ব্যাকটেরিয়া সরাসরি নিজে থেকেই ইলেক্ট্রিকাল চার্জ উৎপন্ন করে নাকি অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে এ প্রশ্নের কোনো পরিষ্কার উত্তর এতোদিন ছিলো না বিজ্ঞানীদের কাছে। বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবশেষে ওই ধাঁধার সমাধার করতে পেরেছেন মার্কিন ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের একটি দল। এখন শুধু অপেক্ষা বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারটিকে বানিজ্যিক পণ্যে রুপ দেয়ার।
বিজ্ঞানীরা যে ব্যাকটেরিয়াটি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন তার বৈজ্ঞানিক নাম ‘শিওয়ানেলা ওনেইডেনসিস (Shewanella oneidensis)’। অ্যামাজন থেকে শুরু করে বাল্টিক সাগর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী নদী ও সমুদ্রের জলে ব্যাকটেরিয়াটির উপস্থিতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীদের দলটির দলনেতা এবং স্কুল অফ বায়োলজিকাল সায়েন্স অ্যাট দি ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়ার প্রভাষক ড. টম ক্লার্ক।
ব্যাকটেরিয়াটি ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নদী ও সাগরের পানিতে লোহা এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ উপাদানের উপস্থিতি প্রভাবিত করে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ব্যাকটেরিয়াগুলো খনিজ উপাদানের ওই পরিবর্তন কিভাবে প্রভাবিত করে সে ব্যাপারটি পরিষ্কার ছিলো না বিজ্ঞানীদের কাছে।
গবেষণা চালাতে গিয়ে ল্যাবেরটরিতে ব্যাকটেরিয়াটির একটি সিনথেটিক ভার্সন তৈরি করেন ড. ক্লার্ক ও তার সহকর্মীরা। বিজ্ঞানীরা দেখেন, ল্যাবরেটরিতে তৈরি ব্যাকটেরিয়ার সিনথেটিক ভার্সনটি খনিজ পদার্থের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ইলেকট্রিক চার্জ উৎপন্ন করছে। খনিজ পদার্থগুলোর পরিমানেও নানা পরিবর্তন আনছে।
ব্যাকটেরিয়াটির বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের রহস্য উদঘাটনের পর একে বিদ্যুৎ শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এ ব্যাপারে ড. ক্লার্ক বলেন, ‘ব্যাকটেরিয়াগুলো কিভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা, ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহারের উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। দূর্গম ও প্রতিকূল পরিবেশেও বিদ্যুৎ শক্তির যোগান দিতে পারে এটি। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।