তিনি বলেছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের পর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে নগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নোমান।
রোববার খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর দেয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে নোমান বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এ মামলার রায় দেয়া হয়েছে।
“তারা সংবাদ সম্মেলন করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার মাধ্যমে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে কীভাবে অর্ন্তভুক্ত করা যায় সে চেষ্টাই করছেন।
”
এর মধ্য দিয়ে তারা ভোটারবিহীন উপায়ে নেয়া ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার কথা উল্লেখ করে নোমান বলেন, “সেসময়ে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। লুকোচুরি করার কিছুই ছিল না। বিভিন্নভাবে তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে বাংলাদেশ হয়ে অন্য দেশে যাওয়ার জন্যই এসব অস্ত্র আনা হয়। ”
কিন্তু পরে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধানসহ চার সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিচার সাধারণ আইনে করা যায় না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বিএনপিনেতা ও সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর পিপি আবদুস সাত্তার।
তিনি বলেন, “ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৪৯ ধারা অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার করার এখতিয়ার এ আদালতের নেই। সেনাবাহিনীর সুনাম রক্ষার জন্য গোপন বিচার হয়। ’’
তাদের বিচারের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে ‘বিতর্কিত’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ রায়প্রদানকারী চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজকে আওয়ামী লীগের লোক আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তার আদালতে বিএনপি করে বা সংশ্লিষ্ট কাউকে জামিন দেওয়া হয় না। তিনি কমপ্লিটলি আওয়ামী লীগের বিচারক। ’’
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, দলের চট্টগ্রাম নগর সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ও জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী এবং বিএনপি নেতা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুর রহীমসহ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অস্ত্র খালাসের পর ‘নিরব’ ছিলেন বলে উল্লেখ করেন বিচারক।
রায়ের পর রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তার ছেলে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।