I want to make me as a blog writter. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশটি নানা প্রতিকুলতা ও অনেক রাজনৈতিক মতভেদের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের মুখ একটু একটু করে দেখছে। আমি যখন ছোট ক্লাস থ্রি তে পড়ি তখন থেকে সাল বুঝি। তখন ছিল ১৯৯৮ সাল। তা্ও হয়তো বুঝতাম না। সে সময় আমার বড় বোন মেট্রিক পরিক্ষা দিয়েছিল তো তাই সাল বুঝেছি।
সে সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামীলিগ সরকার। ও আরেকটি কথা! সে সময় আবার জামায়াতের সাথে আওয়ামীলিগ জোট বদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে। এখন আবার এই আওয়ামীলিগ সরকার জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাসি দেওয়ার মহা উৎসবের পরিকল্পনা নিয়েছে যুদ্ধ অপরাধির অপরাধে। হায়রে রাজনীতি! বিচার যখন হবে হোক। সেটা কি লিগ্যাল পন্থায় হওয়াটাই শ্রেয় না? কিন্তু না আওয়ামীলিগ সরকার একটা রায় পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তাদের চাই একটা রায়। ফলে এই তাড়াহুরার কারণে হ্যাকারদের স্কাইপি হ্যাকের মাধ্যমে ও বিচারপতি নিজামুল হকের অপরিপক্কতা তাকে নিয়ে যায় বেলজিয়াম প্রবাসি জিয়াউদ্দিন এর কাছে ফলে পুরো বিচার টাই যেন তালগোল পকিয়ে ফেলল। আবার সরকার নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। এত সব কাহিনী থেকে বুঝা যাচ্ছে সরকার নির্বাচনের সময় জনগণকে যে যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এসব বৃদ্ধ লোককে বলির পাঠা হিসেবে ব্যবহার করে তাদের প্রতিশ্রুতি পুরণ করবে। যাই হোক এটা আমি আলোচনা করতে চাচ্ছি না।
তত্তবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামীলিগ ও জামায়াত ৯৬ এ ক্ষমতায় আসে। কিন্তু সেই সময় বিএনপি তত্তবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করে। তারপরও চাপের মুখে এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ২০০১ সালে এই তত্তবধায় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয় সে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে। আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় এসে সংয়বিধান সংশোধন করে তত্তবাধায়ক সরকার বাতিল করে।
এখন আবার এই বিএন পি তত্তবধায়ক সরকার দেওয়ার জন্য পুরো ৩টি বছর ধরে সংসদ বর্জন করে আন্দোলন করছে। হায়রে রাজনীতি! যেন স্বার্থই সবকিছু। বাংলাদেশ ছা্ত্রলীগ বাংলাদেশ ছাত্রদল যেন দুটি বড় দলের সোনার হংস। যত ভাল ক্যাডার হতে পারবে ততই তার ডিমের মুল্য দলে সবার উপরে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসবে তখন এসব সোনার হংশ রক্তের হলি খেলায় মত্ত হয়ে হাসের প্যাক প্যাক শব্দ করতে থাকে।
ছাত্রলীগের কর্মকান্ড যে তালেবানদের চেয়েও জঘন্য তার প্রমাণ বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড। তালেবানরা হত্যা করে পশ্চিমাদের আর ছাত্রলীগ হত্যা করে এদেশের মানুষকে। মনে হয় যেন ঐ মানুষ গুলি অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছে। আর এসব দেখে ফোবিয়া যেন সোনার হংসদের বুকে আঘাত করে। তাই তারা চায় এসব ভিনদেশি মানুষ যেন তাদের মুজিব জিয়ার ভুমিতে না আসে।
সত্যি বলতে কি দলের শিকড় যদি দুনীতি পরায়ন হয় তাহলে শাখা প্রশাখা তাই হবে এটাই স্বাভাবিক। যাই হোক তারপরও দেশরে উন্নয়ন থেমে নেই। দেশের কর্ণধারদের কাছে অনুুরোধ তারা যেন এসব হিংসার রাজনীতি না করে সহনশীল হয়। একে অপরের কথা গুলো বুঝতে চেষ্টা করে। সব মতবাদ কে উচু করে না দেখে দেশের উন্নয়ন কে যেন তারা তরান্বিত করতে একসাথে কাজ করে সে প্রত্যাশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।