আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থট এক্সপেরিমেন্টঃ কয়েদির আত্মদ্বন্দ - বলে দেব নাকি বলবনা

সূর্য আমার চিরশত্রু। আমি অন্ধকার ভালবাসি...
এই থট এক্সপেরিমেন্ট টি ইংরেজীতে Prisoner’s Dilemma নামে পরিচিত। গেম থেওরীর খুব জনপ্রিয় একটা উদাহরন এটি।

অহনা আর জামশেদ চমৎকার একটা জুটি, বিয়ে করে ঘর সংসার করতে চায় তারা। কিন্তু সমস্যা একটাই, বিলাসী জীবন যাপনের জন্য পর্যাপ্ত টাকা পয়সা নাই।

তাই বলে পার্কে বসে বাদাম খাওয়ার পাত্র নয় তারা। অহনার মাথা থেকে বেরুল চমৎকার একটা বুদ্ধি, "চল ব্যাঙ্ক ডাকাতি করি" জামশেদকে বলল সে। পুরো প্লানটা ভালভাবে বুঝিয়ে বলার পরে জামশেদও না করতে পারলনা, সফলতার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।
ব্রাক ব্যাঙ্কের উত্তরা শাখায় ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল এই জুটি। কিন্তু দোষ প্রমান করা একটু মুশকিল।


হতে পারে ওরা খুব চালাক কিন্তু র‍্যাবও কম যায়না। র‍্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে আলাদা আলাদা রুমে রাখা হয় জামশেদ আর অহনাকে। বুদ্ধিমান সার্জেন্ট রফিক কিছুক্ষন কথা বলেই ধরে ফেলে দুইজনই মহা বদমাশ, নিজের ভালটা ভালই বোঝে কিন্তু পার্টনারের জন্য কেয়ার নাই (কি ভালবাসা!!!) আর তাদের কেউই একদিনের জন্যও কারাগারে থাকতে চায়না। সে দুজনকেই একই অফার দেয়, "তুমি দোষ স্বীকার করতে পার অথবা চুপও থাকতে পার। তুমি যদি ডাকাতির ঘটনা স্বীকার কর আর তোমার পার্টনার না করে, তাহলে তোমার পার্টনারের হবে ১০ বছরের জেল কিন্ত তুমি এখান থেকেই বাসায় ফিরে যেতে পারবে।

তোমরা দুজনেই যদি সবকিছু খুলে বল তাহলে দুজনেরই ৫ বছরের জেল হবে। " তবে যে কথাটা সার্জেন্ট রফিক খুলে বলেনা কিন্তু ওরা দুজনেই জানে, জামশেদ ও অহনা কেউই যদি মুখ না খোলে, অস্ত্র মামলায় বড়জোর ছয় মাসের কারাদন্ড হবে।

যদি ধরে নেই, জামশেদ আর অহনার ভালবাসা পুরাই মিথ্যা, তাদের সিদ্ধান্ত কি হবে, দোষ স্বীকার করে নেবে নাকি নেবেনা?


ইচ্ছা না করলে প্লাস, প্রিয়তে নেয়া বা শেয়ার করার দরকার নাই

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।