৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ওই হামলার প্রতিবাদে রোববার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এতে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করা হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নদভী। ওই আসনটিতে বরাবরই জামায়াত বিজয়ী হয়ে আসছিল।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নদভী সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, জামায়াত-শিবিরকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
“১৫/২০ দিন আগে থেকে এ হামলার পরিকল্পনা হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, কুতুবদিয়া ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের এনে জড়ো করা হয়েছিল। ”
“একজন আলেম হিসেবে আমি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলাম। আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে মঞ্চে ওঠার সাথে সাথে আমার দিকে ইট-পাটকেল জুতা ছুড়ে মারে। ”
হামলার মুখে মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও জুতা, ইট ছোড়া হয় দাবি করে তিনি বলেন, তারা আমাকে হত্যা করার জন্য মসজিদের গ্রিল কাটারও চেষ্টা চালায়।
“পবিত্র মাহফিলে হামলার মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা আল্লাহ-রসূলের সাথে বেয়াদবি করেছে। ”
ঘটনা পরিকল্পিত হওয়ার পরও কেন কোনো ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য বলেন, “ধমীয় অনুষ্ঠানে এ ধরনের কোনো কিছু হবে না বলে আমার আস্থা ছিল। তাই আগে থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিইনি। ’’
সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ভয়াবহ সহিংসতা হয়েছে।
একবছরে জামায়াত-শিবিরের হামলায় আওয়ামী লীগের চারজন নেতাকর্মী নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থক অনেকের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া হয়। আন্দোলনের নামে শত শত গাছ কাটা হয়েছে এবং রাস্তা-কালভার্ট তুলে ফেলা হয়।
মফিজের দাবি, সাতকানিয়া- লোহাগাড়া আসনের সাবেক দুই সংসদ জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী ও আ ন ম শামসুল ইসলামের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে এ ধরনের হামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং শাহজাহান চৌধুরী ও শামসুল ইসলামের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের (দোহাজারি-চন্দনাইশ) সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন।
১ মার্চ সাতকানিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা
সংবাদ সম্মেলনে মফিজুর রহমান জানান, আগামী ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতকানিয়া সফর করবেন। তিনি নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্থদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি কেরানীহাট মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সাতকানিয়া অভিমুখে লংমার্চ হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।