নিজেকে নিজেই ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যাই বাসা থেকে। এমন সময়, এই মাতাল হাওয়ার লগ্নে ঘরে থাকা যায় না।
বিকেলের পর-পর, সন্ধ্যার আগে আগে, আলোর গায়ে তখনো রয়েছে সোনালী আভা, এমন সময় কিচেনের খোলা জানালা গলে ঘরে ঢুকে হাওয়া। তার স্পর্শমাত্রই আমি এলোমেলো হয়ে যাই। আমার বুকের ভেতর কেমন কেমন লাগতে থাকে; পেটের ভেতর, নাভির গোড়ায় আমার কেমন কেমন লাগে; আমার গা-হাত-পা কেমন যেনো চনমন-চনমন করে; সব মিলিয়ে মুর্হূতেই আমার যেনো কেমন আনচান-আনচান লাগে; অস্থির-অস্থির লাগে; কই যাই, কই যাই; কী করি, কী করি লাগে।
আনচান মন নিয়ে আমি দৌড়ে বাথরুমে ঢুকি। মুহতের্ই একটা আধা-গোসল সেড়ে, ঝটপট তৈরি হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। এই বাতাস— যা আমাকে ঘরে থাকতে দিলো না, যা আমাকে টেনে এনেছে বাইরে তা আমাকে কোনো গন্তব্যের নিশানা দেয় না। উদ্দেশ্যহীন বেরিয়ে এখন কোথায় যাবো আমি এই প্রাক-সন্ধ্যায়!
মনে মনে ভাবি: আচ্ছা, ধানমন্ডি লেকে যাই। ওখানে অনেক মানুষ।
কিন্তু ভাবতে ভাবতেই আমি দেখি একজনকে ফোন করে বসে আছি। উনার সাথেও দেখা নেই বহুদিন। আর কাজও আছে একটু উনার অফিসে। উনি বললেন: চলে আসো। চা খেয়ে যাও।
আমার বাসার কাছেই তার অফিস। সামান্য রাস্তাটুকুই রিকশায় বসে থাকতে থাকতে এই হাওয়া আমায় পাগল করে তোলে। পাখির ঠোঁটে করে ফুলের রেণু যেমন শত মাইল দূরে, অন্য কোথাও অন্য আরেক নতুন দেশে উপনীত হয়, তেমনি এই বাতাস আমাকে তার ঠোঁটে তুলে নিয়ে ফুলের রেণুর মতই অন্য কোথাও কোনো এক দূরের দেশে ধরে নিয়ে যায়।
একবার মনে হয়, রূপকথার সেই ডান্ওায়ালা ঘোড়া আমায় উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রেমের দেশে। একবার মনে হয়, সে এক দারুণ রাক্ষস, কুহকী দানব; বাতাসের ছদ্মবেশে আমার ঘরের জানালার পাশে বসে থেকে জাদুমন্ত্রে ভুলিয়ে ঘর থেকে সে বাহির করেছে আমায়।
তারপর ঘর থেকে যেই-না আমি বেরিয়েছি বাইরে অম্নি রূপকথার চরিত্রের মতই সে আমাকে করেছে হরণ।
কেমন না-জাগরণ, না-অচেতনের এক ঘোরের মধ্যে আমি রিকশায় বসে থাকি। লম্বা করে ধীরে ধীরে দম নিই; আর দমে দমে সেই হাওয়া অথবা সুবাস মেশানো সেই চেতনা নাশক বিষে আমার বুক ভরে যায়; বুকের ভেতর একটা ঝরে পড়া পাতা বাতাসে উড়তে থাকে, উড়তে থাকে, উড়তেই থাকে, কোথায় যাবে পাতাটি তার ঠিকানা জানে না; তাকে হরণ করেছে হাওয়া।
প্রাক-বসন্তের বাতাসে কী অদ্ভুত মদিরতা; কী আকুল করা সুবাস; কী এক দূর্বার আকর্ষণ।
হাতিরপুলে মোড়ে রিকশা জ্যামে আটকায়।
আমি মোতালেব প্লাজার দিকে মুখ করে বসে থাকি। ময়ূরের পুচ্ছের মতন নীলরঙা একটা বোরকা পড়ে আমার রিকশার পাশ ঘেষে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন এক মাঝ বয়সী নারী, তার হাঁটার ছন্দের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়: এই যায় গজগামীনি।
জ্যামের মধ্যে রিকশায় আমাকে ঠাঁয় বসিয়ে রেখে, আমার পাশ দিয়ে নগর ছুটে যায়। আমার পাশ দিয়ে, সামনে দিয়ে, ভিন্নমুখী রিকশার স্রোত চলে যায়। কোনো রিকশায় দেখি, হাসি মুখে ফোনে কথা বলতে বলতে যাচ্ছে এক সুন্দর যুবক; কোনো রিকশায় পান চিবাতে চিবাতে আরামসে সিগারেটে টান দিচ্ছেন এক প্রৌঢ়; কোনো রিকশায় এক তরুণ আর এক তরুনী হুড তুলে এক জোড়া ভেজা কপোত-কপোতীর মতই পরস্পর ঘন হয়ে বসা; কোনো রিকশায় চকিতে দেখি, ছেলেটি খুব নিবিড় করে ধরে আছে মেয়েটির হাত, আর মেয়েটি কেমন যেনো লজ্জায়, ভালো লাগায়, হয়ে ওঠে আধফোটা জবার মতন।
আমার কোনো তাড়া না থাকলে জ্যাম খুব উপভোগ করি আমি। যদি বাস বা সিএনজি-তে আমি না-থাকি অর্থাৎ যদি আমি রিকশায় থাকি, তাহলে রিকশায় এক ঘন্টা বসে থাকলেও জ্যামে আমার ক্লান্তি নেই। কারণ আশ-পাশে এতো ঘটনা ঘটতে থাকে অবিরত— যে মনে হয়, জ্যামে বসে থাকা মানে নদীতে সাঁতার কাটার মতন ঘটনা, বসে থেকেই পাওয়া হয়ে যায় লম্বা এক পরিভ্রমনের অনুভূতি।
রিকশায় রোদে বসে থাকতে থাকতে কোন্ কিশোরের কানের লতি ঘামে ভিজে ওঠলো, রোদ লাগতে লাগতে কোনো কিশোরীর গাল্ একেবারে রক্তজবার পাপড়ীর মতই হয়ে উঠলো টুকটুকে লাল; কোন্ তরুনীর কানের দুলে রোদ লেগে আচমকা করে উঠলো ঝিকমিক; বিরক্ত হয়ে কে বারবার ঘড়ি দেখতে লাগলো; কে বারবার ফোন করে বলতে লাগলো: আরে ভাই, আইতেসি তো. . . কঠিণ জ্যাম.. . এইসব ঘটনাবলী দেখতেই দেখতেই আমার সময় কেটে যায়, জ্যাম কেটে যায়।
কিন্ত আজ এই সন্ধায় মন আমার কিছুতেই বসছে না; বসলেও অস্থির প্রজাপতির মত থেকে-থেকেই উড়াউড়ি করছে; কিন্তু উড়ে সে কোথায় যেতে চায়, সেই ঠিকানা জানে না।
এই কুহকী হাওয়া অচেনা এক সুতীব্র সুবাস ছড়িয়ে আমাকে পলে পলে খুন করে দিচ্ছে; মাতাল থেকে মাতালতর করে তুলছে; আমার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে পড়ছে, দ্রতলয়ে পরছে; আমার পায়ের পাতা কেমন নিশপিশ নিশপিশ করছে; বুকের ভেতর কেমন যেনো ক্ষনে কুকড়ে-মুকড়ে যাচ্ছে, ক্ষনে আবার কেমন যেনো ঝিকিমিকি করে জ্বলে উঠছে হাজার রঙের বাতি!
এই কেমন-কেমন করা ভাব ভেতরে গোপন রেখে আমি সেই অফিসে ঢুকি। চেনা জনদের সাথে কিছু কেজো কথা হয়; কিছু খেঁজুরে আলাপ হয়; আলাপের ফাঁকে ফাঁকে কফি পান করা হয়। কিন্তু কী মুস্কিল! আমি যে জানালাটার পাশে বসেছি, সেটি একটুখানি খোলা! আর এই জানালা দিয়ে থেকে থেকেই সেই খুনী বাতাস যমের মতন এসে চেপে বসছে আমার বুকে! আর থেকে থেকেই আমার মনে হচ্ছে: ধুর! কেজো আলাপ, খেজুরে আলাপ আরেক দিন হবে! এখন বরং ধানমন্ডি লেকে যাই। রবীন্দ্র সরোবরের সিঁড়িতে গিয়ে ঝিম মেরে বসে থাকি কিছুক্ষণ। সেখানে আঁধারের গায়ে কাছে দূরে জ্বলতে থাকবে স্ট্রিট লাইট; একটু দূরেই ধানমন্ডি আট নম্বও ব্রিজের উপর দাড়িঁয়ে থাকবে এক গুচ্ছ তরুণ; তাদের মাথার উপর ছড়িয়ে থাকবে সড়কবাতির নিয়ন আলো; থাকবে রিকশার টুংটাং; গাড়ির হর্ন; মানুষের কোলাহল; আর পুরোটা রবীন্দ্র সরোবর ভরে থাকবে ফুলের মতন থোকায় থোকায় ফুটে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ মানুষের কথার উচ্ছাস, হাসির কলরোল; গানের শব্দ; গিটারের সুরমূর্ছনা।
এই খুনী হাওয়াকে ফাঁকি দিতে হলে ধানমন্ডি লেক ছাড়া আমি আর বিকল্প খুঁজে পাই না। কিন্তু কী মনে করে আবার ভাবি: আচ্ছা, না-হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে-ই যাই! ভাবতে ভাবতেই আমি আরেকজনকে ফোন দিই। উনি সেদিকটাতেই আছেন। ভাবলাম: ঠিকাছে, যাই তবে।
কিন্তু আমি তো আসলে উনার কাছেও যাচ্ছি না; গল্প করতেও যাচ্ছি না; যাচ্ছি ওই শত্রু হাওয়াটার চোখ ফাঁকি দিতে; অথবা সেই হাওয়ার মধ্যে একাকার হয়ে যাবার বাসনাতেই আমি হয়েতাবা খুঁজছি উপায়।
হাতিরপুল বাজারের সামনে থেকে হাঁটতে হাঁটতে আজিজ মার্কেট; আজিজের সামনে থেকে রিকশা নিয়ে চারুকলা; সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে কুশল বিনিময়ের পর্ব শেষ হবার পর গল্পে আর আমার মন বসে না; চা খেতেও ইচ্ছে করে না। ফলে, চা খাই না। বরং বসে থেকে গল্পের আনমনা শ্রোতা হয়ে মনে মনে ভাবি: ধুর! ধানমন্ডি লেকে গেলেই ভালো হতো। কেন যে এখানে এলাম!
আবার চকিতে মনে হয়: রিকশা নিয়ে পুরাণ ঢাকায় গেলে ভালো হতো।
বিশেষ করে শাঁখারী বাজারে যাওয়া যেতো; শাখারী বাজারে গিয়ে ওখানে যে মন্দিরে মানুষের সমাগম একটু বেশি এরকম কোনো একটা মন্দিরে ঢুকে এক কোণায় চুপচাপ বসে থাকা যেতো। তাহলে ধূপের গন্ধে, আগরের গন্ধে, আমার পিছু ধাওয়া করা খুনী বাতাসটা হঠাত আর খুঁজে পেতো না আমার গন্ধ। আমার গন্ধ চিনতে না পেরে হাওয়া যেতো এক পথে আর আমি— গায়ে ধূপ ও আগরের ঘ্রাণ মেখে, আর মানুষের প্রার্থনার আকুতি সঙ্গে নিয়ে— আরেক পথ ধরে ফিরতাম বাড়ি।
কিন্তু সন্ধ্যা যেহেতু পাড় হয়ে রাত নয়টা সাড়ে নয়টা বাজতে চলেছে, তখন শাঁখারী বাজারের প্ল্যান আর বাস্তবায়ন হয় না। বরং এইসব ভাবতে ভাবতেই ওই আড্ডা ছেড়ে আমি উঠে যাই।
তবু আমার পিছু ছাড়ে না প্রাক-বসন্তের বাতাস, আমাকে বে-দিশা করে টো টো করে ঘোরায়, অথবা হাওয়ার হাতে নিজেকে এতোই শপে দিয়েছি আমি যে, হাওয়া আমার স্থিরতা ধরে দিয়েছে টান।
অস্থিরতা কাটিয়ে পুনরায় স্থির হবার জন্য আমি ওদেরকে বিদায় জানিয়ে উঠি, উঠে ধীর পায়ে হাঁটি। পরিচিত কয়েক জনের সাথে ছবির হাটে, পথে দেখা হয়; কুশল বিনিময় হয়; টুকটাক গল্পও হয়; কিন্তু আমি দেখি, সেই সব গল্পে হাওয়াটা নেই; অথবা আমি দেখি, আমার ভেতর ঢুকে বসে থাকা হাওয়াটা আমাকে ভেতর থেকে খুঁটি ধরে নাড়াচ্ছে আর বলছে: অ্যাই, তুমি এখানে কী করো! আহা! চলো তো, অন্য কোথাও।
কী করি! হাওয়ার টানে আমি পরিচিতজনদের বিদায় জানাই! বিদায় জানিয়ে এক কদমের পথ তিন কদমে হাঁটি; তিন কদমে হাঁটতে হাঁটতে হাওয়াটাকে গায়ে মাখি। গায়ে মাখতে মাখতে শাহবাগ অব্দি এসে ফুলের দোকানগুলোতে যাই।
ফুল কিনবো-কিনবো ভাবছি বেশ কয়েক দিন হয়ে গেছে; ঘরের ফুল শুকিয়ে ভাস্কর্য হয়ে গেছে,তবু ওই ফুলেই চলছে, কিনবো কিনবো করেও ফুল কেনা হচ্ছে না, কেননা বাসা থেকে বেরিয়ে শাহবাগের দিকে আসা হচ্ছে না অনেক দিন; আর কাঁটাবনের দিকে গেলেও কাজ সেড়ে ফুল কেনার কথা মাথায় থাকছে না। ফলে, ভাষ্কর্য হয়ে যাওয়া শুকনো ফুলেই চলছে অনেক দিন।
তো, আজকে এই হাওয়ায় পাওয়া দিনেই আমি ফুলের দোকানে ঢুকি; দরাদরি করি; দশ টাকার গোলাপ ছয় টাকায়, ছয় টাকার রজনীগন্ধা চার টাকায় দাম ফুরিয়ে এক গুচ্ছ ফুল কিনি ফ্রেশ ফ্লাওয়ার নামের দোকান থেকে।
ফুল কেনার ফাঁকে, গোলাপের বালতি থেকে একটা একটা করে একগুচ্ছ গোলাপ বাছার ফাঁকে দোকানের লোকদের সাথে এটা-ওটা নিয়ে কথা হয়। এদের একজন শাকিল বা সাকিব— এই দুইটার একটা নাম সে বলেছিল কিন্তু গুলিয়ে ফেলেছি— নামের সদ্য যুবক অথবা টিনএজ এর শেষ সীমায় দাঁড়িয়ে থাকা ফুল বিক্রেতা, আরেকজন দোকানেরই শুকনো মতন এক যুবক, যার গায়ে ডার্ক ব্লু রঙের একটা পাঞ্জাবী এবং তৃতীয় জন কর্তা মতন বয়স্ক এক ব্যক্তি।
আলাপটা ফুল বিক্রেতা শাকিল বা সাকিবের সাথেই শুরু হয় প্রথম। তারপর কথা ছড়ায়; কেননা আজ আমাকে হাওয়াও পেয়েছে, এবং বোধহয় পেয়েছে কথাতেও ।
ফুল বাছাবাছি শেষ হলে শাকিল বা সাকিব বলে: ফুলগুলা তোড়া বানাইয়া দেই?
আমি বলি: না না, তোড়া বানানোর দরকার নাই।
সে আবার বলে: কী বলেন, এইভাবেই নিবেন ফুলগুলা!
কথাটা বলে সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি বুঝতে পারি যে, শাকিল বা সাকিব আসলে বলতে চাইছে: ফুলগুলা যারে দিবেন, তারে এম্নেই দিবেন? একটু সাজাইয়াও দিবেন না?
ওর মুখের ভাব লক্ষ্য করেই আমি ওকে বলি: আরে আমি তো কাউকে দেয়ার জন্য ফুল কিনতেছি না।
এইগুলা আমার বাসার জন্য।
তখন সে বলে: তাইলে ফুলের ডাটাগুলো ছোটো করে দেই?
আমি আবার বলি: না না, তুমি কেটো না। বাসায় নিয়ে সাজানোর সময় আমি দরকার মতন কাটবো।
শাকিল বা সাকিব ফুলগুলো বেঁধে দেয়। একগুচ্ছ ফুল হাতে হেঁটে হেঁটে আমি রাস্তা পাড় হয়ে জাদুঘরের সামনে আসি।
পরিচিত একজনের সাথে সেখানে দেখা হয়; কুশল বিনিময় হয়। কিন্তু অন্য দিনের মত আজকে আর চা খেতে ইচ্ছে হয় না। আমি আবার ধীর লয়ে হাঁটি; রিকশা নিই না। কারণ এতক্ষণ এই হাঁটাহাঁটি, ফুলের দোকানের কথোপকথনে বাতাসের ঘোরটা একটু কেটেছে।
কিন্তু এখন রিকশায় উঠলে দেশী রজনীগন্ধা আর লাল গোলাপের গন্ধে ওই খুনী হাওয়াটা আবারো আমার খোঁজ পেয়ে যেতে পারে – এই ভয়ে আমি রিকশা নিতে আমি একটু ইতস্তত করি এবং হাঁটি।
হাঁটি ফুটপাথ ধরে, আস্তে ধীরে, কাছিমের মতন হাঁটতে হাঁটতে এগুই, আর থেকে থেকে আকাশের দিকে তাকাই, দুই চারটা তারা দেখি।
দেখতে-দেখতেই আজিজ মার্কেট পার হই। পার হয়ে রিকশা নিই। রিকশা চলতে থাকলে আমি আকাশের তারার দিকে মুখ করে থাকি; আমার নাকে এসে লাগতে থাকে গোলাপ ও রজনী গন্ধার ঘ্রাণ; আর রিকশায় যেতে যেতে, তারা দেখতে দেখতে, ফুলের গন্ধ নিঃশ্বাসে টেনে নিতে নিতে নিজেকে বলি: হোক সে প্রাক-বসন্তের হাওয়া, হোক সে দূর্দন্ড প্রতাবশালী, তবু হাওয়ার ডাকে গন্তব্যহীন এমন বাহির হওয়া কোনো ভালো লক্ষণ নয়।
০৯.০২.১৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।