আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামের নির্দেশনা

শাসন ও কর্তৃত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষ তাঁর প্রজা ও দাস মাত্র। আল্লাহ বান্দাকে অন্য কারও দাসত্ব না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ করা হয়েছে- হুকুম-ফয়সালা শাসন করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর রাষ্ট্রকে সরাসরি না চালিয়ে রাসূলের মাধ্যমে চালিয়েছেন।

তিনিই তাঁর প্রতিনিধি এবং তাঁর আইনমন্ত্রী অর্থাৎ আইন রচনাকারী। তিনি যা উপস্থাপন করেছেন, তাই আমাদের জন্য পালনীয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, 'রাসূল (সা.) তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন, তা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক (আল-কোরআন)। রাসূল (সা.)-এর ওফাতের পর তাঁরই রেখে যাওয়া দ্বীন পরিচালনা করবে তাঁর আনীত বিধানে গড়া লোকেরা তাদের কোরআনের ভাষায় 'উলিল আমর' বলা হয়।

এদের যথাক্রমে আমির, খলিফা বা ইমাম বলা হয়। রাষ্ট্রপ্রধান এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্ক হবে অত্যন্ত কোমল। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন- 'আল্লাহর বিরাট অনুগ্রহ যে, আপনি এসব লোকের জন্য খুবই নম্র স্বভাবের লোক হয়েছেন। অন্যথায় আপনি যদি উগ্র স্বভাব ও পাষাণ হৃদয়ের অধিকারী হতেন, তবে এসব লোক আপনার আশপাশ থেকে সরে যেত। অতএব এদের ক্ষমা করে দিন এবং এদের জন্য মাগফিরাত কামনা করুন।

' (সূরা আল-ইমরান : ১৫৯)

সমঝোতা, সংলাপ বা পরামর্শ রাষ্ট্র উন্নয়নের উত্তম পন্থা। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, কাজকর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন আপনি দৃঢ় সকল্প হবেন তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করুন। (সূরা আল-ইমরান : ১৫৯) ইনসাফ বা ন্যায় প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রের মৌলিক দিক। যেমন ইরশাদ হয়- 'আমি আমার রাসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শন ও প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সঙ্গে কিতাব ও ভারসাম্যের মানদণ্ড (দাঁড়িপাল্লা) নাজিল করেছি, যাতে করে মানুষ ইনসাফের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং নাজিল করেছি লোহা (রাজদণ্ড) যার মধ্যে রয়েছে কঠোরতাপূর্ণ শক্তি এবং জনগণের জন্য রয়েছে যথেষ্ট উপকারিতা।

' (সূরা হাদিদ : ২৫) ইসলামী আইন ব্যবস্থার দুটি মৌলিক বিষয় এক. কোরআন, দুই. সুন্নাহ। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন- 'আল্লাহ যে আইন অবতরণ করেছেন তার ভিত্তিতে যারা বিচার ফয়সালা করে না, তারা দ্বীন অস্বীকারকারী কাফির। (সূরা মায়িদা : ৪৪) অন্য আয়াতে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, 'রাসূল (সা.) তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন, তা গ্রহণ কর, আর যা নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক'। (সূরা হাশর : ৫৯) এখানে রাসূলে আনীত কোরআন ও হাদিস উভয়টি শামিল। এ ছাড়া ইসলামের আরও দুটি মৌলিক বিষয় রয়েছে, তা হলো- ইজমা, কিয়াস।

আল্লাহতায়ালা সবাইকে ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলার তৌফিক দান করুন।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.