মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের চতুর্থ সাক্ষী সুনীল কান্তি বর্ধন ওরফে দুলালের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে সাক্ষীকে জেরা করে আসামিপক্ষ। জবানবন্দিতে সুনীল কান্তি বর্ধন ওরফে দুলাল বলেন, '১৯৭১ সালে মা-বাবা, পরিবারসহ আমরা চট্টগ্রাম শহরে থাকতাম। মার্চে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গ্রামের বাড়ি চলে যাই।
মে মাসের দিকে পাকিস্তানি সেনারা গ্রামের বাড়িতে হামলা করলে আমরা আবার শহরে চলে আসি। নিজ বাড়িতে না গিয়ে অন্য বাড়িতে উঠি। এর মাসখানেক পর আমরা পুনরায় গ্রামের বাড়ি চলে যাই। অক্টোবরের শেষের দিকে আবার গ্রামের বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে চলে আসি। কিছুদিন পর প্রতিবেশীদের পরামর্শে আমার মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যরা পুনরায় গ্রামের বাড়ি চলে যায়।
তবে আমি আমার স্ত্রী-সন্তানসহ চট্টগ্রাম শহরের রাজাপুকুর লেনের জনৈক গোলাম মোস্তফার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকি। নভেম্বরের শেষের দিকে শহরের অবস্থা আরও খারাপ হলে আমি পরিবারসহ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে চাকতাই খাল থেকে নৌকায় উঠছিলাম। এ সময় একদল আলবদর সদস্য আমাকে আটক করে চামড়া গুদাম এলাকায় দোস্ত মোহাম্মদ বিল্ডিংয়ে আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে। সেখানে থাকাবস্থায় ওই বিল্ডিংয়ের পাশে চাকতাই খালের পাড়ে একটি কাঁচা ল্যাট্রিনের পাশে দাঁড় করিয়ে অনেক বন্দীকে গুলি করে হত্যা করতে দেখেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।