* নিজের পাসওয়ার্ড বন্ধুকে দিয়ে দিন, এরপর তাকে বলুন আপনার অ্যাকাউন্টে নিজে লগ ইন করে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নিতে। অতঃপর যেহেতু আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে বলে আপনি নিশ্চিত, নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাওয়াই শ্রেয়।
* বিদ্যুতের মেইন লাইন বন্ধ করে দিন। তারপর কম্পিউটারসহ সবকিছু বন্ধ হবে এবং ঘর অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় কোনো কাজ না থাকলে এমনিতে ঘুমাতেই হবে।
* টুইটার আইডি খুলে ফেলুন।
এরপর সারা রাত টুইটারে পড়ে থাকুন। রাত জেগে ফেসবুকিং তো আর করছেন না!
* 'হি লাভস মি, হি লাভস মি নট' সিস্টেমে 'ফেসবুকিং করব, ফেসবুকিং করব না' এই দুটো বাক্য পালাক্রমে বলতে বলতে ফুলের একটি করে পাপড়ি ছিঁড়ুন। শেষের পাপড়িটা ছেঁড়ার সময় অবশ্যই বলবেন- ফেসবুকিং করব না। এভাবে ফেসবুকিং করব না জয়যুক্ত হলে সোজা ঘুমাতে চলে যান।
* টস করতে পারেন।
মুদ্রার এক পিঠে 'ঘুমাতে যাব' এবং আরেক পিঠে 'ঘুমাতে যাবই' ধরে নিয়ে টস করুন। অতঃপর ফলাফল যাই হোক, ফেসবুকিং রেখে ঘুমাতে চলে যান।
* রাতে রুটিন করে কড়া বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমান, তার রাগারাগি দেখে কোনোভাবেই ফেসবুকিংয়ের সুযোগ না পান। কিবোর্ডের একটু খটখট শব্দ হলেই তিনি ওঠে ধমক দেবেন। তাই অগত্যা ঘুমাতে যেতেই হবে।
* রাতে ঘুমানোর এবং ফেসবুকিংয়ের আগে টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখুন। নির্দিষ্ট কোনো চ্যানেল দেখার কিছু নেই। প্রায় সব চ্যানেলেই বিজ্ঞাপন চলছে। যে কোনো একটা দেখলেই হবে। এর ফলে বিরক্তি ও ঘুম দুটো পরস্পর বিপরীতমুখী অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে, যা কম্পিউটার থেকে ফেসবুকে লগ ইন করার চিন্তাকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে।
* এত কিছুর পরও যদি ফেসবুক থেকে দূরে থাকতে না পারেন তবে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে সব বাদ দিয়ে আচ্ছা মতো ফেসবুকিং করুন। ইন্টারনেট বিল কত হতে পারে সেটা নিয়ে এবার ভাবতে থাকুন। বিল নিয়ে ভাবতে ভাবতে অচিরেই ঘুমের কাছে আত্দসমর্পণ করবেন আশা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।