২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) জেটিতে দুটি ট্রলার থেকে ট্রাকে উঠানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের এক বিশাল চালান। বাংলাদেশের জন্য ঘটনাটি নিঃসন্দেহে বিব্রতকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত বটে।
৪৯৩০টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭০২০টি গ্রেনেড, ৮৪০টি রকেট লঞ্চার, ৩০০টি রকেট, ২০০০টি গ্রেনেড ছোড়ার টিউব ও সাড়ে ১১ লাখ গুলিসহ গেরিলা যুদ্ধের উপযোগী করে খুব সুচারুভাবে পরিকল্পিত স্বয়ংসম্পূর্ণ প্যাকেজ সেটাকে ১০টি ট্রাকে করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় বলে এটি ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান হিসেবে পরিচিত হয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এত আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এলো? কোথায় গন্তব্য? কার জন্য আনা হলো? কি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে? কারা আনল? এসব প্রশ্ন দেশবাসীকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছিল তাৎক্ষণিকভাবে। আরও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল সে অস্ত্রের চালানটি খালাস হচ্ছিল সরকার নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির জেটিতে।
সরেজমিন সশরীরে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিল গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)-এর সামরিক শাখাপ্রধান পরেশ বড়ুয়া ও তার সঙ্গীরা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা ও ভিনদেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার যুক্ত উপস্থিতি ও অস্ত্র চালানটির বিশালতা বিষয়টিকে আরও রহস্যাবৃত করে। জনমনে শঙ্কা বাড়তে থাকে দেশের নিরাপত্তার চিন্তায় এবং প্রতিবেশী দেশগুলোও সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ বাড়াতে থাকে।
পরবর্তী সময়ে প্রকাশ হয় যে, একটি বিদেশি জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপের ৯০ কি.মি. দূরে গভীর সাগরে আগ্নেয়াস্ত্রের চালানটি দুটি মাছ ধরার ট্রলারে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। ট্রলার দুটি অস্ত্র চালানসহ সিএফইউএল-এর জেটিতে ভিড়ে অস্ত্র খালাস শুরু হয়।
সেখান থেকে ট্রাকে করে মৌলভীবাজার সীমান্ত হয়ে উলফার গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল।
এই অস্ত্র চোরাচালানটি যে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমঝোতাভিত্তিক উদ্যোগ, সেটা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে এই অবৈধ চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেল কিনা সেটি আরেকটি নতুন শঙ্কার সৃষ্টি করেছিল। যা হোক, ঘটনার এক দশক ধরে চোরাচালান ও অস্ত্র মামলা দুটি অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে অবশেষে গত ৩০ জানুয়ারিতে রায় ঘোষণার মাধ্যমে প্রাথমিক যাত্রা সমাপ্ত করে। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সচিব, গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তাসহ উচ্চপর্যায়ের ১৪ জনের ফাঁসির আদেশ জনমনে আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল।
এত অধিকসংখ্যক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির ফাঁসি আবার এক নতুন নজির স্থাপন করল। অনেকেই ফাঁসির আদেশকে অতিরিক্ত সাজা প্রদত্ত হয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের চাপের কারণে বড় বড় সংগঠিত অপরাধের বিচার না হওয়ার সংস্কৃতির পরিবর্তনে এ মামলার বিচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সহজেই অনুমান করা যায়। বিচারিক দিক থেকে নয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় এই লেখা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ অনেক দেশেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গি সংগঠনের সোচ্চার উপস্থিতি রয়েছে।
এ সংগঠনগুলো অস্ত্র সংগ্রহ করে অবৈধ উৎস থেকে চোরাচালানের সাহায্যে। স্বার্থ বৈরিতার কারণে অনেক রাষ্ট্রই অপর রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গি সংগঠনগুলোর অস্ত্র গোলাবারুদ, প্রশিক্ষণ ও রসদ সরবরাহে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। কখনো ঘটে রাষ্ট্রীয়ভাবে কখনো রাষ্ট্র-বহিভর্ূত কুশীলবদের দ্বারা। রাষ্ট্রের অঘোষিত নীতি অনুসরণের ফলে সরকারের সম্মতিতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অস্ত্র চোরাচালানের গোপন নেট তৈরি করে। অপর রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল রাখতে অঘোষিত বা গোপননীতি অনুসৃত করার কারণে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গিরা।
আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় আইনকানুনের বাধ্যবাধকতায় সংশ্লিষ্ট সরকার বা রাষ্ট্র মূলত এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের বৈধতা দিতে সমর্থ হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিযুক্ত কার্যক্রমগুলো জনগণের দৃষ্টির আড়ালেই রাখা হয়।
এই আলোকে দেখলে এটা সহজেই অনুমিত হয় যে, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অঙ্গীভূত একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিকল্পিত অভিযান। ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা এবং চলমান অঘোষিত যুদ্ধের কারণে ভারতকে অস্থিতিশীল রাখতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্ত ও সহজ চলাচলের সুযোগ নিয়ে অস্ত্র চালানটি ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল।
সে জন্য এটাকে সাধারণ চোরাচালান ভাবার কোনো অবকাশ নেই এবং বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে কতটা যুক্তিযুক্ত তা মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
বাংলাদেশের অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। ' আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক-উন্নয়ন কূটনীতির প্রকাশ্য রূপ হলেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সরকার পরিবর্তনে বাস্তবিকভাবে অভিন্ন থাকেনি। ভারত-বিরোধী অবস্থান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং জনসমর্থন আদায়ের জন্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দলের দার্শনিক ভিত্তি হচ্ছে, ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনাকে কাজে লাগানো।
তার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় ভারত-বিরোধী মনোভাব এবং ইসলাম ধর্মের নামে পাকিস্তান নৈকট্য। পাকিস্তানের 'লড়কে লেঙ্গে দিলি্ল' দর্শন আঞ্চলিক সহযোগিতার মূল বাধা হলেও কাশ্মীর ইস্যু দুই দেশকে চিরকাল সংঘাতের মুখে রেখেছে।
বৃহদাকার ভারতের শক্তি খর্ব করতে সেখানকার বিছিন্নতাবাদীদের শক্তিশালী রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরোক্ষ ভূমিকা থাকলেও জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তানের মদদে প্রত্যক্ষ ক্রিয়াকর্ম চালিয়ে দক্ষিণ এশিয়াকে উত্তপ্ত রেখেছে।
আশির দশকে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষেত্রে একই ভূমিকায় ছিল। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও শ্রীলঙ্কায় তামিল বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রে ভারতের তৎকালীন সর্বপ্রকার পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষণীয় ছিল।
এই সমর্থন দৃশ্যমান থাকলেও সরকারিভাবে কখনোই স্বীকার করা হয়নি। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মোড় ঘুরতে শুরু করে। রাজিব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর তামিল বিদ্রোহীদের প্রতি ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতার ইউটার্ন শুরু হয়। ৯/১১তে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জর্জ বুশের যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বাঁধভাঙা গতি স্তিমিত হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিরাপত্তা সহযোগিতার মাত্রা বাড়তে থাকে। কিন্তু সন্ত্রাস পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানের অবস্থান অপরিবর্তিত দেখা যায়।
তাই পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
ঘটনা পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ভারত-বিরোধী আঞ্চলিক সমীকরণের একটি অভিন্ন অংশ। ভারত-বিরোধী সংঘাতে বাংলাদেশের অদৃশ্য বা দৃশ্যমান সংশ্লিষ্টতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে সুরক্ষার চেয়ে অরক্ষিত করে বেশি। আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক স্বার্থ সহানুভূতিশীল সম্পর্ক উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিবেচনায় বাংলাদেশের ভূমি থেকে তৃতীয় রাষ্ট্রের স্বার্থে প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা সমীচীন কূটনীতি হতে পারে না।
এ ছাড়াও বাংলাদেশে অনেক ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিরাট হুমকি সৃষ্টি করেছে। এই হুমকি মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য। বাংলাদেশকে ভারত-বিরোধী অবস্থানে রাখতে পাকিস্তান তার স্বার্থে সদা সক্রিয় থাকবে_ এটাই স্বাভাবিক।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বাংলাদেশের ধর্মীয় জঙ্গিদের মধ্যে দর্শনগত পার্থক্য থাকলেও অভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর কারণে পারস্পরিক স্বার্থে সহজেই অাঁতাত সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিছিন্নতাবাদীদের কাছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র পেঁৗছলে বাংলাদেশ অনেক ভয়াবহ হুমকির মুখোমুখি হয়।
১. বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সহজাত অাঁতাতের ফলে একই অস্ত্র বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে সহজেই ব্যবহৃত হতে পারে।
২. অস্ত্রচালানের অংশবিশেষ দেশীয় জঙ্গিদের কাছে হস্তান্তরিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা, কারণ অস্ত্র চোরাচালানের হোতাদের সঙ্গে এদের নিবিড় সম্পর্ক থাকে।
৩. বিদেশি সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতার দায়ে বাংলাদেশকে অভিযুক্ত করা হলে দেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়ে অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
৪. আরেকটি বড় ঝুঁকি হলো বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ও সীমান্ত সংঘাত বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যয় বৃদ্ধি। বাংলাদেশকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সন্ত্রাসী বা জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বিরত থাকলেই যথেষ্ট হবে না, বরং সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার বিচার আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা হিসেবে পরিগণিত হবে।
আন্তঃরাষ্ট্রীয় ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অস্ত্র চোরাচালান সংক্রান্ত অপরাধের বিচার প্রথমবারের মতো হলেও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের 'ভবিষ্যৎ নীতি-নির্ধারণে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে এবং অদৃশ্য ক্রীড়নকদের অবস্থান দুর্বল করবে। রাষ্ট্রনায়কদের নতুন করে ভাবতে হবে রাষ্ট্র অনুসৃত ঘোষিত নীতির বাইরে গোপন বা অদৃশ্য নীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ সম্পর্কে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বিচার থেকে নিষ্কৃতি দিতে সক্ষম না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছন্দপতন ঘটল এবং ভবিষ্যতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের আরও কৌশলী করে তুলবে।
রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করার প্রবণতা নিরুৎসাহিত হবে। রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের পার্থক্য নিরূপণ, মূল্যায়ন ও ক্রমাগত নিরসনে নব চিন্তার উদ্ভব হবে; সর্বোপরি সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ থেকে বাংলাদেশের নিষ্কৃতি নিশ্চিত হয়েছে।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।