'বসন্ত বাতাসে সই লো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে রে...' শুধু গানের সুরে কিংবা হৃদয়ের অলিন্দে নয়, বসন্ত এসে হাজির হয়েছে বাড়ির আঙিনায়। চারদিকে তাই বসন্ত দিনের উচ্ছ্বাস। আর প্রকৃতিকে ছাড়িয়ে উচ্ছ্বাসের ছাপ তরুণ-তরুণীসহ সবার সাজ পোশাকেও পড়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বসন্তের আগমনের দিনটিকে। লাল কৃষ্ণচূড়া আর হলুদ সোনালি ফুলের রঙে প্রকৃতির সাজসজ্জার পাশাপাশি বসন্তকে কেন্দ্র করে মানুষের আবেগ থাকবে আরও কিছুদিন।
ফাল্গুনের দিনে পোশাকে থাকবে রঙের বিচিত্রতা। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, ফ্রক যে যাই পরুক না কেন তাতে থাকা চাই হলুদ, বাসন্তী কিংবা লাল রঙের ছোঁয়া। শুধু নারী নয়, পুরুষের শার্ট, পাঞ্জাবি বা ফতুয়ার ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার কাজ করে। আজকাল সব বয়সীরাই পোশাক-সাজ নিয়ে বেশ সচেতন থাকে। তাদের এ সচেতনতাকে কেন্দ্র করেই দিন দিন গড়ে উঠছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলো।
ভিন্ন ভিন্ন রুচির কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে নানা রঙের, নানা ডিজাইনের পোশাক। আরও আছে কাঠ, মাটি, মেটাল, পাথর, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি চুড়ি, কানের দুল, গলার মালা ইত্যাদি।
ক্যাবল টিভির কল্যাণে এখন ফাল্গুনের অাঁচ লেগেছে শহর ছাড়িয়ে দূর-দূরান্তের গ্রামেও। গ্রামীণ তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোররা সাধ্যের মধ্যে রঙিন পোশাকে নিজেকে সাজায়। রং-বেরঙের জংলি ফুলের নকশা তোলা শাড়িতে নিজেকে জড়িয়ে লাজুক হাসে গ্রাম্য।
সরল-সোজা রাখালটিও কাজ শেষে গায়ে তোলে রঙিন পাঞ্জাবি বা ফতুয়া।
পুরুষের জন্য অবশ্য এ সময় পাঞ্জাবিই সেরা। আর কর্মব্যস্ত পুরুষদের জন্য আজকাল বুটিক হাউসগুলো বাজারে এনেছে ফাল্গুন রঙা শার্ট। ঘরে-বাইরে-কর্মক্ষেত্রে সবখানেই বসন্তকালীন পোশাকের কদর দেখা যায়। ফাল্গুনের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে থাকে।
এলোমেলো হাওয়ার সঙ্গে উড়তে থাকে ধুলোবালি। তাই ত্বকের বিশেষ যত্ন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ত্বক ভালো থাকলেই সাজগোজ করে আনন্দ পাওয়া যায়। এ সময় রোদের জন্য মুখে সানস্ক্রিন লোশন লাগাবেন সবসময়। তবে ঘরে বানানো অনুষঙ্গ দিয়ে ত্বকচর্চার বিকল্প নেই।
হাতের কাছে যা পাওয়া যায় যেমন মসুরের ডাল, টমেটো, শসা, লেবুর রস, মধু ইত্যাদি দিয়ে ত্বকের যত্ন করা যায়। আর চুলটা সবসময় পরিষ্কার রাখা দরকার। এতে চুল পড়বে কম এবং ভাঙবে না কিংবা চুলে রুক্ষভাব দেখা দেবে না। ফাল্গুনের দিনে চুলটা খোলা রাখতে না পারলে কি চলে?
*রকমারি প্রতিবেদক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।