আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলু রপ্তানি বাড়ছে ৪ গুণ

রাশিয়া ও তাইওয়ানসহ মোট ১৫টি দেশে আলু রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনুবিভাগের পরিচালক আনোয়ার ফারুক।

তিনি সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই-একদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন আলু নিয়ে রাশিয়া ও তাইওয়ানের উদ্দেশে জাহাজ রওনা হবে। ”

এতদিন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটিসহ ১৩টি দেশে আলু রপ্তানি হত। এই তালিকায় এবার যোগ হচ্ছে রাশিয়া ও তাইওয়ান।

গত বছর ৫৭ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছিল।

এবার তা ২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন আনোয়ার ফারুক।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা এই বছর প্রতি টন আলু ৩৬০ থেকে ৪০০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি করছেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর প্রায় ১১ কোটি ৪ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে আলু ছিল প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের।

উৎপাদিত আলু গুদামে রাখার স্থানাভাব নিয়ে জটিলতার মধ্যে আলু রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করে কৃষি মন্ত্রণালয়।

এই বছর ৪ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টন আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

তবে তা ছাড়িয়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৪৫ লাখ টন বলে অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক। তবে দেশে যে ৪০০টি হিমাগার আছে, তাতে ৫০ লাখ টন আলু মজুত রাখা সম্ভব।

হিমাগারে রাখতে না পারায় উত্তরের বিভিন্ন জেলায় আলুর দাম পড়ে প্রতি কেজি এক টাকায় নেমে আসার ঘটনাও ঘটেছে। এতে ক্ষুব্ধ কৃষকরা সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদও জানিয়েছে।

আলু নিয়ে এই সমস্যার জন্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করেন আনোয়ার ফারুক।

“ওই সময় হরতাল-অবরোধের কারণে পুরোনো আলু অবিক্রিত থাকায় এসমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাজার স্বাভাবিক হবে। ”

বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানি করে মূলত বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আলুর রপ্তানি বাড়াতে তাদের পক্ষ তেকে সরকারকে কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম হল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা ২০ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৪০ ভাগ করা।

জসিম উদ্দিন বলেন, আলু পচনশীল হওয়ায় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রপ্তানি করতে গেলে পথে দেরি হলে তা নষ্ট হয়ে যায়।

প্রণোদনা বাড়ালে তারা সাধারণ কন্টেইনারের পরিবর্তে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে আলু রপ্তানি করতে পারবেন এবং তাতে রপ্তানি বাড়বে বলে জানান তিনি।

দেশে উৎপাদিত সব ধরনের আলু রপ্তানি হয় না। শুধু গ্রানুলা ও ডায়মন্ট জাতের আলু (যেগুলোর ৭/৮টিতে ১ কেজি হয়) রপ্তানি হয়ে থাকে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।