আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জজ মিয়া এখন মালয়েশিয়ায়

বহুল আলোচিত সেই জজ মিয়া এখন

মালয়েশিয়ায়।

চাকরি নিয়ে মাস ছয়েক আগে তিনি দেশ ছাড়েন। অভাব-অনটনের সঙ্গে লড়াই করতে করতে আর দেশেই থাকা হলো না তার। মা এবং ভাই-বোনের মুখের হাসির জন্যে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। এর আগে তিনি চাকরি করেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে।

বাংলাদেশে বহুল আলোচিত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নোয়াখালীর সেনবাগের দিনমজুর জজ মিয়াকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সাজানো হয় আলোচিত 'জজ মিয়া নাটক'। এর পর দীর্ঘ চার বছর কারাবাস। অতঃপর মেলে মুক্তি। কিন্তু বিনা অপরাধে তার জীবন থেকে হারিয়ে যায় মূল্যবান চারটি বছর।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোর্ট গ্রামের টেন্ডল বাড়ির জালাল আহম্মদ প্রকাশ জজ মিয়া মামলার খরচ চালাতে গিয়ে সবকিছু হারিয়ে হন সর্বস্বান্ত। একটু মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁই পৈতৃক ভিটে বাড়ি টুকু বিক্রি করতে হয়েছিল জজ মিয়াকে। বাঁচার তাগিদে মা আর ছোট বোনকে নিয়ে ওঠেন নারায়ণগঞ্জে।

আলোচিত হলেও এলাকার বা আত্দীয়দের কেউই জজ মিয়ার পরিবারের অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। মৃত আবদুর রশিদ ও জোবেদা খাতুনের ৪ ছেলে এবং ১ মেয়ের মধ্যে জজ মিয়া দ্বিতীয়।

১২ বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর সামান্য পুঁজি নিয়ে ঢাকায় ফলের ব্যবসা শুরু করেন। থাকতেন একটি মেসে। বড় দুই ভাই আলাদা থাকলেও জজ মিয়া থাকতেন ছোট এক ভাই, বোন ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে। এর পর তিনি চাকরি নেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে।

ফিরে দেখা : চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলার কিছু দিন পরই আটক করা হয় জজ মিয়াকে।

তদন্ত সংস্থা সিআইডির পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, জজ মিয়া ওই হামলায় জড়িত, যদিও তখনই এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তদন্তে বেরিয়ে আসে, জজ মিয়াকে দিয়ে মামলা সাজানো হয়েছিল।

মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সিআইডির তিন তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি আবদুর রশিদ, এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান ও বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেনেড হামলার মূল মামলায়ও অভিযুক্ত হয়ে এখন কারাগারে তারা। অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে জজ মিয়াকে ঘিরে পুলিশ এগোলেও পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে বাদ দেওয়া হয় জজ মিয়াকে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।