দূর্বোধ্যতা নয়, প্রাঞ্জলতা বা সহজবোধ্যতাই হোক রচনার ধর্ম ।
লোকে বলে ‘যার কেউ নাই তার আল্লাহ্ আছে। ’ আল্লাহ্ সবার জন্যই আছেন । তাই কিছু একটার অভাববোধ করলে কথাটা একটু ঘুরিয়ে নিজেকে বলি ‘যার ...নাই তার সান্তনা আছে’ । অল্পতেই হতাশ হয়ে গেলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে ।
কিছু বিষয়ে সান্তনা মানুষ দেয়, কিছু বিষয়ে নিজেই সান্তনা খুঁজে নিতে হয়; উদাহারণসরূপ বলতে পারি ‘সঙ্গিনী’ সম্পর্কিত কথা । প্রেমিকা, গার্লফ্রেন্ড, গর্লফ্রেন্ড যা-ই ডাকা হোক, সঙ্গিনী প্রয়োজন আছে । ধর্মিয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রেম বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ আছে; সেগুলো মেনে চলা আসলে কঠিন কোন ব্যাপারই ছিলনা, যদিনা...
প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে বিয়ে করে বাস্তবিক অর্থেই ‘লাভ’ নেই, আমাদের দেশে নিজেকে স্বাবলম্বী প্রমাণ করতেই ২৭-২৮ বছর লেগে যায় । আর বিয়ে করলেই বৈধতা পাবে নারীর ভালবাসা । জীবন জীবিকার তাগিদে এতোই ব্যস্ত থাকা লাগে অতোটা রোম্যান্স আর করা হয়ে ওঠেনা ।
সন্তান উৎপাদন আর লালনপালন করাতেই ভালবাসা সীমাবদ্ধ থাকবে?! কেন?
অবস্থা যা হয়েছে;
বিয়ে না করে নারীর ভালবাসা ‘বৈধ’ না> প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়েও করা যাবে না> প্রতিষ্ঠিত হতে ত্রিশ বছর লাগবে> ঐ বয়সে সন্তান না হলে মরার আগে সন্তানকে শিশুই দেখে যেতে হবে(গড় আয়ু এখন বোধহয় ৬০) !!
প্রতিষ্ঠার পর্ব আরো আগে শেষ হলেইতো ভালবাসার পর্বটা আরো আগে শুরু করা যেতো । দু’জনে মিলে ঐতিহাসিক, প্রাগৈতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখা যেতো । তারপর সময় বুঝে পরিবার বর্ধিতকরন! প্রাণের ধর্মীয় বিধিনিষেধও লঙ্ঘন হলো না । উফফ! আর বেশী ভাবলে আজ রাতে আর ঘুম হবে না (!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।