। আমি নিজেও যে সাত হাজার টাকা জলে দিয়েছিলাম, এবং এই জিনিস বুঝতে আমার তিন সপ্তাহ লেগেছিল। পরবর্তীতে আমি সেই জায়গায় আমার নিজের সংগৃহীত প্রায় তিন গিগাবাইটের কোর্স ম্যাটারিয়াল একজন ইন্সট্রাকটরকে দিয়ে এসেছিলাম।

আমাকে যেতে হয়েছিল, কারণ আমি তখন খারাপ ছাত্র ছিলাম বিধায় সবাই আমাকে নিয়ে হেসেছিল। যার কাছেই গিয়েছিলাম গত বাধা উত্তর আর তাচ্ছিল্য মনোভাব ত ছিলই, উপরন্তু কারও কারও রেডিয়েশন এর উত্তাপ থেকে আমার পরিধেয় বস্ত্র আমাকে রক্ষা করতে পারে নি। আমার মত এই রকম হাজারো খারাপ ছাত্র আছে যারা নিজেদের টাকা একরকম জলেই ফেলে। অথচ আমরা চাইলেই কিন্তু এই জনপ্রতি দশ-বার হাজার টাকা বাচিয়ে দিতে পারি খুব সহজেই, যা দিয়ে তারা নিদেনপক্ষে অতিরিক্ত একটা বিশ্ববিদ্যালয়তে আবেদন করতে পারবে।
ধরে নেয়া যাক, এই বছর মোট ৫০ জন ছেলে জি আর ই পরীক্ষায় একটা মোটামোটি মানের ভাল স্কোর করেছে।

তাদের এই প্রস্তুতি কালে তারা অন্তত এইটা খেয়াল করেছে যে, তারা কোন টপিক্সে ভাল। কেউ ম্যাথ এর প্রোবাবিলিটি, কেউ ডাটা ইন্টারপ্রিটেশন, কেউ সেন্টেন্স কমপ্লীশন কিংবা কেউ রিডীং কম্প্রিহেনশন। এখন তারা সবাই মিলে যদি ডিসিশন নেয় তারা যে যেই টপিক্সে খুব ভাল তারা সেই টপিক্স এর উপর একটা লেকচার শীট এবং একট ত্রিশ মিনিটের টিউটোরিয়াল ক্লাশ এর ভিডিও রেকর্ডিং বানিয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিবে তাহলে অনেক ছেলে-মেয়ের দশ বার হাজার টাকা বেচে যাবে।
এখন আসি এই বেচে যাওয়া টাকা দিয়ে তারা কি করতে পারে, অতিরিক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবে, কিংবা এপ্লিকেশন প্যাকেজ পাঠানোর খরচ চালাবে, কিংবা লেখার শুরুতে বর্নিত প্রথম সমস্যার সমাধানে ওই বেচে যাওয়া টাকার কিছু অংশ তারা দিয়ে দিবে।
এইভাবে চাইলে জি আর ই, জি ম্যাট, আই এল টি এস, টোফেল এর হাজার হাজার ভিডিও টিউটোরিয়াল কিন্তু আমরা নিজেরা স্ব-উদ্যোগেই অনলাইনে উন্মুক্ত করে দিতে পারি।

শুধু প্রয়োজন একটু সদিচ্ছার। আমরা চাইলে খান একাডেমীর মত কোন একটা একাডেমী করে ফেলতে পারি, যেই একাডেমী থেকে হাজারো শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বিভিন্ন টেস্ট এর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি। কিন্তু এই সহজ এবং অসাধারণ কাজ করার জন্য আপনাকে কেউ কোনদিন উদ্বুদ্ধ করবে না। কারণ, এতে কোন না কোন ব্যবসায়িক মানসিকতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। অথচ আপনাদের মাঝে থেক বের হয়ে আসতে পারে খান একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতার মত কেউ একজন।

আমি শুধু একটা সম্ভাবনার কথা বললাম, আপনি চাইলে এর পরিধিকে আরও বড় করতে পারেন। আপনি চাইলেই প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্টুন কিংবা স্লাইড অথবা টিউটোরিয়ালের ভিডিও বানিয়ে বাজার অবমুক্ত করে দিতে পারেন খুব সহজেই। হয়ত আপনার সেই ভিডিওটি দেখে বিজ্ঞানের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজ্ঞানে পড়তে আসা কোন ছেলে কিংবা মেয়ে আজ থেকে বিশ-ত্রিশ বছর পর এম আই টি কিংবা হার্ভাড এর কোন এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিবে, তখন হয়ত কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আপনার নামই সবাইকে বলবে যে আপনার কারণেই সেই বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে পেরেছিল। জীবনে এই ধরনের মুহূর্ত সবার আসে না, আর আসলেও তাকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, কিন্তু এখন একটা খুব বিতর্কিত বিষয় এর অবতারণা করব।

বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা যেই কয়টি ফাটাফাটি কাজ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তার মধ্যে আমি দেশের দুইটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বানানো কোয়াডকপ্টার এবং ড্রোনের কাজটিকে এগিয়ে রাখব। ফেইসবুক আর অনলাইন মিডিয়ায়ই মূলত তাদের কাজ নিয়ে আমি পড়েছি, কিন্তু কিছুদিন ধরে খেয়াল করলাম তাদের মধ্যে একরকম অদ্ভূত লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। যেইখানে আমাদের উচিত ছিল, আমরা নিজেদের অর্জিত জ্ঞান ভাগাভাগি করে আরও ভাল কিছু করব, কিংবা আমাদের দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে একটা সম্মিলিত কর্মশালা করব যেইখানে একরকম হাতে ধরে তাদের কাজ শিখানো হবে সেইটা না করে আমরা ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের পোস্টে কাদা ছুড়াছুড়ি করছি।
ঠিক একই রকম বিবেচনা করা উচিত লুনাবোটিক্স কম্পিটিশন সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার জন্য। আমরা একটা জিনিসই বার বার ভূলে যাই, আমি যদি জিতি তাহলে বাংলাদেশই জিতে আর আমি যদি হারি তাহলে বাংলাদেশই হারে।

ইতিমধ্যে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা লুনাবোটিক্স কম্পিটিশনে খুব ভাল করেছে। হয়ত কোন একদিন তারা ঠিকই প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থান দখল করবে এইটা সত্য, কিন্তু এই কাজটাকে চাইলেই অনেক সহজ করে দেয়া যায়। বাংলাদেশের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের টীম এই কম্পিটিশনের জন্য প্রিপারেশন নেয় প্রতিবছর, একটু ভাল করে খুজলে দেখা যাবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কেউ প্রোগ্রামিংয়ে ভয়াবহ রকম ভালো, কেউ হার্ডওয়ারে, কেউ খুব ভাল স্ট্রেস এনালাইসিস কিংবা মডেলিং করতে পারে, আর কেউ একের পর এক ফাটাফাটি আইডিয়ার জন্ম দিতে পারে। তারা সবাই এক হয়ে শুধু এই ডিসিশন নেই যে, আগামী ২০১৫ এর কম্পিটিশন এর জন্য তারা যে কোন তিন মাস দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালার আয়োজন করবে যেইখানে তারা তাদের অর্জিত জ্ঞান আর নিজেদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করবে তাহলে দেখা যাবে আমাদের মাঝে থেকে এমন কোন টীম বের হয়ে আসবে যারা লুনাবোটিক্স কম্পিটিশনে সবাইকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করে নিবে। হতে পারে তারা বাংলাদেশের কোন অখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ হবে, কিন্তু যেই প্রথম হোক না কেন সবার আগে কিন্তু বাংলাদেশই প্রথম হবে।


সোর্স: http://www.sachalayatan.com     দেখা হয়েছে ২৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।