জাতির নানা - একটি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার!!!!

গত কয়েকদিন যাবত অনলাইনে হাসিনার পাদ মারা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আলোচনায় জানা গেছে, দিপু মনি প্রকাশ করেছে সেই পাদে ভয়ানক দুর্গন্ধ ছিলো। এবার আসো পাদ নিয়ে একটু সংক্ষেপে আলোচনা করি।

পাদ দুই প্রকারঃ
১) গন্ধ বিহীন পাদ।
২) দুর্গন্ধ যুক্ত পাদ।



ডাক্তারি বিদ্যায় বলে,
১) কোন ব্যাক্তি যদি প্রতিদিন সকালে পায়খানা করে তাইলে তার পাদে দুর্গন্ধ থাকবে না।
২) কেউ যদি দুই বা ততোধিক দিন পায়খানা না করে তাইলে তার পদে ভয়ানক দুর্গন্ধ থাকবে।

পাদ নির্গমনের ধরন অনেক প্রকার হতে পারেঃ
একটা নীরব পাদ। ইংরেজিতে যাকে বলা silent fart. এটা গন্ধযুক্ত বা গন্ধবিহীন হতে পারে। ২য়টা হচ্ছে স্বরব পাদ বা শব্দযুক্ত পাদ।

শব্দযুক্ত পাদ অনেক প্রকারের হয়। যেমন, কিছু পাদে রিক্সার চাকা পাংচারের মত আওয়াজ হয়। কখনো ভড ভড আওয়াজ হয়, ফরফর, পটপট আওয়াজ সহ বিচিত্র ধরনের আওয়াজ হয়। পাদের শব্দের বিস্তারিত বর্ণনা ভাষার ব্যাবহারের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়, এর জন্য অডিও যন্ত্র অত্যাবশ্যক!!!

হাসিনার ক্ষেত্রে ২য় ঘটনা ঘটেছে। এখানে 'পুত' করে আওয়াজ হয়েছে।



একটা অভিজ্ঞতার কথা বলিঃ
একবার ইন্ডিয়া থেকে এসি বাসে ফেরার পথে কোন এক বাঙ্গালী এই কর্মটি সেরে ফেলেছিলেন। গন্ধটা এত ভয়ানক ছিলো যে আমি এবং আরেক যাত্রী বমি করে দিয়েছিলাম। রহস্য উম্মচিত হয়নি কে সেই পাদ দাতা!!!! কিন্তু হাসিনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ধরা পড়ে যায় যেহেতু সেখানে উপস্তিত ছিলো অল্প কয়জন আর 'পুত' করে আওয়াজ হয়েছিলো।

ছোট বেলার একটা কথা বলি। যখন নানীর বাড়ি যেতাম তখন মামাতো ভাইবোন সবাই মিলে নানির চারপাশে বসে আমারা গল্প করতাম।

হঠাৎ নাকে বিকট গন্ধ আসতো। সবাই নাক চাপলেও কেউ কাউকে দোষারোপ করতো না। কিন্তু আমার নানী এটা সহ্য করতো না। নানী, সবার উদ্দেশ্যে বলে ফেলতো, "যে এই কাম করছো সে এখনই পায়খানা করে এসো, আমি দশ টাকা দিব!!!!"

এবার দেখে নেই পাদ সংক্রান্ত কিছু ছবিঃ


।