ছোট ছিলাম। বয়সও তেমন বেশী ছিলোনা। এই ১২/১৩ হবে। তবে চালু ছিলাম অনেক। বাড়ন্ত বয়সের সাথে চাঞ্চল্য মন আর কৈশোরের দুরন্ত ছুটে চলা একটা ছেলে।
যার একেবারে কোথাও বিশ্রাম নিতেই ইচ্ছে করতোনা। শুধুই
উৎফুল্লো থাকতো সারাটা দিন। কখনো মাঠে, কখনো পুকুর কিংবা কখনো বন্ধুদের নিয়ে এ গোলি থেকে ও গলি! সব খানেই পাওয়া যেতো সেই দুষ্টু ছেলেটাকে। মানে আমাকে। একবারের একটা ঘটনা বলি, একটা মেয়েকে পছন্দ হইছিলো তখন।
শুধু আমার একার নয়, আমি আর নয়ন সহ আমার আরো ৩ টা বন্ধুর! একসঙ্গেই। মেয়েটার বাসা ছিলো আমাদের এলাকা থেকে একটু দূরে। প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে আমি নয়ন আর আমার ওই চার বন্ধু প্রতিদিন একসাথে মেয়েটার বাসার সামনে গিয়ে ফিল্ডিং মারতাম। একটু আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করতাম মেয়েটা কি করছে? আমাদের আবার দেখে না ফেলে! একটা ভয় ভয় কাজ করতো। মেয়েটার বাবা আমাদের জন্য একটু ডিস্টার্ব ছিল।
সারাদিন বাড়ির উঠানে বসে থাকতো। তবে কথা ছিলো আমাদের মধ্যে যে, মেয়েটাকে আগে পটাতে পারবে সেই মেয়েটার সঙ্গে প্রেম করবে। সেই শর্ত মোতাবেক প্রতিদিন আমাদের মিশন চলছিল। আমার একটা ছোট "ওয়াকম্যান প্লেয়ার" ছিল। সেটা সাথে করে নিয়ে যেতাম প্রতিদিন।
মেয়েটাকে দেখতাম আর গান প্লে করে দিতাম। তবে শুধু একটা গানই প্লে করতাম প্রতিদিন। ওই গানটা তখন খুব ভালো লাগতো। আর গানটাও ছিলো সময়উপযোগি সং। একদিন গানটা ছেড়ে দিয়ে ওর বাসার পাশের মাঠে একটা আড়াল জায়গাতে দাড়িয়ে মেয়েটাকে দেখছি আর গানটা বেশ জোরে সাউণ্ড দিয়ে শুনছি।
মেয়েটাকে শোনানোর চেষ্টায় ছিলাম।
গান বাজছে কুমার শানুর,
"আমি ভালোবাসি শুধু একজনকে,
সুন্দর এই পৃথিবীতে।
দোষ কি সে কথা মেনে নিতে...
আমি ভালোবাসি শুধু একজনকে
সুন্দর এই পৃথিবীতে। ।
গানটা প্লে করে দিয়ে আমি ফ্রেন্ড ফয়সালের সঙ্গে একটু মজা করছিলাম।
মেয়েটার বাবা যে হঠাৎ করে কখন আমাদের পেছনে চলে এসেছিল? ঠিকই পাইনি।
মেয়েটাকে গান শুনানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ওর বাবাকেই শুনিয়ে দিলাম। আর ধরাও
খাইলাম। ক্যাসেট প্লেয়ার রেখেই পলাই গেছিলাম! পরে অবশ্যে চুপিচুপি ক্যাসেট প্লেয়ার নেওয়ার জন্য আইছিলাম। কিন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর পেলাম না!
হইতো মেয়েটার বাবা সেটা নিয়ে গিয়েছিলো।
মেয়েটাও হইতো দুই, একবার
গানটা শুনেছিল। জানিনা কি হয়েছিল আমার সে ক্যাসেট প্লেয়ারটার। পরে আর কখনো যাওয়া হইনি সেখানে। তবু স্মৃতিটা এখনো জীবন্ত লাগে।
সেই দিন গুলো!
ছোট ছিলাম।
বয়সও তেমন বেশী ছিলোনা। এই ১২/১৩ হবে। তবে চালু ছিলাম অনেক। বাড়ন্ত বয়সের সাথে চাঞ্চল্য মন আর কৈশোরের দুরন্ত ছুটে চলা একটা ছেলে। যার একেবারে কোথাও বিশ্রাম নিতেই ইচ্ছে করতোনা।
শুধুই
উৎফুল্লো থাকতো সারাটা দিন। কখনো মাঠে, কখনো পুকুর কিংবা কখনো বন্ধুদের নিয়ে এ গোলি থেকে ও গলি! সব খানেই পাওয়া যেতো সেই দুষ্টু ছেলেটাকে। মানে আমাকে। একবারের একটা ঘটনা বলি, একটা মেয়েকে পছন্দ হইছিলো তখন।
শুধু আমার একার নয়, আমি আর নয়ন সহ আমার আরো ৩ টা বন্ধুর! একসঙ্গেই।
মেয়েটার বাসা ছিলো আমাদের এলাকা থেকে একটু দূরে। প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে আমি নয়ন আর আমার ওই চার বন্ধু প্রতিদিন একসাথে মেয়েটার বাসার সামনে গিয়ে ফিল্ডিং মারতাম। একটু আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করতাম মেয়েটা কি করছে? আমাদের আবার দেখে না ফেলে! একটা ভয় ভয় কাজ করতো। মেয়েটার বাবা আমাদের জন্য একটু ডিস্টার্ব ছিল। সারাদিন বাড়ির উঠানে বসে থাকতো।
তবে কথা ছিলো আমাদের মধ্যে যে, মেয়েটাকে আগে পটাতে পারবে সেই মেয়েটার সঙ্গে প্রেম করবে। সেই শর্ত মোতাবেক প্রতিদিন আমাদের মিশন চলছিল। আমার একটা ছোট "ওয়াকম্যান প্লেয়ার" ছিল। সেটা সাথে করে নিয়ে যেতাম প্রতিদিন। মেয়েটাকে দেখতাম আর গান প্লে করে দিতাম।
তবে শুধু একটা গানই প্লে করতাম প্রতিদিন। ওই গানটা তখন খুব ভালো লাগতো। আর গানটাও ছিলো সময়উপযোগি সং। একদিন গানটা ছেড়ে দিয়ে ওর বাসার পাশের মাঠে একটা আড়াল জায়গাতে দাড়িয়ে মেয়েটাকে দেখছি আর গানটা বেশ জোরে সাউণ্ড দিয়ে শুনছি। মেয়েটাকে শোনানোর চেষ্টায় ছিলাম।
গান বাজছে কুমার শানুর,
"আমি ভালোবাসি শুধু একজনকে,
সুন্দর এই পৃথিবীতে।
দোষ কি সে কথা মেনে নিতে...
আমি ভালোবাসি শুধু একজনকে
সুন্দর এই পৃথিবীতে। ।
গানটা প্লে করে দিয়ে আমি ফ্রেন্ড ফয়সালের সঙ্গে একটু মজা করছিলাম। মেয়েটার বাবা যে হঠাৎ করে কখন আমাদের পেছনে চলে এসেছিল? ঠিকই পাইনি।
মেয়েটাকে গান শুনানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ওর বাবাকেই শুনিয়ে দিলাম। আর ধরাও
খাইলাম। ক্যাসেট প্লেয়ার রেখেই পলাই গেছিলাম! পরে অবশ্যে চুপিচুপি ক্যাসেট প্লেয়ার নেওয়ার জন্য আইছিলাম। কিন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর পেলাম না!
হইতো মেয়েটার বাবা সেটা নিয়ে গিয়েছিলো। মেয়েটাও হইতো দুই, একবার
গানটা শুনেছিল।
জানিনা কি হয়েছিল আমার সে ক্যাসেট প্লেয়ারটার। পরে আর কখনো যাওয়া হইনি সেখানে। তবু স্মৃতিটা এখনো জীবন্ত লাগে।
সেই দিন গুলো!
সেই মেয়েটা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।