আমার পরিচিত অনেকেই বলে আমার সাথে নাকি মানুষের চেয়ে জানোয়ারের মিল বেশী। তাই দয়া করে কেউ আমার কাছ থেকে মানুষের ব্যাবহার আশা করবেননা। নৌমন্ত্রীর উপর জুতা নিক্ষেপের ঘটনায় আমাদের দেশের নেতিবাচক রাজনীতির আরেকটি নতুন ধারার সংযোজন বলা যায়। আমাদের রাজনীতির অনেক খারাপ দৃষ্টানত থাকলেও এদিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। হয়ত ছোটবেলা থেকেই গুরুজন কে সম্মান করো এই অপ্ত বাক্যর কারনেই ব্যাক্তির পিছনে আমরা যতই ছাল-চামড়া উঠাই না কেন সামনা সামনি একেবারে গদ্গদ্।
এই গদ্গদ্ ভাব আপনি লক্ষ্য করবেন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকদের মধ্যেও। যেমন নাকি যেই হানিফ সারাক্ষন বিরোধিদলের পিন্ডি চটকাতে থাকেন তিনিও বিরোধীদলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সামনে একেবারে সুবোধ বালকের মত। একইভাবে বিএনপি'র জয়নাল আবেদিন শেখ হাসিনার সামনে গেলে হেসে একেবারে গলে যাবেন। এইটাই সাধারন কালচার ছিলো। অনেকেই এটার অনেক নেগেটিভ দিক বের করলেও আমার কাছে ব্যাপারটা ভালোই মনে হত।
কিন্তু আর কতদিন? আমরা তো পিছিয়ে যাচ্ছি অন্যদের চেয়ে তাই কিছুটা দেরিতে হলেও আমাদের দেশেও শুরু হলো এই কালচার। আর দেরিতে যখন শুরুই হয়েছে তাই সাথে বোনাসও বেশি। একটা না দুইটা না। এক্কেবারে জুতার বৃষ্টি। আবার এখন দেখি বিএনপির সমাবেশ থেকেও হুংকার দেয়া হচ্ছে যে জনগন সরকারের উপর ক্ষেপছে তাই এই জুতা বৃষ্টি।
পুরাই আবাল কোন হান কার। আরে বেটা তোরা যখন ক্ষমতায় থাকবি তখন যে তাইলে লীগের জংগি পোলাপান তোগো কত মন্ত্রীরে জুতার বাড়ি খাওয়াইবো তখন কি বলবি? তোরা কি লীগের লগে পাইরা উঠবি? আওয়ামিলীগ তো হইল এই দেশের সবচেয়ে জংগী এবং আক্রমনাত্বক দল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।