পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয় ,,,,,পথের পাশেই আছে মোর দেবালয়
এমনটি চাইনি,
আজকাল তুমি বড্ড সংসারী হয়ে পড়েছো সুস্মিতা ।
খোজ নিলেই শুনি রসুই ঘরে কুঁচাচ্ছো পেয়াজ ।
হয়তো রুটি সেঁকা শেষ, এখন আলু ভাজবে না হয়
ছক্কা কুমড়োর ।
নয়তো কল তলায় কাপড়ে ঘসে ঘসে মাখছো সাবান ।
শার্টের কলারটা বড্ড ময়লা তাই কঁচলে নিচ্ছো
তালুতে দু হাতের ।
তারপরই বসলে রাজ্যের আনাজপাতি নিয়ে।
কাত করে রাখা বটিটা উঠিয়ে বসলে কাটতে
উঠোন থেকে তুলে আনা .. কি যেন নাম ?
কুলে খাঁড়া শাক?
গত রাতে অফিস ফেরত কর্তা তোমার
রুমালের কোনায় এনেছিল বেঁধে
সারাদিনের বেচা বিক্রির পরে
পড়ে থাকা খয়ে যাওয়া গুড়োগাড়া মাছ ।
গভীর যত্ন নিয়ে তাই কেটে চলেছো তুমি মাথা নামিয়ে ।
এছাড়া তোমার কি নেই আর কাজ ?
ঝুম মাদক দুপুর না ঘুমিয়ে উঠোনের দড়ি থেকে এনে
শুকনো কাপড় টেনে টেনে পরম মমতায়
কুচকানো ভাজগুলো শার্টের করছো সমান একমনে।
পড়নের রঙ জ্বলা ন্যাতানো শাড়ি
বদলে নেয়ার কথাও কি মনে পরেনি ?
মেঘ কালো দীঘল চুলে এলো খোপা বাঁধারই
ফুরসৎই নেই জানি ,তবে ঐ লম্বা বেনীতে
এক গাছি বেল ফুলের মালা জড়াতেও তো পারো নাকি!
বলতো, তোমার মতন এমন গৃহস্থ প্রেমিকা কি আমি চেয়েছি !
আমি চাইনি সুস্মিতা, সত্যি এমন চাইনি ।
যদি জানতে চাও তবে বলি, সে হবে
সাগর থেকে উঠে আসা সপ্তম ঢেউটির মত,
সফেদ ফেনার মুকুট পরে এক রাজকীয় উচ্চতায় এসে
ভাসিয়ে নেবে আমার দু কুল প্রচন্ড আক্রোশে ।
সাইক্লোন হয়ে আসবে সে সমুদ্র মন্থন করে
দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়ার বেগে,
বজ্র আর বৃষ্টি হবে সঙ্গী তার । ঘুরে ঘুরে এসে
আছড়ে পড়বে মনের বসত ভিটায় আমার।
দৌড়ে গিয়ে দরজার কপাট জুড়তেই ,
জানালার খড়খড়ি গলে
মায়াময়ী কি দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায়
ঘরে এসে হাজির সুতানলী সাপের মতো,
কোমল হাতের কঠিন থাবায় মুহুর্তে ছড়িয়ে যাবে
টেবিলে সাজানো তোমাকে নিয়ে লেখা কবিতার পান্ডুলিপি যত ,
এক ফুঁয়ে নিভিয়ে দেবে পিলসুজে সন্ধ্যায় জ্বেলে রাখা বাতি ।
নিকষ কালো অন্ধকারে কি এক মাহেন্দ্রক্ষনে,
সঁপে দেব পাগল করা সে মাতাল রমনীর
উষ্ণ আলিঙ্গনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।