আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩ তরুণীকে নির্যাতনের পর নগ্ন ভিডিও ধারণ, গ্রেফতার ৩

রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় তিন তরুণীকে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর নগ্ন ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে দুর্বৃত্তরা। নির্যাতিতদের মধ্যে দুই তরুণী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) গুরুতর অবস্থায় অহস্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাদল, বাপ্পী ও কুদ্দুস নামের তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাষানটেক এক নম্বর বস্তির ত্রাস পুলিশের খাতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মামুন হোসেন। তার বাবার নাম ইসহাক।

মামুনের নেতৃত্বে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ সব কর্মকাণ্ডই চলে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য বস্তিতে রয়েছে ২০ জনের একটি গ্রুপ। নির্যাতিত তিন তরুণীর একজনের খালাতো ভাই সোবেল। সোবেলও মামুনের নির্দেশে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। সম্প্রতি একটি চুরির মালামাল সে মামুনকে বুঝিয়ে না দেওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামুনের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজনের একটি দল ওই তিন তরুণীকে তাদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে।

ওই বস্তিরই একটি ঘরে তাদের নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই অবস্থায়ই ডেকে নিয়ে আসা হয় নির্যাতিতদের বাবা-মাকে। একপর্যায়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে অনবরত আঘাত করে থাকে দুর্বৃত্তরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন, নির্যাতিতদের গগণবিদারী চিৎকার শোনার পরও কেউ মামুনের ভয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়নি। নির্যাতিতরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের হাসপাতালে যেতে দেয়নি দুর্বৃত্তরা।

পরে গতকাল খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মামলা হয় থানায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাষানটেক থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, মামুন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পুলিশ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরই সে এলাকা ছাড়া। মাত্র দুই মাস আগে সে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছে।

ওসিসি'র পরিচালক ডা. বিলকিস বেগম জানান, নির্যাতিত দুইজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে তাদের সুস্থ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।