আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আ কান্ট্রি অব অল ইস্যু'জ

আমি এক অদ্ভুত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি ,যেখানে মানুষ তার ভেতরের প্রকৃত মানুষ টি খুজে পায়।

আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী বা আলু পূরী যতটা না বেশী তার চেয়ে এটা একটা ইস্যুপুরী বলা চলে। এই দেশে ইস্যুর কোন শেষ নাই। এক ইস্যু নিয়ে হুজুগে বাঙ্গালী লাফানো শেষ হতে না হতেই আরেক ইস্যু চলে আসে। রাজনীতি, অর্থনীতি , সামাজিক অপরাধ, কখনো কখনো বানানো ভুয়া ইস্যু।



বছরের গেল মাত্র দেড় মাস, কিন্তু, ইস্যু পেয়েছি এক ডজনের কাছাকাছি। বাঙ্গালীর প্রিয় স্থান হলো এখন ফেসবুক, এখানে চলে আলোচনা-সমালোচনা, ভদ্র তেবিলে না চলা গালাগালি সবকিছু। মনের ভাষা প্রকাশের স্থান বলা চলে।

বর্তমানে দুইটা ইস্যু টপ রেটেড আছে, একটা হলো জাওয়াহিরির টেপ, আরেকটা হল গুন্ডা বা পান্ডা নামের কোন দেশের একটা মুভিতে আমাদের ইতিহাস রে পাতিহাস বানায় ছেড়ে দিছে। ইস্যু দুইটারে একটু অটপ্সি করে দেখি।



১। ...জাওয়াহিরির টেপ। বেচারা জাওয়াহিরি আল-কায়েদার প্রধান হওয়ার পর থেকে একের পর এক টেপ প্রসব করেই চলছে। কি করবে? কিই বা তার করার আছে। পৃথিবীতে মুসলিম রা খুবই বাটে আছে, যাহারা বাটে আছে,যেসকল দেশে ইসলামী শাসন নাই, তাদের মজলুম দের মনের সাহস (!!!) দিতে সে মাঝে মাঝে হুমকি ধামকি দেয়।

হেফাযত ইন্সিডেন্টের পরে বাংলাদেশ এমনেই ইসলামিক ভাবে বিপন্ন রাস্ট্রের তালিকায়। জাওয়াহিরি এর পূর্বে , মায়ানমার, মালি ইত্যাদি দেশে জিহাদের ডাক দিয়েছিল। এতে মালিতে ফায়দা হলেও মায়ানমারের গুপ্ত কেশও উতপাটন হয় নি। এটা নিয়ে সরব আমাদের মহান সরকার। ইহা বিএনপির কারসাজি, পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র।

গাধার বাচ্চাগুলার মাথায় পাকিস্তান ভাইরাসের মতন বসে আছে। পুরা দুনিয়া জানে পাকিস্তান একটা উজবুক রাস্ট্র, যার মাজার জোর কম আর ফাল পাড়ানোর হাউস বেশি। পাকিস্তান যে একটা ডেড ইস্যু এই গাধা গুলা বুঝেও না। একটা ডক্টরেট করা গাধা পাকিস্তান পাকিস্তান করে চিল্লাছে, বেচারা পরিবেশ মন্ত্রিত্ব হারিয়ে শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা। তারে বলছি, ইউ লস্ট দ্যা ট্রেন ম্যান।

এইবার মন্ত্রিত্ব আর পাবা না।

২। ...পান্ডা সিনেমা। পাশের দেশে মুভি ইন্ডাস্ট্রি খুব উন্নয়ন করিচ্চে, তাদের ভাষায় তরক্কি করিতেচে। তাহারা আমাদের ইতিহাস কে পাতিহাস বলেচে।

দিজ আর রাবিশ ইস্যুস। বিশ্বে যেকোণ ইতিহাস কে নিজের মতন উপস্থাপন করা হয়েছে বহু সিনেমায়। ঐতিহাসিক মুভি বেশিরভাগই ইতিহাস বিকৃত করেছে। লরেন্স ওব আরাবিয়া তে লরেন্স কে মহান ব্যাক্তি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, বাংলাদেশে নবাব সিরাউদ্দৌলা তে সিরাজের চরিত্র ইংরাজ বর্নিত চরিত্রের সাথে মিলিয়ে বানানো হয়েছে। যা মোটেও সত্যি ছিল না।

এখন গুন্ডে বা পান্ডা র কথা। সিনেমার সিনোপ্সিস বলে এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী তাদের রিফিঊজি ক্যাম্পের দুই কিশর গ্যাঙ্গস্টারের উত্থানের কাহিনী। কিন্তু, প্রথমে বলে নেয় আমাদের দেসের জন্ম নাকি তাদের মহান যুদ্ধের ফসল। এখন এটার দায় কে নেবে? এটার দায় আমাদের, পাশের বিজিত বা পরাজিত দুই দেশই ক্রেডিট দেয় ইন্ডিয়ারে পরোক্ষ ভাবে বা প্রত্যক্ষ ভাবে। তাদের ইতিহাসে তা লিখা, তাদের অনলাইনেও তা লিখা।

আমার ইন্ডিয়ান -পাকি সহকর্মীরাও তাই ভাবে। এর ব্যার্থতা আমাদের, কারন গত ৪৩ বছরেও আমরা আমদের ইতিহাস বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারি নাই। যার ফলাফল এই মুভি নাম গুন্ডে। বড়জোর আমরা নিজ প্রতিবাদ স্বরুপ মুভিটা বর্জন করতে পারি, এর বেশি কিছু না। আর আমরা ইন্ডিয়ার মুভি মার্কেটের বাইরে, সো আমাদের তেমন কিছুই করার নাই।

নইলে মুভিটা দেশের হলে চলবে না টাইপ স্লোগান দেওয়া যাইত।

এই হলো দুইখান ইস্যু। এখন আবার নতুন ইস্যুর অপেক্ষায় বসে থাকা। যা আগামীকাল বা আগামী পরশুর মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যাবে। আফটার অল ঈটস আ কান্ট্রি অব ইস্যুজ।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।