গত বুধবার প্রথম লেগ বরুসিয়া ৪-১ গোলে জিতেছিল। ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান ক্লাবটি। আর রিয়াল টানা তৃতীয় বারের মতো বিদায় নিল সেমিফাইনাল থেকে।
আগামী ২৫ মে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ফাইনাল হবে।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবাউতে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল।
কিন্তু গঞ্জালো হিগুয়াইনের শট পা দিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে বরুসিয়াকে রক্ষা করেন অধিনায়ক ও গোলরক্ষক রোমান ওয়াইডেনফেলার।
১৩ মিনিটে আবার জার্মান ক্লাবটির পরিত্রাতা গোলরক্ষক। বক্সের ভেতর থেকে নেয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোরালো ভলি ফিরিয়ে আরো একবার স্বাগতিকদের হতাশ করেন ওয়াইডেনফেলার।
এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য বরুসিয়া অধিনায়ককে কিছু করতে হয়নি। বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদোকে পাস না দিয়ে মেসুত ওজিল নিজেই গোল করার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু বল চলে যায় সাইড বারের বেশ বাইরে দিয়ে।
নিশ্চিত গোল নষ্টের হতাশাতেই সম্ভবত বিরতির আগে তেমন কিছু করতে পারেননি রোনালদো। রিয়ালও পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা।
প্রথম লেগে চার গোল করে বরুসিয়ার জয়ের নায়ক রবার্ট লেভানডস্কি প্রথমার্ধে জ্বলে উঠতে পারেননি। রিয়ালের ডিফেন্ডাররা কড়া পাহারায় রেখেছিলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকারকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন লেভানডস্কি। পাল্টা আক্রমণ থেকে তার জোরালো শট রিয়ালের গোলরক্ষক ডিয়েগো লোপেজকে ফাঁকি দিলেও বল ফিরে আসে ক্রস বারে লেগে।
৬০ মিনিটে অবশ্য লোপেজ রিয়ালের রক্ষাকর্তা। ইলকে গুয়েনডগানের শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন তিনি।
তিন মিনিট পরই লেভানডস্কির হেড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এরপরই শুরু হয় রিয়ালের আক্রমণের ঢেউ আর সুযোগের অপচয়। ৬৭ থেকে ৭২ মিনিটের মধ্যে চারটি সুযোগ নষ্ট করে তারা।
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া, রোনালদোর শট ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যাওয়া, ওজিলের ক্রস থেকে রোনালদোর হেড পোস্টের সামনে থাকা ডি মারিয়ার পা ছোঁয়াতে না পারা, বদলি কাকার আচমকা শট সাইড বার ঘেঁষে চলে যাওয়া-কী হয়নি সে সময়!
শেষ পর্যন্ত জোসে মরিনিয়োর দলের গোল প্রাপ্তি ৮৩ মিনিটের সময়। কাকার পাস ধরে ডান দিক থেকে ক্রস করেন রোনালদো। আরেক বদলি করিম বেনজেমা লক্ষ্যভেদ করে উত্তাল করে তোলেন গ্যালারি।
৮৮ মিনিটে আবার গোল। একটি পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের অধিনায়ক সার্জিও রামোস।
কিন্তু তখনো আরো এক গোল দরকার ছিল স্বাগতিকদের। ইনজুরি সময়ে কর্নার থেকে রামোসের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
রিয়াল মাদ্রিদের ফাইনালে ওঠার আশারও সেখানেই সমাপ্তি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।