এক. অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি সচিবালয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন 'আইবিএফবি'-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, 'ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হবে বর্তমান সরকারের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। জেলা বাজেটের জন্য আগামী অর্থবছরে কিছু জেলাকে বেছে নেওয়া হবে' (ইত্তেফাক, ৩০ জানুয়ারি-২০১৪)। অর্থমন্ত্রী বিগত সরকারের আমলেও তার অনুরূপ ইচ্ছার কথা বহুবার বলেছেন। তা ছাড়া তিনি ২০০৩ সালে 'জেলায় জেলায় সরকার' নামক বই লিখে তিনি ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য জেলাকে কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও জেলা সরকারের রূপরেখা কেমন হবে, তা তিনি উল্লেখ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীও একাধিকবার ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য অনুরূপ অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। আমরা জানি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রশাসনকে জেলাকেন্দ্রিক করার লক্ষ্যে 'জেলা গভর্নর' পদ্ধতি চালু করেছিলেন। অন্যদিকে এরশাদ সরকার উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন করে বলেছিলেন, 'উপজেলা হবে সব উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু', তথা ঋড়পধষ চড়রহঃ। কিন্তু একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, দুটি পদ্ধতিই গ্রহণ করা হয়েছিল 'গ্রাম'কে সামনে রেখে। কিন্তু অব্যাহত নগরায়নের কারণে বর্তমানে দেশের প্রায় ৫ কোটি লোক ছোট-বড় নগরে বসবাস করছে।
অদূরভবিষ্যতে সব জনগোষ্ঠী নগরীয় সুযোগ-সুবিধার মধ্যে চলে আসবে। ইউনিয়নগুলো নগরে রূপান্তরিত হলে উপজেলার বিলুপ্তি ঘটবে। সে জন্য বর্তমান ইউনিয়ন ও নগরগুলো এবং ভবিষ্যতে নগর সরকারগুলো তত্ত্বাবধান করার জন্য জেলাকে উচ্চতম স্তর হিসেবে বিবেচনা করে প্রত্যেক জেলাকে প্রজাতান্ত্রিক রূপ, তথা স্থানীয়দের সত্যিকার স্বশাসন দেওয়া প্রয়োজন। উলি্লখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে 'জেলা পরিষদ' সৃষ্টি করায় উপজেলা পরিষদের মতো জেলা পরিষদও অকার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে রয়েছে। বর্তমান সরকার মনোনীত জেলা পরিষদ প্রশাসকের স্থলে একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে আসার জন্য জেলা পরিষদের নির্বাচন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।
তাতেও স্থানীয় সরকারের বিন্দুমাত্র উপকারে আসবে না বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
দুই. ব্রিটিশ সরকার বাংলা দখলের এক দশকের মধ্যে সুবে বাংলাকে ২৩ জেলায় বিভক্ত করে প্রত্যেক জেলায় একজন করে ব্রিটিশ কালেক্টর নিয়োগ দেয়। জেলা কালেক্টর কর আদায়ের পাশাপাশি দেওয়ানি আদালতের বিচারকের দায়িত্বও পালন করতেন। মোগল আমলে নিযুক্ত কর্মীরা শুধু ফৌজদারি অপরাধের বিচার কাজ করতেন। পরবর্তীকালে কর্মীদের ক্ষমতা বিলুপ্ত করে ফৌজদারি আদালতের দায়িত্বও কালেক্টরের হাতে ন্যস্ত করা হয়।
সে জন্য ব্রিটিশদের এ দেশের জেলাকেন্দ্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থার রূপকার বলা হয়। তবে তারা এক সময় তাদের শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে ভারতীয়দের সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। প্রথমে তারা অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে জেলায় 'জেলা বোর্ড' ও নিচে গ্রাম পর্যায়ে 'গ্রাম পঞ্চায়েত' গঠন করে। ফলে পরবর্তীতে ওই দুটি স্তর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে জেলাগুলো এক ধরনের ঐতিহ্যের জন্ম দেয়। কিন্তু পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে শাসকরা ওই দুটি স্তরকে যথাযথভাবে কার্যকর না করে জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে উন্নয়নের ঋড়পধষ চড়রহঃ হিসেবে কখনো জেলার নিচে মধ্যবর্তী স্তর তথা উপজেলা, আবার কখনো ইউনিয়নের নিচে আরেকটি স্তর তথা গ্রামসরকার, পল্লী পরিষদ ইত্যাদি সৃষ্টি করে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার আয়োজন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'বাকশাল' ব্যবস্থা প্রবর্তন করার উদ্দেশ্যে মহকুমাগুলোকে জেলায় রূপান্তর করে জেলা প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সে সময় ৬১টি জেলায় একজন করে গভর্নর নিযুক্ত করা হয় এবং জেলার গভর্নরকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য 'জেলা কাউন্সিল' গঠন করা হয়। তাই বঙ্গবন্ধুর 'জেলা গভর্নর' ব্যবস্থাকে কর্তৃত্ব অর্পণ বা উবষবমধঃরড়হ বলা যেতে পারে।
এটিকে কোনোভাবেই ক্ষমতার গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ বা উবসড়পৎধঃরপ উবপবহঃৎধষরুধঃরড়হ বলা যায় না। একইভাবে আগের জেলা বোর্ড/জেলা কাউন্সিল কিংবা বর্তমানের জেলা পরিষদ ব্যবস্থাকেও শুধু কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব বিপুঞ্জীভূতকরণ বা উবপড়হপবহঃৎধঃরড়হ এর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
তিন. বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এরশাদ সরকারের আমলেও অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি উপজেলা ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন। তার লেখা 'জেলায় জেলায় সরকার' বইয়ের ভূমিকার এক অংশে উল্লেখ আছে_ 'তিনি (এরশাদ) মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করেন ১৯৮৪ সালে এবং ১৯৮২ সালে উপজেলা পরিষদ গঠন করেন। আমার আশা জন্মে যে, ওই স্তরেই ক্ষমতার প্রতিসংক্রম হতে পারে এবং অবশেষে আমরা স্থানীয় স্তরেও সরকার গঠন করব এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন করব। ' সবার জানা রয়েছে_ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন হলো স্থানীয় সরকারের মৌল ইউনিট বা ইধংরপ টহরঃ।
এগুলোর নিজস্ব আয় রয়েছে। তা ছাড়া নগরীয় কাজগুলো যদি এক স্তরবিশিষ্ট নগরীয় ইউনিট অর্থাৎ পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন সম্পাদন করতে পারে, তাহলে গ্রামীণ কাজের জন্য মধ্যবর্তী স্তর উপজেলার কেন প্রয়োজন হবে। তিনি উপরোক্ত কাজগুলোর বিষয়ে তার বইয়ের কোথাও উল্লেখ করেননি। আবার কোনো কোনো রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবী স্থানীয় সরকারগুলো অকার্যকর থাকার পেছনে সংসদ সদস্য ও মাঠ প্রশাসনের আমলাদের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেন। তারা ভুলে যান যে, বাংলাদেশে একটিমাত্র সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।
ধরা যাক, ক্ষমতার পৃথকীকরণ তত্ত্ব অনুসারে এমপিরা আইন প্রণয়ন কাজে সীমাবদ্ধ থাকলেন। কিন্তু স্থানীয় সরকারগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন! যেহেতু বিদ্যমান সরকারব্যবস্থায় স্থানীয় সরকারগুলো নির্বাহী বিভাগের এজেন্ট হয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনুকরণপ্রিয় বুদ্ধিজীবীরা 'প্রাদেশিক সরকারব্যবস্থা' বাস্তবায়নের কথা বলছেন। তারাও ভুলে যান যে, এ দেশে প্রদেশকেন্দ্রিক সংস্কৃতির অস্তিত্ব নেই। যতটুকু ছিল দেশ স্বাধীন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ও অব্যাহত নগরায়নের কারণে ধীরে ধীরে তা নিঃশেষ হয়ে গেছে।
তা ছাড়া আমাদের দেশের সমতল ভূমি, জনসংখ্যা, আয়তন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিলে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
চার. পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে বর্তমান আমল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন শাসকরা কম-বেশি সবাই তাদের রাজনীতির প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারকে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তারা ব্রিটিশসৃষ্ট জেলা ও ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করেননি। ফলে জেলাকেন্দ্রিক সংস্কৃতির কার্যকর ব্যবহার এখনো লক্ষ্য করা যায়। একই কারণে আমাদের স্থানীয়তার একটি জেলাকেন্দ্রিক দিক রয়েছে।
ঢাকায় বিভিন্ন জেলাভিত্তিক সমিতি দেখা যায়। একই কারণে রাজনীতিতেও জেলাভিত্তিক আঞ্চলিকতা বিদ্যমান রয়েছে। সে জন্য দুই প্রকারের সরকারব্যবস্থা তথা জাতীয়-কেন্দ্রীয় সরকারব্যবস্থা ও জেলাকে ঋড়পধষ চড়রহঃ ধরে একটি সমন্বিত স্থানীয় সরকারব্যবস্থাই অধিকতর বাস্তবায়নযোগ্য। সে জন্য আমরা বলে আসছি, জাতীয় ও বৈশ্বিক কাজগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য এবং সব স্থানীয় কাজ স্থানীয় সরকারের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়ে দুই প্রকারের সরকারের কক্ষপথ ভিন্ন ভিন্ন করে দিতে হবে। এ ব্যবস্থায় জেলা হবে স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট।
জেলা আয়তনের মধ্যে সব স্থানীয় ইউনিট থাকবে। জেলা এক হাতে গ্রামীণ ইউনিট (ইউনিয়ন) ও অন্য হাতে নগরীয় ইউনিটগুলো (পৌরসভা, সিটি করপোরেশন) পরিচালনা করবে। স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে জেলা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। তার আগে জনসংখ্যার বিচারে জেলার আয়তন হ্রাস-বৃদ্ধি করে প্রত্যেক জেলাকে প্রজাতান্ত্রিক রূপ দিয়ে 'জেলা সরকার' নাম দেওয়া যেতে পারে। জেলা সংসদ, জেলা আদালত ও জেলা প্রশাসন মিলে 'জেলা সরকার' গঠিত হবে।
জেলা সংসদে বাজেট তৈরিসহ জেলাকেন্দ্রিক বিধি-বিধান তৈরি করার ক্ষমতা থাকবে। জেলা প্রশাসন জেলা সংসদের পাসকৃত প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে। জেলা আদালত জেলাকেন্দ্রিক নির্ধারিত বিচারকার্য সম্পন্ন করবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জেলা আদালতে আপিলের ব্যবস্থাও থাকতে পারে। এ ব্যবস্থা গৃহীত হলে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য পৃথক আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা আর থাকবে না।
সে ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য তিনটি 'পার্বত্য জেলা সরকার' গঠিত হবে। প্রত্যেক জেলা থেকে ২ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষও সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। আর আনুলম্বিক (ঠবৎঃরপধষ) ও আনুভূমিক (ঐড়ৎরুড়হঃধষ) ক্ষেত্রে আন্তঃসরকার সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তাই বলা যায়, 'জেলা সরকার' ধারণাটি বাংলাদেশের বিশেষ বাস্তবতায় 'প্রদেশ'-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
পাঁচ. প্রায় দুই বছর আগে সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রতি জেলায় 'জেলা পরিষদ প্রশাসক' (পার্বত্য জেলাগুলো বাদে) হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিযুক্ত করেন।
সবার জানা রয়েছে, স্থানীয় সরকারে সুষ্ঠু স্তরবিন্যাস না করে উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করায় এখনো উপজেলাকে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার জাতীয় রাজনীতির প্রয়োজনে (স্থানীয় সরকারের প্রয়োজনে নয়) আবারও উপজেলা নির্বাচনের আয়োজন করেছে। পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, সরকার অনতিবিলম্বে জেলা পরিষদ নির্বাচনও দেবে। প্রধানমন্ত্রী এর আগে বলেছেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জেলার অধীনে ন্যস্ত করা হবে। বর্তমান অবস্থায় জেলা এককভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে না।
সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশাল প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করবে কীভাবে? সে জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে হলেও বিদ্যমান অকার্যকর জেলা পরিষদের স্থলে সমন্বিত স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ ইউনিট হিসেবে 'জেলা সরকার' পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
ছয়. এ দেশ দীর্ঘকাল বিদেশি শক্তির অধীনে থাকায় মানুষের মনোজগতে ঔপনিবেশিকতার শিকড় এখনো গেড়ে বসে আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেই শিকড়কে উপড়ানো তথা স্বাধীন দেশের উপযোগী সরকার পদ্ধতি আজও গৃহীত হয়নি। সরকার ব্যবস্থা এখনো দূরবর্তী ও বায়বীয় অবস্থায় রয়েছে। সে জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের মাঠ প্রশাসনের বাইরে সনি্নহিত ভৌগোলিক অঞ্চলে বিদ্যমান স্থানীয় ইউনিটগুলো পুনর্গঠন করে সেখানে সমন্বিত স্থানীয় সরকার কাঠামো সৃষ্টি করা যেতে পারে, যেখানে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হবে জেলা।
এটি বাস্তবায়িত হলে সরকার পরিচালনায় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। জেলা বাজেট ও পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পাবে। এ ধারণা গৃহীত হলে ক্ষমতার গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয়দের গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়ন, আন্তঃসরকার সম্পর্ক, এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ সমস্যার সমাধান, জেলার প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষ সৃষ্টি করাসহ পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগর ও নগরায়নের লক্ষ্যে আরও বহু কিছু করা সম্ভব হবে।
লেখকরা : প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, চেয়ারম্যান, জানিপপ; প্রফেসর ড. এ.কে.এম. রিয়াজুল হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বিসিএস শিক্ষা ও ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার, জানিপপ এবং মোশাররফ হোসেন মুসা, সদস্য, সিডিএলজি ও ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার, জানিপপ।
ই-মেইল- লধহরঢ়ড়ঢ়১৯৯৫@মসধরষ.পড়স
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।